মারমেইড বিচ রিসোর্ট
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। এখানে এলেই যেনো মনে হয় আর একটু সময় নিয়ে আসলে বোধহয় ভালো হতো। কক্সবাজারের দর্শনীয় পর্যটনের জায়গাগুলো একদিনে দেখে শেষ করা যায়না। তাই সকলেই কোথাও না কোথাও আশ্রয় নেয় রাত কাটানোর জন্য। কেউ থাকে ছোট আবাসিক হোটেলে আবার কেউ থাকে রিসোর্টে। পর্যটকদের সমুদ্রবিলাসকে আরো উপভোগ করে তুলতে তৈরি করা হয় মারমেইড বিচ রিসোর্ট। যা কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পাশে রেজু খালের কাছে অবস্থিত। এর একপাশে রয়েছে ঝাউবনে ঘেরা সমুদ্র সৈকত এবং অন্যপাশে পাহাড় বেষ্টিত পেঁচারদিয়া গ্রামের পেঁচার দ্বীপ। যান্ত্রিক কোলাহলমুক্ত ও সবুজে ঘেরা রিসোর্টে রয়েছে গাছপালায় ঘেরা ছোট/বড় বেশকিছু কুটির। এই রিসোর্টে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয় বুনোফুলের মাধ্যমে এবং ওয়েলকাম ড্রিংকস হিসাবে থাকে সদ্য গাছ থেকে পেড়ে আনা সুস্বাদু ডাবের পানি। এ ছাড়াও ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমণ, সম্মেলন কক্ষ, প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদি সবকিছুরই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই পরিবেশবান্ধব অবকাশ যাপন কেন্দ্রে। পর্যটকদের আনন্দময় অবকাশ যাপনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মারমেইড ইকো রিসোর্টকে সাজিয়েছেন স্থপতি জিয়াউদ্দিন খান। কক্সবাজার এলে মারমেইড বিচ রিসোর্টে থাকতে না পারলেও একবার ঘুরে যেতে পারেন এবং উপভোগ করতে পারেন এক অপরুপ বালুকাবেলা ও সুর্যাস্ত।
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব |
|
ঢাকা | ৪০২ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
রাজশাহী
|
৬৫৩ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রংপুর
|
৭০৩ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
সিলেট | ৫১৩ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
ময়মনসিংহ | ৫১২ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
খুলনা | ৫০২ কি.মি. (বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে) |
বরিশাল | ৩৯৮ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে) |
চট্টগ্রাম | ১৫৮ কি.মি. (চট্টগ্রাম – কক্সবাজার হাইওয়ে হয়ে গেলে) |
মারমেইড বিচ রিসোর্টে যেতে আপনাকে আগে কক্সবাজার যেতে হবে। |
|
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ- ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রাজশাহী থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান |
বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) কক্সবাজার যাওয়ার বিমানসমূহ: সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কোনো বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে) বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
খুলনা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(খুলনা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ট্রেনে যেতে হবে) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে খুলনা শহর থেকে আপনাকে আগে যশোর বিমান বন্দর যেতে হবে।) বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাসসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শহর থেকে কক্সবাজারগামী অনেক লোকাল বাস সহ সারা বাংলাদেশের সকল বাস চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যায় বলে অনেক কোচ বাস পাওয়া যায়) বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
(ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল ট্রেন চট্টগ্রাম হয়ে যায়।) ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:-
|
কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় চড়ে রেজু ব্রিজের কাছে অবস্থিত মারমেইড বিচ রিসোর্টে যেতে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া লাগে। [২০২৫ সালের রেকর্ড অনুযায়ী] |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
থ্রি স্টার হোটেলের যাবতীয় সুবিধা সম্বলিত মারমেইড বিচ রিসোর্টে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুমের ৩০টি কটেজ আছে। ১ কিলোমিটার দূরত্বে একই মালিকানায় মারমেইড বিচ রিসোর্ট এবং মারমেইড ইকো রিসোর্ট নামে দুইটি রিসোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। মারমেইড ইকো রিসোর্টের কটেজের রুম ভাড়া ২০২৫ সালের রেকর্ড অনুযায়ী ৪ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মারমেইড বিচ রিসোর্টের কটেজ ভাড়া ১২ হাজার থেকে শুরু করে ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বছরের বিভিন্ন সময় এখানে ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে। |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
আগত অথিতিদের জন্য মারমেইড বিচ রিসোর্টে দেশি বিদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট এবং একটি জুস বার রয়েছে। |
ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – [email protected]
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
|
২। সেন্টমার্টিন
৩। হিমছড়ি
|