চন্দ্রনাথ পাহাড়
চট্টগ্রামের পশ্চিমাঞ্চলীয় হিল রেঞ্জের সর্বোচ্চ চূড়া চন্দ্রনাথ পাহাড়। যা এমন একটি স্থান, যেখানে শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই মানুষ আসে না বরং হিন্দুদের অন্যতম একটি তীর্থস্থান হওয়ায় এ মন্দিরে দেশ-বিদেশের অনেক সাধু-সন্ন্যাসী আসেন। সব মিলিয়ে সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত চমৎকার স্থান। তবে এ স্থান জয় করা মোটেও সহজ নয়। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় অনেক দুর্গম পথ-সিঁড়ি। যেখানে ২ হাজার ২শ’টিরও বেশি সিঁড়ি আছে। এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে সামান্য ভুল করলেই হতে পারে বিপদ। কারণ হলো চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়া প্রায় ১০২০ ফুট। হিন্দুদের তীর্থস্থান হওয়ার একটি অন্যতম কারণ চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ার পুরাণ চন্দ্রনাথ মন্দির। চন্দ্রনাথ জাতীয় মহাতীর্থে সীতাকুন্ড স্রাইন কমিটির উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মিত সেতু ও সিঁড়ি। যা উদ্বোধন হয় ২ মার্চ ২০১৩ সালে (শনিবার)।
চট্টগ্রাম পশ্চিমাঞ্চলীয় হিল রেঞ্জ হিমালয় হতে বিচ্ছিন্ন হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। এই পাহাড়টি হিমালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক ঘুরে ভারতের আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্য দিয়ে ফেনী নদী পার হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে মিশেছে। চট্টগ্রাম অংশে ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এই পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত হয়েছে সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক। চন্দ্রনাথ পাহাড় যাওয়ার পথে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নানান সুন্দর সুন্দর স্থাপনা চোখে পরে। এছাড়াও মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র ভাষ্কর্যটিও চোখে পরবে।
এখানে রয়েছে সহস্রধারা আর সুপ্তধারা নামের দুটি জলপ্রপাত। মীরসরাই অংশে রয়েছে খৈয়াছড়া, হরিণমারা, হাটুভাঙ্গা, নাপিত্তাছড়া, বাঘবিয়ানী, বোয়ালিয়া, অমরমানিক্যসহ আরো অনেক অনেক ঝর্ণা ও জলপ্রপাত। পূর্বদিকে এই পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে কয়েকটি ঝর্ণা তথা খাল হালদা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এর মাঝে গজারিয়া, বারমাসিয়া, ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি এবং বোয়ালিয়া অন্যতম। পশ্চিম দিকে মহামায়া, মিঠাছড়া সহ আরো কয়েকটি ছড়া ও ঝর্ণা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। বর্তমানে মহামায়া ছড়ার উপর একটি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে। এই লেক দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক। তাছাড়া নীলাম্বর হ্রদ নামে একটি মনোরম লেক এই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। |
চন্দ্রনাথ মন্দিরের ইতিহাস
রাজমালা অনুসারে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে গৌরের বিখ্যাত আদিসুরের বংশধর রাজা বিশ্বম্ভর সমুদ্রপথে চন্দ্রনাথে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ত্রিপুরার শাসক ধন মানিক্য এ মন্দির থেকে শিবের মূর্তি তার রাজ্যে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিভিন্ন তথ্য অনুসারে এখানের ইতিহাস সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য জানা যায়। প্রাচীন নব্যপ্রস্তর যুগে চট্টগ্রামে মানুষের বসবাস শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। এখান থেকে আবিষ্কৃত প্রস্তর যুগের হাতিয়ার গুলো তারই স্বাক্ষর বহন করে। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীতে সম্পূর্ণ চট্টগ্রাম অঞ্চল আরাকান রাজ্যের অধীনে ছিল। এর পরের শতাব্দীতে এই অঞ্চলের শাসনভার চলে যায় পাল সম্রাট ধর্মপাল এর হাতে (৭৭০-৮১০ খ্রি.)। সোনারগাঁও এর সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ্ (১৩৩৮-১৩৪৯ খ্রি.) ১৩৪০ খ্রিষ্টাব্দে এ অঞ্চল অধিগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৫৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সুর বংশের শের শাহ্ সুরির নিকট বাংলার সুলতানি বংশের শেষ সুলতান গিয়াস উদ্দীন মুহাম্মদ শাহ্ পরাজিত হলে এই এলাকা আরাকান রাজ্যের হাতে চলে যায় এবং আরাকানীদের বংশধররা এই অঞ্চল শাসন করতে থাকেন। পরবর্তীতে পর্তুগীজরাও আরাকানীদের শাসনকাজে ভাগ বসায় এবং ১৫৩৮ খ্রি: থেকে ১৬৬৬ খ্রি. পর্যন্ত এই অঞ্চল পর্তুগীজ ও আরাকানী বংশধররা একসাথে শাসন করে। প্রায় ১২৮ বছরের রাজত্ব শেষে ১৬৬৬ খ্রি. মুঘল সেনাপতি বুজরুগ উন্মে খান আরাকানীদের এবং পর্তুগীজদের হটিয়ে এই অঞ্চল দখল করে নেন।
কখন যাবেন |
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বছরের সব সময়েই যাওয়া যায়। তবে বর্ষাকালে প্রচন্ড বৃষ্টির জন্য এ স্থানের সৌন্দর্য দেখতে সুন্দর লাগলেও এই সময় পাহাড়ে চলাচল ভয়ংকর। প্রতিবছর শিবরাত্রি তথা শিবচতুর্দশী তিথিতে এখানে বিশেষ পূজা হয়। এই পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলা হয়। সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এলাকায় বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বাংলা ফাল্গুন মাসে (ইংরেজি ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস) বড় ধরনের একটি মেলার আয়োজন করে থাকে। যেটি শিবচতুর্দশী মেলা নামে পরিচিত। এই মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য সাধু-সন্ন্যাসী নারী-পুরুষ যোগদান করেন। এই মেলা দোলপূর্ণিমা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। প্রতি বছর পবিত্র এই তীর্থস্থানে মেলা কমিটির ধারণা অনুযায়ী ১০-২০ লক্ষাধিক তীর্থযাত্রীর আগমণ ঘটে এখানে। |
বিশেষ পরামর্শ |
চন্দ্রনাথ পাহাড় জয় করতে হলে অবশ্যই শুরু থেকে লাঠির সাহায্য নিয়ে ধীরে ধীরে উঠতে হবে। প্রতি পিচ লাঠির দাম ৩০ টাকা (২০২৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ী)। তবে লাঠি ব্যবহার শেষে ফেরত দিলে ২০ টাকা ফেরত পাবেন। লাঠি সীতাকুন্ড বাজারে পাওয়া যায়। মূল মন্দিরে যেতে হাইকিং করতে হবে। উচু থেকে নামতে গেলে স্বভাবতই পা নিজের চাহিদার থেকে বেশি আগাতে চায়। তাই নামার সময় সাবধানে নামতে হবে। তাড়াহুড়া করা মোটেও ঠিক হবে না। নাহলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খুবই সতর্কতার সঙ্গে সিঁড়িগুলোয় উঠবেন। পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগবে। আর যেহেতু নিচু অঞ্চল থেকে উচু অঞ্চলে যেতে হয়, তাতে কষ্ট বেশি হয়। পানির পিপাশা লাগে বেশি। তাই ওঠার আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিয়ে উঠবেন। কারণ কিছুক্ষণ পরপরই আপনার শরীরে পানির প্রয়োজন হবে। ভারি কোনো সরঞ্জাম সঙ্গে না রাখাই ভালো। এখানে পাহাড়ি লেবুর শরবত পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের রেকর্ড় অনুযায়ী প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ১০ টাকা। যা বাশের তৈরি বিশেষ গ্লাসে পরিবেশন করা হয়। পাহাড়ের পথ ঝুঁকিপূর্ণ, সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে অনেক ভাঙা সিঁড়ি পাবেন। সিঁড়িগুলোয় উঠতে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ক্লান্ত হয়ে গেলে মাঝপথে বিশ্রাম নিবেন। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার দুটি পথ রয়েছে। একটি পথ বামদিকে, অপরটি ডানদিকে। ডানদিকের রাস্তা প্রায় পুরোটাই সিঁড়ি আর বামদিকের রাস্তাটি পুরোটাই পাহাড়ি পথ। এ ছাড়া সেখানে কিছু ভাঙা সিঁড়িও আছে। বামদিকের পথ দিয়ে ওঠা সহজ আর ডানদিকের সিঁড়ির পথ দিয়ে নামা সহজ। তাই বামদিকের সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন। মন্দির থেকে নামার সময় সিঁড়ির পথ ধরা ভালো। পাশ দিয়ে ইকো পার্কের দিকে চলে যাওয়া রাস্তায় গেলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার আশঙ্কা বেশি। রাতের আগেই স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করবেন। |
বিশেষ সতর্কতা |
যাদের আত্মবিশ্বাসের কমতি আছে, যাদের হার্ট দুর্বল, যারা অল্পতেই ইমোশনাল হয়ে পড়েন, যাদের পেছনে তাকানোর অভ্যাস আছে, যারা নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত অনুভব করেন, যারা কম পরিশ্রমী, যাদের শ্বাসকষ্ট আছে, একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে পরেন এবং যাদের অতিরিক্ত বমি হয় তাদের জন্য চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের দূরত্ব |
|
ঢাকা | ১৫২.৪৭ কি.মি. (৯৪.৭৪ মাইল) |
রাজশাহী |
৩৫৫.০৬ কি.মি. (২২০.৬২ মাইল)
নাটোর হয়ে ঢাকা দিয়ে গেলে ৪৬৩ কি.মি. ঈশ্বরদী হয়ে কুষ্টিয়া দিয়ে গেলে ৫০৭ কি.মি. |
রংপুর |
৪০৫.৬৮ কি.মি. (২৫২.০৮ মাইল)
বগুড়া হয়ে সিরাজগঞ্জ দিয়ে গেলে ৫৪৪ কি.মি. বগুড়া হয়ে নাটোর দিয়ে কুষ্টিয়া হয়ে গেলে ৬৪৮ কি.মি. |
সিলেট | ২২৯ কি.মি. (১৪২.৬৭ মাইল) |
ময়মনসিংহ | ২৪৮.৫৬ কি.মি. (১৫৪.৪৫ মাইল) |
খুলনা | ২১৪.২৫ কি.মি. (১৩৩.১৩ মাইল) |
বরিশাল | ১৩৩.৯৯ কি.মি. (৮৩.২৬ মাইল) |
চট্টগ্রাম | ৫৫.৮৩ কি.মি. (৩৪.৬৯ মাইল) |
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
(দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আসা যায়। চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত হওয়ায় চট্টগ্রামগামী যেকোনো পরিবহনে সীতাকুন্ড আসা যায়। চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সীতাকুন্ড অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) |
|
বাস |
ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
ট্রেন সমূহ:
(ঢাকা থেকে কম খরচে ট্রেনে চড়ে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনে উঠতে হবে। কেননা ঢাকা মেইল ছাড়া আর অন্য কোনো ট্রেন সীতাকুন্ড স্টেশনে থামেনা। সরাসরি চট্টগ্রামে চলে যায়। ঢাকা মেইল ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১১ টায় ছাড়ে এবং সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে সীতাকুন্ডে পৌছায় (২০২৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ী)। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোর মধ্যে শুধু এই ট্রেন সীতাকুণ্ড স্টেশনে থামে।) |
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
(চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে, অটো–রিকশা কিংবা রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে সীতাকুন্ডে যেতে পারবেন।) (সীতাকুণ্ড বাজার থেকে চন্দ্রনাথ ধামের প্রবেশদ্বারে যাওয়ার সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা। রিক্সায় ৫০ টাকা ভাড়া [২০২২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী]) |
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রাজশাহী থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো] |
বিমান |
[রাজশাহী থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রংপুর থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[সিলেট থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[ময়মনসিংহ থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
খুলনা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[খুলনা থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।। অথবা বরিশাল হয়ে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[খুলনা থেকে সীতাকুন্ডে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে যেতে হবে। অথবা বরিশাল হয়ে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাসসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে সবগুলো বাসই সীতাকুন্ডে যায়। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(সীতাকুন্ডের স্থানগুলো একদিনেই ঘুড়ে দেখা সম্ভব। সেক্ষেত্রে ভোর থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। নতুবা থাকতে হবে। থাকা ও খাওয়ার জন্য সীতাকুন্ডে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।) |
ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com