নিভৃতে নিসর্গ পার্ক
কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে চকরিয়া উপজেলার জিদ্দাবাজার থেকে পূর্বে ১০ কিলোমিটার গেলে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নস্থ ৬নং ওয়ার্ডে মাতামুহুরি নদীর কোলঘেষে নিভৃতে নিসর্গ পর্যটন পার্ক অবস্থিত। নদীটির প্রস্থ ১৫৪ মিটার। ২০২০ খিষ্টাব্দে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে এই পার্কটির পদযাত্রা শুরু হয়। পার্কটির দুইপাশে সুউচ্চ পাহারের মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা নদী বয়ে চলেছে। মূলত ‘নিভৃত নিসর্গ’ এলাকায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বেশ কয়েকটি পাহাড়ের মাঝখানে মাটি কেটে লেক তৈরি করা হয়েছে। এই লেকেই পর্যটন আকর্ষণের জন্য স্পিড বোট ও কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। নৌকা ভ্রমণে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে শ্বেত পাথরের বিশাল পাহাড়। একে শ্বেত পাহাড় নামেও ডাকা হয়। পার্কে একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অনেক বণ্যপ্রাণী ও পাখির কলোরব ধ্বনি। এখানে পার্কের সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে মানিকপুর সড়কের গুহা, রাখাইন সম্প্রদায়ের মন্দির, লম্বা মোড়া পর্যটন কেন্দ্র, কিউকের প্রাচীন গম্বুজ মসজিদ ও নদীপথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগের জন্য মোহনা।
বিশেষ পরামর্শ
|
পর্যটকরা এ পার্কে বেশি আসে পিকনিক করার জন্য। তাই তারা নিজেরাই নিজের রান্না করে নিয়ে আসে অথবা এখানে রান্না করে। যার কারণে পার্কের আশেপাশে ভালো কোনো খাবার হোটেল নেই। তাই দরকারে পার্কে যাওয়ার আগেই চকরিয়া বাজারে খাবেন। পার্কে নদী ভ্রমণ সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।
|
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
|
|
ঢাকা
|
৩৪৭ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রাজশাহী
|
৫৯০ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রংপুর
|
৬৩৯ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
সিলেট
|
৪৫০ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
ময়মনসিংহ
|
৪৫৭ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
খুলনা
|
৪৩৯ কি.মি. (বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে)
|
বরিশাল
|
৩৩৫ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে)
|
চট্টগ্রাম
|
৯৫ কি.মি. (চট্টগ্রাম – কক্সবাজার হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
নিভৃতে নিসর্গ পার্ক যেতে আপনাকে অবশ্যই আগে কক্সবাজারগামী বাসে চড়ে চকরিয়া নামতে হবে। |
|
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ- ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রাজশাহী থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান |
বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) কক্সবাজার যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কোনো বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে) বিমানসমূহ:-
|
খুলনা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(খুলনা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ট্রেনে যেতে হবে) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে খুলনা শহর থেকে আপনাকে আগে যশোর বিমান বন্দর যেতে হবে।) বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাসসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শহর থেকে কক্সবাজারগামী অনেক লোকাল বাস সহ সারা বাংলাদেশের সকল বাস চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যায় বলে অনেক কোচ বাস পাওয়া যায়) বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
(ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল ট্রেন চট্টগ্রাম হয়ে যায়।) ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:-
|
চকরিয়া সিটি সেন্টারের সামনে থেকে সিএনজি/অটোরিকশা অথবা জিপ রিজার্ভ করে সরাসরি পার্কে যাওয়া যায়। এছাড়া কক্সবাজার শহর থেকে যেতে চাইলে চকরিয়া যাওয়ার পথে ফাসিয়াখালী স্টেশন থেকে বান্দরবানের লামা সড়ক ধরে ইয়াংছা বাজার গিয়ে অটোরিকশা অথবা সিএনজি করে আড়াই কিলোমিটার পথ পেরলেই দেখা মিলবে পার্কটির। বিশেষত, দর্শনার্থীরা কক্সবাজার যাওয়ার আগেই এই পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পছন্দ করেন। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(পার্কের আশেপাশে থাকা অথবা খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে চকরিয়া অথবা কক্সবাজার শহরে যেতে হবে। চকরিয়াতে মাঝারি মানের কিছু হোটেল রয়েছে। তবে কক্সবাজার ট্যুর প্লান হলে কক্সবাজারেই হোটেল বুক করা উত্তম।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
কক্সবাজারের উন্নত মানের হোটেলসমুহ:-
কক্সবাজারের মধ্য মানের হোটেলসমুহ:-
এছাড়াও রয়েছে নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, মারমেইড রিসোর্ট, সী ক্রাউন, চাউনি রিসোর্ট ইত্যাদি। কক্সবাজারের বাজেট হোটেলসমুহ:-
|
রেস্টুরেন্টসমূহ |
পার্কে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও হালকা নাস্তা করার জন্য ছোট বড় কিছু দোকানের দেখা মিলবে। তবে ভালো খেতে চাইলে আপনাকে চকরিয়া বাজার যেতে হবে। কক্সবাজারের উল্লেখযোগ্য কিছু রেস্টুরেন্ট:-
এছাড়াও আরো অনেক নতুন পুরাতন রেস্টুরেন্ট রয়েছে। |
বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়। |
ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – [email protected]
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
|
২। সেন্টমার্টিন
৩। হিমছড়ি
৬। দরিয়া নগর
|