মালনীছড়া চা বাগান

মালনীছড়া চা বাগান


উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রাচীন প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া বাংলাদেশের সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে উপকণ্ঠে অবস্থিত। স্থানীয় ভাষায় এটিকে “মালনীচেরা চা বাগান” হিসেবে পরিচিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে গাড়িতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। সিলেট শহর থেকে রিকশাযোগে অথবা অটোরিকশা বা গাড়িতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর আম্বর খানা থেকে বিমান বন্দর রাস্থার মধ্যে উল্লেখিত চা বাগান টি অবস্থিত। ১৮৪৯ সালে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু চারা লাগানোর পর ১৮৬৪ সালে লর্ড হার্ডসনের হাত ধরে ১৫০০ একর জায়গার উপর এই চা বাগানটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এখানে বেসরকারিভাবে চা এর পাশাপাশি কমলা এবং রাবারের চাষ করা হয়। এছাড়াও কাঁঠাল, সুপারি বাগান, ট্যাং ফল, আগর, চন্দনসহ অনেক ঔষধি ও শোভাবর্ধক বৃক্ষ রয়েছে বাগানটিতে।

চারিদিকে সবুজের সমারোহে যেন মনে হয় নীল আকাশের নিচে সবুজ গালিচা পেতে আছে প্রকৃতি। উঁচু-নিচু টিলা বেষ্টিত ছোট ছোট জনপদ এবং টিলেঘেরা সবুজের চাষাবাদ। পাহাড়ের কিনার ঘেঁষে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। কোথাও আবার ধাবমান পথে ছুটে চলেছে রুপালি ঝরনাধারা। দেশের মোট চায়ের ৯০ শতাংশ উৎপন্ন হয় সিলেটে। এজন্যই সিলেটকে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশও বলা হয়। মালনীছড়া প্রধান বাংলোর পাশের রাস্তা দিয়ে অন্তত তিন কিলোমিটার পূর্বদিকে গেলেই গুহার দেখা পাওয়া যায়। মালনীছড়া ছাড়াও এখানে রয়েছে লাক্কাতুরা চা বাগান, আলী বাহার টি এস্টেট এবং পশ্চিম দিকে ভিতরে তারাপুর চা বাগান। পূর্বদিকে কালাগুল চা বাগান ও চিকনাগুল চা বাগান।

এখানে জটকোণা পাহাড় (যেখানে গাছের শিকড় থেকে বিন্দু বিন্দু পানি ঝড়ে পড়ছে টিলার নিচের বালুময় স্থানে), আবাদানী পাহাড় রয়েছে। আবাদানী পাহাড়ের হারুং হুড়ুং গুহা [হযরত শাহজালাল (রা:) এর কাছে পরাজিত হয়ে রাজা গৌর গোবিন্দ এ পাহাড়ের মধ্যে সৃষ্ট এই দুটো গুহাপথ দিয়ে পলায়ন করেছিলো।] আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে।


মালনীছড়া চা বাগানের ইতিহাস

জানা যায়, ১৬৫০ সালে চীনে প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয়। দেশটির বুদ্ধিজীবীদের প্রতিদিনকার ৭ টি কাজের একটি ছিলো চা পান করা। চীনের ছোয়ায় ১৮০০ শতাব্দীর প্রথমভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চা চাষ শুরু হয়। তখন ব্রিটিশ ইংরেজরা চায়ে আসক্ত হয়ে গেলে ১৮২৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেখানে চা উৎপাদন ব্যহত হয়। ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় কুন্ডদের বাগান নামে একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে প্রতিষ্টার পরপরই বাগানটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।১৮৪৩ সালে কোদালা চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হলেও তা প্রসার পায়না। ব্রিটিশরা হাল ছাড়েনি তখনো। ১৮৪৭ সালে মালনীছড়া চা বাগান করার লক্ষে লর্ড হার্ডসন ১৫০০ একরের একটি জমি অধিগ্রহণ করে ১৮৪৯ সালে পরীক্ষামূলক উৎপাদন চেষ্টা চালায়। তাতে সাফল্য পেলে ১৮৫৪ সালে ১৫০০ একর জায়গাজুড়ে চা চাষ শুরু করেন এবং বাণিজ্যিক প্রসার ঘটান। উপমহাদেশে চালু হয় প্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। যদিও চা বোর্ডের রেকর্ডপত্রে বাগানের প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৫৬ সালের ১৪ আগষ্ট, তবুও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় বাগান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রসার পায় ১৮৫৫ সালে। এরপর দেড় শতাব্দী মালনীছড়া বহু ইংরেজ, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হতে থাকে। ১৯৭১ সালে চা বাগানের দ্বায়িত্ব পায় শওকত শাহনেয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাঁর অবস্থান থাকায় পাক আর্মিরা তাকে বাংলার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়ে গিয়ে শহীদ করে। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় একটি স্মৃতিসৌধ এখনো মালনীছড়া বাগানে রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর শেখ মুজিবর রহমান এর নিয়ন্ত্রণে বাগানের জমি চলে যায়। তিনি মৃত্যুর পর ১৯৮৮ সালে সিলেটের বিশিষ্ট কর ও শিক্ষানুরাগী সৈয়দ রাগীব আলীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা হয়। বর্তমানে বাগনটি তাঁর ব্যক্তিগত মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে চা বাগানটির ৭০০ একর জায়গায় রাবার বাগান ও ৭ একার জায়গাজুড়ে কমলা উৎপাদন করা হয়। বাগানে ১ হাজার ৩০০ জন স্থায়ী এবং ১ হাজার অস্থায়ী চা শ্রমিক রয়েছে। শ্রীমঙ্গলকে চায়ের দেশ বলা হলেও সিলেটের এই চা বাগান থেকেই চা চাষের গোড়াপত্তন। যা এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস এই বাগানের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বলেছিলেন, “পৃথিবী এতো সুন্দর যে মালনীছড়া বাগান না দেখলে তা বোঝা যাবেনা।”


চা শ্রমিকদের জীবনযাপন

রৌদ্রস্নাত দুপুরের নিস্তব্ধতায় শোনা যায় চা পাতা তোলার শব্দ। কখনো গানের সুর আবার কখনো চুপিচুপি কথা বলার মাঝেই চা পাতা তোলায় ব্যস্ত থাকে চা শ্রমিকরা। মধ্য দুপুরে চা পাতা ওজন দিয়ে জমা করা হলে মধ্যাহ্নের খাবার খেয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নেয় তারা। খাবারে থাকে লবণ মিশ্রিত ঠান্ডা চা, চা পাতার ভর্তা দিয়ে রুটি। বিশ্রাম শেষে শুরু হয় ২য় দফার কাজ। রোদ অসহ্য গরম আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাদের কাজ করতে হয়। দুপুরের অবসরে সংগৃহীত ঘাস, কচুর লতি, ঢেঁকিশাক ইত্যাদি বনজ উপকরণ নিয়ে অপরাহ্নে তারা বাড়ি ফিরে অপেক্ষা করে পরবর্তী সকালের জন্য।

মালনীছড়া চা বাগানের শ্রমিক মালনীছড়া চা বাগানের শ্রমিক
মালনীছড়া চা বাগানের শ্রমিক মালনীছড়া চা বাগানের শ্রমিক
কখন যাবেন
দূর মেঘালয় থেকে হিমবাতাস বয়ে নিয়ে আসে অতিথি মেঘকন্যাকে। তারপর চা বাগানের আকাশ সাজে শুভ্র মেঘমালায়। একসময় মেঘকন্যা বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরে চা পাতার উপর। বৃষ্টির পরশে চা পাতার রঙ বদলায়। বর্ষার সময় দুটি পাতা একটি কুঁড়ি তোলার উপযুক্ত সময়। অর্থাৎ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চা এর মৌসুম। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি দুমাস চা প্লাকিং করা হয়না। কারণ শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডায় চা পাতার কুঁড়ি বৃদ্ধি পায়না। শুধুমাত্র দুটি পাতা এবং একটি কুঁড়ি চা এর মূল উৎস। কেননা দুটি পাতা থেকে আসে লিকার এবং কুঁড়ি থেকে আসে ফ্লেবার। কুঁড়ি বৃদ্ধি না পেলে চায়ের আসল স্বাদ পাওয়া যায়না বলে শীতকাল চা উৎপাদনের অনুপযোগী সময়।
বিশেষ পরামর্শ
বাগানে প্রবেশের পূর্বে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া ভালো।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
ঢাকা ২২৬ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রাজশাহী ৪৫২ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রংপুর ৫০২ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
সিলেট ৪ কি.মি.
ময়মনসিংহ ১৮০ কি.মি. (সুনামগঞ্জ হাইওয়ে হয়ে গেলে)
খুলনা ৩৯১ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
বরিশাল ৩৬৩ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
চট্টগ্রাম ৩৯১ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • গাবতলী
  • সায়েদাবাদ
  • ফকিরাপুল
  • মহাখালী

(গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়।)

বাস সমূহ:-

  • গ্রীন লাইন পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন
  • এস আলম পরিবহন
  • শ্যামলী পরিবহন
  • এনা পরিবহন (মহাখালী হয়ে টুঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে যায়)
  • হানিফ পরিবহন
  • ইউনিক সার্ভিস

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ট্রেন সমূহ:

  • উপবন এক্সপ্রেস (বুধবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯.৫০ মিনিটে ছাড়ে)
  • জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন দুপুর ২ টায় ছাড়ে)
  • পারাবত এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৬.৪০ মিনিটে ছাড়ে)
  • কালনী এক্সপ্রেস (শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৪ টায় ছাড়ে)

(ট্রেনে গেলে উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াই বেশি সুবিধাজনক। ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন হয়। তাই আগে একটু খোঁজ নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।)

বিমান বিমানসমূহ:

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • ইউনাইটেড এয়ার
  • রিজেন্ট এয়ার
  • নভো এয়ার
  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাসস্ট্যান্ড

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[রাজশাহী থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • পদ্মা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো]

বিমান বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা বাসস্টান্ড (কামারপাড়া)
  • পাগলাপীর
  • জাইগীরহাট

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
  • এনা পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[রংপুর থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

[রংপুরে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় সৈয়দপুর থেকে আপনাকে সিলেট যেতে হবে।]

বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • দামপাড়া
  • কর্ণেল হাট
  • অলংকার

বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
  • উদয়ন এক্সপ্রেস
বিমান বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভো এয়ার

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • কালিবাড়ি

বাস সমূহ:-

  • সাগরিকা এন্টারপ্রাইজ
  • ইউনাইটেড
  • শামীম এন্টারপ্রাইজ
  • প্রাইম এন্টারপ্রাইজ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[ময়মনসিংহ থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ময়মনসিংহ মেইল
  • মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস
  • যমুনা এক্সপ্রেস
  • ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস
  • হাওর এক্সপ্রেস
  • তিস্তা এক্সপ্রেস
  • জামালপুর এক্সপ্রেস
  • আগ্নিবীণা এক্সপ্রেস

খুলনা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো বাস নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।]

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ফুলতলা
  • ফুলবাড়ি গেট
  • দৌলতপুর
  • নতুন রাস্তা
  • আফিল গেট
  • বয়রা বাজার

ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • টাইম ট্রেভেলস
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • সোহাগ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস
বিমান

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • বরিশাল বাসস্ট্যান্ড (নাটুল্লাবাদ)

বাসসমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন

থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

আবাসিক হোটেলসমূহ
  • হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে)
  • হোটেল নির্ভানা ইনন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল)
  • হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট)
  • হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ)
  • সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পার্শ্বে)
  • হোটেল উর্মি (মাজার শরীফ পূর্ব গেইট)
  • হোটেল রোজ ভিউ (শাহ জালাল উপশহর)
  • হোটেল হিল টাউন (ভিআইপি রোড)
  • হোটেল ফরচুন গার্ডেন (নাইত্তর পুল)
  • হোটেল ডালাস (জেল সড়ক)
  • হোটেল গার্ডেন ইনন (লিংক রোড)
  • হোটেল পলাশ (আম্বরখানা)
  • হোটেল দরগা গেইট (দরগা এলাকা)
  • হোটেল মুন লাইট (জিন্দাবাজার)
  • হোটেল গুলশান সেন্টার (তালতলা)

 (উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।)

রেস্টুরেন্টসমূহ জিন্দা বাজারে খাবার হোটেল:

  • পাঁচ ভাই
  • পানশি
  • ভোজনবাড়ী
  • স্পাইসি
  • পালকি

জাফলং রোড, মিরাবাজারে খাবার হোটেল:

  • এক্সোটিকা রেস্টুরেন্ট
  • হোটেল সুপ্রীম

অন্যান্য খাবার হোটেলসমূহ:

  • উনদাল (পূর্ব জিন্দাবাজার)
  • আল পাইন রেস্টুরেন্ট (চৌহাট্টা)

(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।)

(লালা বাজার ও দরগা রোডে কমবেশি অনেক রেস্ট হাউস রয়েছে)


সিলেট ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইল[email protected]

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
 
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ও হযরত শাহজালালের জীবনী

Leave a Reply