সেন্টমার্টিন দ্বীপ
যা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। এটি দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কি.মি দক্ষিণে এবং মায়ানমারের উপকূল হতে ৮ কি.মি. পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। এছাড়াও এই দ্বীপকে নারিকেল জিঞ্জিরা ও দারুচিনির দ্বীপ নামেও ডাকা হয়।
এখানে রয়েছে-
- স্বচ্ছ নীল সমুদ্রের নিচে বিচিত্র সব জীবন্ত কোরাল ও নানাবর্ণের জলজ উদ্ভিদের।
- সারি সারি নারকেল গাছ
- স্পীডবোট রাইড
- সামুদ্রিক মাছ
ঢাকা থেকে টেকনাফ যাওয়ার উপায়–
বাস স্ট্যান্ডসমূহ–
- সায়েদাবাদ
- গাবতলি
- কলাবাগান
- ফকিরাপুল
- আব্দুল্লাহপুর
বাসসমূহ–
- শ্যামলী
- সেন্টমার্টিন
- হুন্দাই
- রয়েল কোচ
- গ্রীণ লাইন
- এস আলম
- মডার্ন লাইন
ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে কক্সবাজার যেতে পারবেন।
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বা ফেনী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- কক্সবাজার এক্সপ্রেস
- পর্যটক এক্সপ্রেস
বিমানসমুহ:
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ যাবার উপায়
ঢাকা থেকে প্রথমে কক্সবাজার, তারপর কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতে পারবেন।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার উপায়
সাধারণত বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে বেশ কয়েকটি জাহাজ/শীপ যাওয়া-আসা করে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী শীপের মধ্যে আছে –
- আটলান্টিক,
- এম ভি ফারহান,
- কেয়ারী সিন্দাবাদ,
- কেয়ারি ক্রজ এন্ড ডাইন।
জাহাজে করে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা থেকে আড়াই ঘন্টা।
টেকনাফ জেটি ঘাট থেকে প্রতিদিন জাহাজগুলো –
- সকাল ৯.০০-৯.৩০ মিনিটে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
- সেন্টমার্টিন থেকে ফেরত আসে বিকাল ৩.০০-৩.৩০ মিনিটে।
সেন্টমার্টিন যাওয়ার শীপের টিকেট সাধাণত যাওয়া ও আসা সহ হয়ে থাকে। টিকেট করার সময় কবে ফিরবেন তা উল্লেখ করতে হবে।
জেনে রাখা ভালো –
- সধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ/এপ্রিল এই পাঁচ মাস জাহাজ চলে। অন্য সময়ে যেতে হলে ট্রলার কিংবা স্পিডবোট দিয়ে যেতে হবে।
- শীত মৌসূম ছাড়া বাকি সময় সাগর উত্তাল থাকে, তাই এই সময়ে ভ্রমণ নিরাপদ নয়।
- টেকনাফের নামার বাজার ব্রিজ/জেটি ঘাট থেকে ট্রলার, স্পিডবোট ও মালবাহী ট্রলার ছাড়ে।
সেন্টমার্টিনের রিসোর্টসমূহ–
- লাবিবা বিলাস রিসোর্ট
- ড্রিম নাইট রিসোর্ট
- সায়রী ইকো রিসোর্ট
- ব্লু মেরিন রিসোর্ট
- প্রাসাদ প্যারাডাইস রিসোর্ট
সেন্টমার্টিনে রেস্টুরেন্টসমূহ–
- হাজী সেলিম পার্ক রেস্টুরেন্ট
- হোটেল সাদেক
- আসাম হোটেল
- আল্লার দান
দ্বীপের আবাসিক হোটেল কিংবা হোটেলের আসেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুবিধা হল–
- পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি।
- দক্ষ ফটোগ্রাফার পাওয়া যায়।
- সমুদ্র যাত্রা করা যায়।
- ছেঁড়া দ্বীপে সূর্যাস্ত দেখা যায়।
- বার-বি-কিউ পাওয়া যায়।
- স্নোরকেলিং করা যায়।
- স্কুবা ডাইভিং করা যায়।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- আপনি যদি সাঁতার না জানেন তবে জলে ঝাঁপ দেবেন না।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায় কল করুন, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।