মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে (বান্দরবান-কেরাণীহাট) সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবন জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত। মুলত একটি কৃত্রিম লেক। যার চারপাশ উঁচু নিচু পাহাড় দিয়ে পরিবেষ্টিত। পাহাড়ের চুঁড়ায় উঠে বান্দরবনের নজরকাড়া প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। ঘন সবুজের প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি ও তার উপর দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ দ্বারা চারপাশ সজ্জিত। এছাড়াও চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে- সাফারি পার্ক, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, উন্মুক্ত মঞ্চ, ক্যাবল কার, প্যাডেল বোট, চিড়িয়াখানা, চা-বাগান ইত্যাদি। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কমপ্লেক্সের নিচে যাওয়ার জন্য আঁকাবাঁকা রাস্তার পাশাপাশি সিঁড়ি রয়েছে। মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে প্রবেশ টিকিট ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ী (জনপ্রতি) ৫০ টাকা এবং ক্যাবলকারে ভ্রমণেও আলাদা ভাবে (জনপ্রতি) ৫০ টাকা।
কখন যাবেন |
---|
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স একটি কৃত্রিম লেক হওয়ায় এবং এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এবং সাথে কমপ্লেক্সের ভিতরে সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থা চলমান থাকায় বছরের যেকোনো সময় এই কেন্দ্রে পর্যটন সুবিধা অব্যাহত থাকে। তবে শীতকাল ও বসন্ত কালে দক্ষিণা বাতাস গায়ে লাগলে প্রাণ জুড়ায়। |
বিশেষ পরামর্শ |
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তাই চেষ্টা করবেন এই সময়ের মধ্যেই এখানে অবস্থান করার।
|
বিশেষ সতর্কতা |
সকল ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে দরদাম করে নেবেন। দালাল থেকে রক্ষা পেতে সঠিক তথ্য জেনে ভ্রমণ করুন। এছাড়া ক্যাবলকারে চলাকালীন লাইনের ছবি তোলা নিষেধ। নিষেধ অমান্য করে ছবি তুলতে গেলে দুর্ঘটনার কবলে পরতে পারেন অথবা নিয়ম না মানায় আপনাকে জরিমানা সহ শাস্তিও দেয়া হতে পারে। ঝুলন্ত ব্রীজে দৌড়াদৌড়ি কিংবা লাফালাফি করা নিষেধ। লেকের পানিতে যে কোনো আবর্জনা ও প্লাস্টিকের বোতল ফেলা নিষেধ। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের দূরত্ব |
|
ঢাকা | ৩২২কি.মি. |
রাজশাহী |
৫৬৫ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)
৬০৫ কি.মি. (কুষ্টিয়া হয়ে গেলে) |
রংপুর |
৫৯৮ কি.মি. (বগুড়া → সিরাজগঞ্জ → ঢাকা হয়ে গেলে)
৭৪৯ কি.মি. (বগুড়া → নাটোর → কুষ্টিয়া → নারায়ণগঞ্জ হয়ে গেলে) |
সিলেট | ৪২৪ কি.মি. |
ময়মনসিংহ | ৪৩১ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে) |
খুলনা |
৫১১ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)
৪১৮ কি.মি. (বাগেরহাট → পিরোজপুর → বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে) |
বরিশাল | ৩০৫ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে) |
চট্টগ্রাম |
৬৯.৭ কি.মি. (পটিয়া ক্রসিং → চট্টগ্রাম কক্সবাজার হাইওয়ে হয়ে গেলে) ৭২ কি.মি. (পটিয়া ক্রসিং → বনিগ্রাম → সাতকানিয়া হয়ে গেলে) ৭৩.১ কি.মি. (গোডাউন বাজার/ব্রিজ → পাদুয়া → রৌয়াংছড়ি → রুমা হয়ে গেলে) |
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বান্দরবনে যেতে হবে |
|
ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) |
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রাজশাহী থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রংপুর থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(সিলেট থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
খুলনা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(খুলনা থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(খুলনা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনে যেতে হবে) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(বরিশাল থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
বান্দরবন থেকে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে বান্দরবন বাসস্টান্ডে নামার পর অটো/সিএনজি রিজার্ভ কিংবা লোকাল সার্ভিসে করে সহজেই যেতে পারবেন। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(থাকা ও খাওয়ার জন্য বান্দরবনে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেল/রিসোর্সটমূহ |
(এছাড়াও মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশেই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে চলমান বান্দরবান পর্যটন হোটেলে থাকার সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে খাওয়ার সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। |
বি.দ্রঃ কমপ্লেক্স কতৃপক্ষকে আপনাদের কি প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বললে সাধারণত তারাই সব কিছুর ব্যবস্থা করবে। |
বান্দরবান থেকে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে যাওয়ার প্রাথমিক দূরত্ব ও ভাড়াসমুহ-
বান্দরবন থেকে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স– (প্রায় ৪ কি.মি)
- অটোরিকশা- সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা
- মাইক্রো বাস- সর্বনিম্ন ৪০০-৫০০ টাকা
- সিএনজি- সর্বনিম্ন ৭০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২০/৩০ মিনিট
- জনপ্রতি প্রবেশ ফি- ২০ টাকা
- গাড়ির পার্কিং ফি- ১৫০-২০০ টাকা।
উল্লেখ্য, উক্ত তালিকাসমূহ শুধুমাত্র সর্বনিম্ন ভাড়ার ধারনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল। তাই সঠিক তথ্যানুযায়ী দরকষাকষি করে নেবেন।
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com