মহামায়া লেক
যা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একটি কৃত্রিম হ্রদ। মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে মাত্র ২ কি.মি. দূরে পাহাড়ের কাছে ১১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মহামায়া লেক অবস্থিত।
লেকের টলটলে পানি আর পাহাড়ে ঘেরা চারপাশের সৌন্দর্য যেন চারপাশের পরিবেশকে আরও মুগ্ধময় করে তোলে।
এছাড়াও রয়েছে-
- ঝর্ণা
- পাহাড়ের গুহা
- রাবারের বাঁধ
মহামায়া লেকে সরাসরি যেভাবে ভাবে যাবেন–
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- সায়েদাবাদ
- ফকিরাপুল
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- গ্রীনলাইন
- সৌদি আরব
- এস আলম
- শ্যামলী
- ঈগল
- সৌদিয়া
- এনা
উল্লেখ্য, বাস ব্যাতিত ট্রেন কিংবা প্লেনে প্রথমে চট্টগ্রাম যেয়ে সেখান থেকে সীতাকুণ্ড যেতে হবে।
ট্রেন:
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বা ফেনী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন–
- সোনার বাংলা
- সুবর্ণ এক্সপ্রেস
- তূর্ণা-নিশীথা
- মহানগর প্রভাতী/গোধুলি
- চট্টগ্রাম মেইল
বিমান:
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- ইউএস বাংলা
- বাংলাদেশ বিমান
চট্টগ্রাম থেকে মহামায়া লেক
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে,অটো-রিকশা কিংবা রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে মহামায়া লেক যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, লেকের আশেপাশে থাকা কিংবা খাবার কোন হোটেল নেই, তাই আপনার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা সীতাকুন্ডেই করতে হবে।
সীতাকুণ্ডের আবাসিক হোটেলসমূহ–
- হোটেল সৌদিয়া
- হোটেল সাইমুন
- ডাক বাংলা
- হোটেল এশিয়ান
- হোটেল রেডিসন বুলু
উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
সীতাকুণ্ডের খাবার রেষ্টুরেন্টসমূহ–
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।
মহামায়া লেক ভ্রমণের সুবিধা হল–
- কায়াকিং করার সুযোগ।
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা।
- পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি।
- ক্যাম্পিং সুবিধা।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- আপনি যদি সাঁতার না জানেন তবে জলে ঝাঁপ দেবেন না।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।