সেন্টমার্টিন

সেন্টমার্টিন


বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়রা একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকেন। এছাড়াও নারকেল জিঞ্জিরা, জিঞ্জিরা, জাজিরা, দেরদিউসা দ্বীপ বা দারুচিনি দ্বীপ নামেও অনেকে ডাকেন। তবে প্রশাসনিক ডাক সেন্টমার্টিন এবং স্থানীয়দের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা অত্যাধিক জনপ্রিয়। ভৌগলিক আয়তনের দিক থেকে দেখলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫.৬৩ কিলোমিটার লম্বা। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। দ্বীপটির পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সাগরের অনেক দূর পর্যন্ত অগণিত শিলাস্তূপ আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গড় উচ্চতা ৩.৬ মিটার। সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। ভৌগোলিকভাবে এটি তিনটি অংশে বিভক্ত। উত্তর অংশকে বলা হয় নারিকেল জিঞ্জিরা বা উত্তর পাড়া। দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত লেজের মতো এলাকা। এ অংশটি গলাচিপা নামে পরিচিত। দ্বীপের দক্ষিণে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের ছোট দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া/ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। এটি একটি জনশূন্য দ্বীপ। ভাটার সময় এই দ্বীপে হেটে যাওয়া যায়। তবে জোয়ারের সময় নৌকা প্রয়োজন হয়।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি প্রধানত সমতল। তবে কিছু কিছু বালিয়াড়ি দেখা যায়। এ দ্বীপটির প্রধান গাঠনিক উপাদান হলো চুনাপাথর। দ্বীপটির উত্তর পাড়া এবং দক্ষিণ পাড়া দু’জায়গারই প্রায় মাঝখানে জলাভূমি আছে। এগুলো মিঠা পানি সমৃদ্ধ এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক। দ্বীপটিতে কিছু কৃষিজ দ্রব্য উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪ প্রজাতির উভচর ও ১২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত Sea weeds বা অ্যালগি (Algae) এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্ট মার্টিনে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তবে লাল অ্যালগি (Red Algae) বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও রয়েছে ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্ন্যাসী শিল কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল করাল, রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ, উড়ুক্কু মাছ ইত্যাদি। সামুদ্রিক কচ্ছপ সবুজ সাগর কাছিম এবং জলপাইরঙা সাগর কাছিম প্রজাতির ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত। দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ আছে। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেয়া, শ্যাওড়া, সাগরলতা, বাইন, নারিকেল গাছ ইত্যাদি।

প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে এখানে লোক বসতি শুরু হয়। বর্তমানে এখানে সাত হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান পেশা মাছ ধরা। পর্যটক ও হোটেল ব্যবসায়ীরাই প্রধানত তাদের কাছ থেকে মাছ কেনেন। ছোট মাছ পাটিতে বিছিয়ে, পিটকালা মাছ বালুতে বিছিয়ে এবং বড় জাতের মাছ পেট বরাবর ফেড়ে মাচায় শুকানো হয়। এছাড়াও দ্বীপবাসী অনেকে মাছ, নারিকেল, পেজালা এবং ঝিনুক ব্যবসা করে। এছাড়াও কিছু মানুষ দোকানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ছোট ছোট শিশুরা দ্বীপ থেকে সংগৃহীত শৈবাল পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে থাকে। সম্পূর্ণ সেন্ট মার্টিন দ্বীপেই প্রচুর নারিকেল এবং ডাব বিক্রি হয়। মিয়ানমারের আরাকান থেকে আগত বাংলাভাষী রোহিঙ্গাদের দ্বীপ অঞ্চলে প্রায়শই দেখা যায়।


সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাস
ধারণা করা হয় প্রথম কিছু আরব বণিক এই দ্বীপটির নামকরণ করেছিল জিঞ্জিরা। উল্লেখ্য, তারা চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাতায়াতের সময় এই দ্বীপটিকে বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করত। কালক্রমে চট্টগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন মানুষ এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামেই চিনতো। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কিছু বাঙালি এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দ্বীপে বসতি স্থাপনের জন্য আসে। এরা ছিল মূলত মৎস্যজীবী। যতটুকু জানা যায়, প্রথম অধিবাসী হিসাবে বসতি স্থাপন করেছিল ১৩টি পরিবার। তারা বেছে নিয়েছিল এই দ্বীপের উত্তরাংশ। কালক্রমে এই দ্বীপটি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত হয়। আগে থেকেই এই দ্বীপে কেয়া এবং ঝাউগাছ ছিল। সম্ভবত বাঙালি জেলেরা জলকষ্ট এবং ক্লান্তি দূরীকরণের অবলম্বন হিসাবে প্রচুর পরিমাণ নারকেল গাছ এই দ্বীপে রোপণ করেছিল। কালক্রমে পুরো দ্বীপটি একসময় ‘নারকেল গাছ প্রধান’ দ্বীপে পরিণত হয়। এই সূত্রে স্থানীয় অধিবাসীরা এই দ্বীপের উত্তরাংশকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে অভিহিত করা শুরু করে। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরিপ দল এই দ্বীপকে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে। জরিপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে একজন খ্রিষ্টান সেন্টমার্টিনের নামানুসারে সেন্টমার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিতি লাভ করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শেখ বখতিয়ার উদ্দিন এর মতে, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে দ্বীপটিকে যখন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মার্টিনের নাম অনুসারে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়।
তবে দারুচিনি দ্বীপ নামকরণের ইতিহাসে প্রচলন আছে যে, অনেক বছর আগে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝাই আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নিচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে। যার ফলে জাহাজে থাকা দারুচিনি এই দ্বীপের সবখানেই ছড়িয়ে যায়। এ কারনেই পরবর্তীতে এই দ্বীপের নাম হয় ‘দারুচিনি দ্বীপ’।

সরকারি কিছু নিয়ম
  • সেন্টমার্টিন যেতে হলে যাত্রা পূর্বেই এপসের মাধ্যমে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। বিভিন্ন এজেন্সি তাদের জাহাজের টিকিটের সঙ্গে এই পাস পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এপসের মাধ্যমে না পেলে তাদের সাহায্য নিন।
  • সেন্টমার্টিন যেতে টেকনাফ থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হয়ে নাফ নদী দিয়ে যেতে হয় জন্য বর্তমানে টেকনাফ থেকে যাতায়াত বন্ধ। তাই কক্সবাজার থেকে যেতে হবে।
  • দিনে সর্বোচ্চ ২০০০ জন সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন। তাই পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে অগ্রিম ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ব্যাগ, চিপস ও চিপসের প্যাকেট সহ যেকোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া নিষেধ।
  • যাত্রা পথে গাংচিলদের যেকোনো প্রকার খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। তাদের প্রধান খাবার সামুদ্রিক মাছ। মানুষের জন্য তৈরি প্রসেস ফুড খেলে তারা মারা যায়।
  • পর্যটকরা কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তা নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
  • শুধু নভেম্বর মাসে দ্বীপে গেলে যাবার দিনই ফেরত আসতে হবে।
কখন যাবেন
প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৪ মাস সেন্টমার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত থাকে। বাকি সময় সরকারীভাবেই ভ্রমণ নিষেধ। তাছাড়া শীতের আমেজে আবহাওয়া একেবারে অনুকুল থাকে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় গরমের সময় ভ্রমণ খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে। গরমের সময় ছেড়াদ্বীপ পানিতে ঢাকা থাকে। তাই কষ্ট করে গেলেও তেমন উপভোগ করতে পারবেন না। বর্ষা মৌসুমে ঝড় বৃষ্টিতে উত্তাল থাকে সমুদ্র। সব দিক বিবেচনা করলে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সময়টি যাওয়ার উপযুক্ত সময়। তবে এ সময় পর্যটক চাহিদা অত্যাধিক থাকে জন্য থাকা খাওয়া ও যাতায়াত ভাড়া অনেক বেশি থাকতে পারে।
বিশেষ পরামর্শ
হোটেল বা রিসোর্ট ভাড়া পর্যটক চাহিদার উপর নির্ভর করে। তাই আগেই হোটেল বা রিসোর্ট ভাড়া সম্পর্কে যাচাই বাচাই করে নিবেন। সেন্টমার্টিনে নামলেই প্রথমে একটি বিলবোর্ডের দেখা মিলবে। সেখানের নিয়মনীতি মেনে চলবেন। তবে বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপ কঠিন বিধিনিষেধ এবং কড়াকড়ির কারণে পর্যটকদের ভোগান্তি হয় অথবা ভ্রমণ কষ্টকর, এটি সম্পূর্ণ গুজব। হেঁটে ছেঁড়াদ্বীপ যেতে চাইলে বিকাল ৪ টার আগেই রওনা দিতে হবে। নাহলে ছেঁড়াদ্বীপের আসল সৌন্দর্য সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন না। সেন্টমার্টিনের আসল সৌন্দর্য দেখতে এবং ছেঁড়াদ্বীপ দেখতে আপনাকে অবশ্যই ১ বা দুই দিনের থাকার ব্যবস্থা করে যেতে হবে। ছেঁড়াদ্বীপ যেতে চাইলে জোয়ার ও ভাটার সঠিক সময় জেনে নিবেন। জোয়ার চলাকালীন সময় ছেঁড়াদ্বীপ পানির নিচে চলে যায়। যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে যাবেন। প্রতি বছর সমুদ্রের পানিতে গোসল করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা বহুল। তাই সমুদ্রে গোসলের সময় বেশি গভীরে যাবেন না, যত সম্ভব সামনের দিকে থাকবেন এবং সাবধান থাকবেন। ঢেউয়ে ভারসাম্য হারিয়ে জীবন মরণ অবস্থা হয়ে যেতে পারে। অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা যাবে না। স্থানীয়দের সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে যেখানে সেখানে খোসা বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস এবং বোতল সহ  আবর্জনা ফেলবেন না। প্রয়োজনে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখবেন। প্রবাল সাধারণত ধারাল হয়ে থাকে। সাশ্রয়ী দামে থাকতে শুক্রবার-শনিবার দ্বীপে না যাওয়াই ভালো। দ্বীপে সবকিছু বাইরে থেকে যায়, তাই খাবার খরচ তুলনামূলক বেশি। তিনদিনে জনপ্রতি খরচ হবে ৫-৬ হাজার টাকা। দলবল বড় করে আরো কমে ৩-সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ঘুরে আসা যায়।

  • নিজের ভোটার আইডি কিংবা জন্মসনদের কপি রাখবেন।
বিশেষ সতর্কতা
লক্ষ রাখবেন, যারা রাতে অন্ধকারে আড্ডা দিচ্ছে আপনার আলো যেন তাদের বিরক্তির কারন না হয়। প্রবাল উত্তোলন, কেনা/বেচা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ; প্রবাল, শামুক, ঝিনুক ক্রয় নিষিদ্ধ। সামুদ্রিক কাছিম বিপন্ন প্রাণী, তাই এদের সংরক্ষণ করা জরুরি। সেন্টমার্টিন সৈকত সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থান। শীতকাল এদের ডিম পাড়ার মৌসুম। রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো ও হৈচৈ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আন্তর্জাতিক প্রটোকল ও দেশিয় আইন অনুযায়ী কাছিম ধরা, মারা, ডিম সংগ্রহ ও বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ। বীচে হাটার সময় কাকড়ার আবাসের দিকে লক্ষ রাখবেন। যেন আপনি তাদের আবাসস্থলের জন্য ক্ষতির কারণ না হোন। কেয়া ফল ছিড়বেন না। সেন্টমার্টিন প্রাকৃতিক ঝুকিপূর্ণ অঞ্চল। প্লাস্টিক, কাচ সহ যে সমস্ত বস্তু মাটিতে সহজে পচে না; তা যেখানে সেখানে ফেলবেন না।
সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি সতর্কীকরণ নির্দেশনা নিম্নরূপ:

  • সমুদ্র স্নানের পূর্বে জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিন।
  • এক হাঁটু পানির নিচে না নামাই শ্রেয়।
  • পানিতে নেমে উত্তেজনার বসে তীর হতে দূরে যাবেন না।
  • প্রাপ্ত বয়স্কদের অনুপস্থিতিতে ছোট ছোট বাচ্চা পানিতে নামা নিষেধ।
  • সাঁতার না জানলে পানিতে নামবেন না।
  • একা একা কখনই পানিতে নামবেন না।
  • নৌযান চলাচল কালে লাইফ জাকেট পরিধান করুন।
  • মনে রাখবেন আপনার জীবনের নিরাপত্তা আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে।

সেন্টমার্টিন যেতে আপনাকে আগে কক্সবাজার যেতে হবে, কেননা টেকনাফ থেকে বর্তমানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা চলছে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-

  • আব্দুল্লাহপুর
  • নর্দা
  • ফকিরাপুল
  • আরামবাগ
  • সায়েদাবাদ
  • কল্যাণপুর
  • গাবতলী
  • কলাবাগান
  • মানিকনগর
  • চন্দ্রা
  • পান্থপথ
  • আজমপুর
  • এয়ারপোর্ট
  • কুরিল বিশ্বরোড
  • বাড্ডা
  • বনশ্রী (রামপুরা)
  • চিটাগং রোড
  • জেরানি বাজার
  • শ্রীপুর
  • বাইপাইল
  • বিশমাইল
  • নবীনগর
  • সাভার
  • হেয়ায়েতপুর
  • মহাখালী
  • সাইনবোর্ড
  • শনির আখড়া
  • গৌড়িপুর
  • কাচপুর
  • মাজাররোড
  • মধুমিতা রোড
  • স্টাফ কোয়াটার্স
  • কালিগঞ্জ
  • ধোলাইপার
  • জনপথ
  • বিজিবি মার্কেট
  • রামপুরা
  • গোলাপবাগ
  • মালিবাগ
  • মিরপুর (সকল)
  • কালশী
  • কচুক্ষেত
  • রাজারবাগ
  • আসাদ গেট
  • ধামরাই
বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • এম আর পরিবহন
  • রয়্যাল কক্স সার্ভিস
  • এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রাইভেট) লিমিটেড
  • টাইম’স ট্রাভেল
  • তুবা লাইন
  • শ্যামলী পরিবহন
  • ৪৬ এক্সপ্রেস লিমিটেড
  • রয়্যাল কোচ
  • ইমাদ পরিবহন
  • শান্ত ট্রাভেলস
  • প্যালেস্টাইন ট্রাভেলস
  • গ্রীন লাইন পরিবহন
  • লন্ডন এক্সপ্রেস
  • সোহাগ পরিবহন

    (যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-

  • পর্যটক এক্সপ্রেস (রবিবার বন্ধ)
    ছাড়ায় সময় সকাল ০৬:১৫
  • কক্সবাজার এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় রাত – ১০:৩০ পি.এম
বিমান বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাস স্টান্ড
  • শিরুল
  • কাজলা
  • বিনোদপুর
  • বিহাশ মোড়
  • কাটাখালী
  • বানেশ্বর
  • পুটিয়া

বাস সমূহ:-

  • এভারগ্রীন পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রাজশাহী থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • বনলতা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো)

বিমান বিমানসমূহ:
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা (কামার পাড়া) বাসস্টান্ড
  • মিঠাপুকুর
  • শঠিবাড়ি

বাস সমূহ:-

  • শান্ত ট্রাভেল

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রংপুর থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

কক্সবাজার যাওয়ার বিমানসমূহ:
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সিলেট বাসস্টান্ড
  • কদমতলী
  • হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর
  • সোভানি ঘাট

বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কালনী এক্সপ্রেস
  • জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
  • উপবন এক্সপ্রেস

(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • জালালাবাদ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র শনিবার চলে)
  • উদয়ন এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র রবিবার চলে)
বিমান বিমানসমূহ:
সিলেট বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস সমূহ:-

  • শামীম এন্টারপ্রাইজ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস
  • যমুনা এক্সপ্রেস
  • ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস
  • হাওর এক্সপ্রেস
  • তিস্তা এক্সপ্রেস
  • জামালপুর এক্সপ্রেস
  • আগ্নিবীণা এক্সপ্রেস

(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • বিজয় এক্সপ্রেস (বুধবার বন্ধ)
বিমান

(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কোনো বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে)

বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

খুলনা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নোয়াপাড়া
  • ফুলতলা
  • বড়বাজার
  • আলিফ গেট
  • শিরোমণি বাসস্ট্যান্ড
  • ফুলবাড়ি গেট
  • দোউলতপুর
  • নতুন রাস্তা
  • বয়রা বাজার
  • খালিশপুর
  • রয়্যাল মোড়
  • শিববাড়ি মোড়
  • সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড
  • গোল্লামাড়ি
  • খুলনা জিরো পয়েন্ট
  • রুপশা ব্রীজ বাস পয়েন্ট
  • জবুসা মোড়
  • কাটাখালী
  • ফকিরহাট
  • মাদ্রাসাঘাট
  • জয়দীঘি কাউন্টার
  • মোল্লার হাট বাস পয়েন্ট
  • আপিল গেট

বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
  • ইমাদ পরিবহন (প্রাইভেট) লিমিটেড
  • এম আর পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(খুলনা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ট্রেনে যেতে হবে)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ)
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
  • সুন্দরবন এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে খুলনা শহর থেকে আপনাকে আগে যশোর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

বিমানসমূহ:-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভো এয়ার

বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নাটুল্লাবাদ

বাসসমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
বিমান বিমানসমূহ:-

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শহর থেকে কক্সবাজারগামী অনেক লোকাল বাস সহ সারা বাংলাদেশের সকল বাস চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যায় বলে অনেক কোচ বাস পাওয়া যায়)

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • দামপাড়া
  • সিনেমা প্যালেস
  • নতুন ব্রিজ
  • চাটগাওন বাস পয়েন্ট
  • ডলফিন চত্তর
  • চিটাগং বাস স্ট্যান্ড
  • অলংকার মোড়
বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • স্বাধীন এক্সপ্রেস
  • প্যারাডাইস এক্সপ্রেস
  • লন্ডন এক্সপ্রেস
ট্রেন

(ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল ট্রেন চট্টগ্রাম হয়ে যায়।)

ট্রেনসমূহ:-

  • কক্সবাজার এক্সপ্রেস
  • ঈদ স্পেশাল ৯ (০৯)
  • পর্যটক এক্সপ্রেস
বিমান বিমানসমূহ:-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু জাহাজ-

  • বারো আউলিয়া
  • কর্ণফুলি এক্সপ্রেস
  • কিয়ারি সিন্দাবাদ (যাত্রা পূর্বে ভালোভাবে খোঁজ নিবেন কোথায় থেকে ছাড়বে এবং যাবে কিনা)
  • এমভি গ্রীণ লাইন (যাত্রা পূর্বে ভালোভাবে খোঁজ নিবেন কোথায় থেকে ছাড়বে এবং যাবে কিনা)
  • এমভি বে ক্রুজ (যাত্রা পূর্বে ভালোভাবে খোঁজ নিবেন কোথায় থেকে ছাড়বে এবং যাবে কিনা)
  • কিয়ারি ক্রুজ ডাইন (যাত্রা পূর্বে ভালোভাবে খোঁজ নিবেন কোথায় থেকে ছাড়বে এবং যাবে কিনা)

থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা খাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহরে সহ সেন্টমার্টিনে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।)

আবাসিক হোটেলসমূহ

সেন্টমার্টিনের হোটেলসমুহ:-

  • জ্যোৎস্না বিচ রিসোর্ট
  • দ্যা আটলান্টিক রিসোর্ট
  • হুমায়ুন আহমেদ এর সমুদ্র বিলাস
    অবস্থান: পশ্চিম বীচ
    বুকিং এর জন্য যোগাযোগঃ 01911-920666
  • শায়রি ইকো রিসোর্ট
    অবস্থানঃ গলাচিপা
    ভাড়া – ১৫০০-২৫০০ টাকা
    যোগাযোগ : 01711232917
  • ব্লু মেরিন রিসোর্ট
    অবস্থানঃ জেটির পাশ দিয়ে পশ্চিম বীচে
    ভাড়া – ১৫০০-৫০০০ টাকা
    যোগাযোগ : 01713–399001, 01841-399250, 01841-399251
  • অবকাশ পর্যটন লি। পশ্চিম বিচ, ভাড়া ১৫০০-৩০০০
    যোগাযোগ : ০১৭১৬৭৮৯৬৩৪
  • এস কে ডি রিসোর্ট, বিছানাকান্ধি। ভাড়া ১৫০০-৪০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৯৭২৬১২৬১
  • কোরাল ব্লু রিসোর্টঃ ০১৭১৩১৯০০১৩, ০১৭১৩১৯০০০৭
  • কিংসুক ইকো রিসোর্ট, গলাচিপা, ভাড়া ১৫০০-৩০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৫৩২২২২৮৬
  • সিটিভি রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ১০০০-৩০০০
    যোগাযোগ :০১৮১৫৬৩২০৩৭
  • ডায়মন্ড সি রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ১২০০-২৫০০
    যোগাযোগ: ০১৬৭৭৫৭৭৮৯৯
  • ড্রিম নাইট রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ১৫০০-২৫০০
    যোগাযোগ : ০১৮১২১৫৫০৫০
  • হোটেল স্যান্ড শোর, বাজার এলাকা, ভাড়া ১২০০-২৫০০
  • হোটেল সী ইন, বাজার এলাকা, ভাড়া ১৫০০-২৫০০
    যোগাযোগ : ০১৭২২১০৯৬৭০
  • হোটেল সী ফাইন্ড, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ২০০০-৪০০০
    যোগাযোগ: ০১৬২৬১৮২৭২৫
  • ফরহাদ রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ১২০০-২৫০০
    যোগাযোগ: ০১৯১২৭৬০০১০
  • ব্লু লাগুন রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ জেটির পাশে, ভাড়া ১৫০০-৫০০০
    যোগাযোগ : ০১৮১৮৭৪৭৯৪৬
  • কোকোনাট কোরাল রিসোর্ট, বিলাইকান্ধা, ভাড়া ১৫০০-৩০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৯০৫০৫০৫০
  • লাবিবা বিলাস রিসোর্ট, ওয়েস্ট বীচ, ভাড়া ৩০০০-১২০০০
    যোগাযগ: ০১৭১৪৬৩৪৭৬২
  • লাইট হাউজ রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ১৫০০-৩০০০
    যোগাযোগ :০১৮১৯০৩৬৩৬৩
  • নীল দিগন্তে রিসোর্ট, কনা পাড়া, ভাড়া ২০০০-৪০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৩০০৫১০০৪
  • মিউজিক ইকো রিসোর্ট, দক্ষিণ প্রান্তে, ভাড়া ২৫০০-৪০০০
    যোগাযোগ : ০১৬১৩৩৩৯৬৯৬
  • পান্না রিসোর্ট, পশ্চিম বীচ, ভাড়া ১৫০০-২৫০০
    যোগাযোগ : ০১৮১৬১৭২৬১৫
  • প্রাসাদ প্যারাডাইজ, উত্তর বীচ, বাজারের নিকটে, ভাড়া ১৫০০-৪০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৯৬৮৮০২০৭
  • সীমানা পেরিয়ে, পশ্চিম বীচ, কোণাপাড়া, ভাড়া ১৫০০-৩০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৩১৯৬২৬৬২
  • সমুদ্র খানন, পশ্চিম বীচ, নেভী রোড়। ভাড়া ১২০০-২৫০০
    যোগাযোগ : ০১৭১৩৪৮৬৮৬৬
  • সমুদ্র কুটির, পশ্চিম বীচ, কোণাপাড়া। ভাড়া ১৫০০-৩০০০
    যোগাযোগ : ০১৬১৬৫০৩১২৯
  • ব্যাগস বারী রিসোর্ট, পশ্চিম পাড়া, ভাড়া ১০০০-২০০০
    যোগাযোগ : ০১৭৮৭০২২২০
  • কোরাল ভিউ রিসোর্ট – 01796446653
  • ঢাকা ডাইভার্স ক্লাব – 01711671130
  • ওশেনিক স্কুবা ডাইভিং সার্ভিং- 01711867991

আপনি যেখান থেকেই, যেভাবেই আসুন, এমনভাবে পরিকল্পনা করুন যেন সকালে আপনার জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার আগেই কক্সবাজার যেতে পারেন। এছাড়াও কক্সবাজারে আগে থেকে এসে অবস্থান নিতে পারেন।

কক্সবাজারের উন্নত মানের হোটেলসমুহ:-

  • ওশেন প্যারাডাইস
  • লং বীচ
  • কক্স টুডে
  • সায়মন বিচ রিসোর্ট
  • হেরিটেজ, ইত্যাদি।

কক্সবাজারের মধ্য মানের হোটেলসমুহ:-

  • উইন্ডি টেরেস বুটিক হোটেল
  • ওয়েল পার্ক রিসোর্ট
  • গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল
  • স্বপ্নীল সিন্ধু
  • রয়্যাল পার্ল সার্ভিসড অয়াপার্টমেন্ড এন্ড স্যুট
  • হোটেল সানসেট বে
  • রয়্যাল বীচ রিসোর্ট
  • হোটেল সী উত্তরা
  • হোটেল ইলাফ ইন্টারন্যাশনাল
  • লাইট হাউস ফ্যামিলি রিট্রিট
  • হোটেল বীচ পার্ক
  • প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রিসোর্ট
  • হোটেল কল্লোল
  • হোটেল কোস্টাল পীস
  • হোটেল বীচ ওয়ে

এছাড়াও রয়েছে নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, মারমেইড রিসোর্ট, সী ক্রাউন, চাউনি রিসোর্ট ইত্যাদি।

কক্সবাজারের বাজেট হোটেলসমুহ:-

  • ইকরা বিচ রিসোর্ট
  • অভিসার
  • মিডিয়া ইনন
  • কল্লোল
  • উর্মি গেস্ট হাউস
  • হানিমুন রিসোর্ট
  • নীলিমা রিসোর্ট, ইত্যাদি।
রেস্টুরেন্টসমূহ

সেন্টমার্টিনে যেই রিসোর্ট অথবা হোটেলে থাকবেন, সেখানেই খাওয়ার ব্যবস্থা আগে থেকেই থাকবে।

কক্সবাজারের উল্লেখযোগ্য কিছু রেস্টুরেন্ট:-

  • জুই রেস্টুরেন্ট এন্ড বক্স ভ্যাকেশন
  • বাসমতি রেস্টুরেন্ট এবং বিরিয়ানি হাউস
  • ঝাউ বাগান রেস্টুরেন্ট
  • ঝাউবন রেস্টুরেন্ট
  • রোদেলা রেস্টুরেন্ট
  • ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্ট
  • নিরিবিলি রেস্টুরেন্ট

এছাড়াও আরো অনেক নতুন পুরাতন রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়।

ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইল[email protected]

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
 

অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
১। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
 

Leave a Reply