সম্পত্তি কি এবং কত প্রকার
সম্পত্তি বলতে সাধারনত জমি-জমা, ঘর-বাড়ি, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ইত্যাদিকে বুঝায় কিন্তু আইনের ভাষায় সম্পত্তি হচ্ছে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, দলিলপত্র সহ অস্থাবর যে কোন বস্তু বা দ্রব্য।
সম্পত্তি সাধারনত ১০ প্রকার:-
১। চোরাই সম্পত্তি: বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪১০ ধারা মোতাবেক চুরি, দস্যুতা, ডাকাতি বা অন্য কোনভাবে লুন্ঠিত হওয়া সম্পত্তিকে চোরাই সম্পত্তি বলে।
২। চোরাই উদ্ধারকৃত সম্পত্তি:
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪১১ ধারা মোতাবেক চুরি, দস্যুতা, ডাকাতি বা অন্য কোনভাবে লুন্ঠিত হওয়া সম্পত্তি কারো নিকট হতে উদ্ধার হলে এরুপ সম্পত্তিকে চোরাই উদ্ধার সম্পত্তি বলে।
৩। সন্দিগ্ধ সম্পত্তি: ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৫৫০ ধারা মোতাবেক চোরাই সম্পত্তি বলে কথিত বা সন্দেহমুলক বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটনের সন্দেহে যে সকল সম্পত্তি আটক করা হয় এই সকল সম্পত্তিকে সন্দিগ্ধ সম্পত্তি বলে।
৪। বেওয়ারিশ সম্পত্তি বা উইল বিহীন সম্পত্তি: কোন ব্যক্তি মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির কোন ওয়ারিশ না থাকলে তা বেওয়ারিশ সম্পত্তি বা উইল বিহীন সম্পত্তি। পিআরবি নিয়ম ২৫১, পুলিশ আইন ২৫ ধারা।
৫। আলামত: অপরাধের ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া সম্পত্তি বা অপরাধের মামলার ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট এমন বস্তু বা দ্রব্য যা তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্তকালে জব্দ করে থাকেন। এই সকল সম্পত্তিকে আলামত বলে।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ১০৩ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ৩৭৯।
৬। ক্রোককৃত সম্পত্তি: ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৮৮ ধারার ক্রোকী পরোয়ানা মুলে যে সকল পলাতক আসামীর সম্পত্তি জব্দ করা হয় তাকে ক্রোকী সম্পত্তি বলে।
৭। দাবীদারহীন সম্পত্তি: মালিক বিহীন অবস্থায় প্রাপ্ত মালামাল ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ১০৩ ধারা, পিআরবি নিয়ম ২৮০ এবং পুলিশ আইনের ২৫ ধারা মোতাবেক জব্দ করা হয়। এই সকল সম্পত্তিকে দাবীদারহীন সম্পত্তি বলে।
৮। ব্যক্তিগত সম্পত্তি: আসামীকে হাজতে রাখার পূর্বে আসামীর দেহ তল্লাশী করে যে সমস্ত সম্পত্তি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৫১/৫২ ধারা, পিআরবি নিয়ম ৩২২।
৯। জাহাজডুবি সম্পত্তি: পিআরবি নিয়ম ২৭৭ এবং ১৯২৩ সালের মার্চেন্ট শিপিং আইনের ২৭২ ধারা অনুসারে যে সকল সম্পত্তি সমুদ্রে ভাসমান পতিত, নিমজ্জিত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে জাহাজডুবি সম্পত্তি বলে।
১০। মালিক বিহীন গুপ্তধন: পিআরবি নিয়ম ২২৮ এবং ১৮৭৮ সালের গুপ্তধন আইন অনুসারে মাটির নিচে ধাতব মুদ্রা বা ধনভান্ডার পাওয়া গেলে তাকে মালিক বিহীন গুপ্তধন বলা হয়।
তথ্যসূত্র-
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
(পুলিশ পরিদর্শক)
আইনি পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুণ আমাদের ইমেইলে-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com
নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
→ ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
→ ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
→ থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
→ লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
আইনি পরামর্শ সম্পর্কিত অন্যান্য পোস্টসমূহ-
১১। আইনের ইতিহাস
|