fbpx
সাইবার ক্রাইম ও তার প্রতিকার

সাইবার ক্রাইম ও তার প্রতিকার


সাইবার ক্রাইম: ইলেক্ট্রিক যন্ত্র যেমন মোবাইল এবং কম্পিউটার এর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে অপরাধ করা হয় তাকে সাইবার ক্রাইম বলে। সাইবার ক্রাইম বিভিন্নভাবে হতে পারে। বিকাশের মাধ্যমে, কারো ছবি ব্যবহার করে, অন্যের গলার আওয়াজ ব্যবহার করে, ফেইসবুক হ্যাক করে, মোবাইল বা কম্পিউটারে থাকা তথ্য চুরি করে, পাসওয়ার্ড চুরি করে ইত্যাদি। প্রতারক চক্র সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে গোপন তথ্য বা পাসওয়ার্ড চুরি করে অপরাধ করে। অপরাধের শিকার ব্যক্তি ন্যয় বিচার পাওয়ার আশায় আইনের আশ্রয় গ্রহন করে। আইনের মাধ্যমে ন্যয় বিচার পাওয়ার আশায় না থেকে যদি মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহারে সতর্ক থাকা যায় তাহলে অনেক বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

প্রতিকার: যারা মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের মোবাইল ও কম্পিউটার ব্যবহারের পূর্বে সঠিক নিয়ম জানা উচিত। কারণ অপরাধীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেই মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যমে খুব সহজেই অপরাধ করে থাকে। ফলে থানা পুলিশের পক্ষে অপরাধী সনাক্ত করতে অনেকটা কঠিন হয়। অপরাধীরাও একই অপরাধ বারবার করার সুযোগ পায়। মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতামুলক কিছু নির্দেশনা উল্লেখ করা হলো। আশা করি এগুলো পালন করলে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবেন:-

  •  লোভের বশবতী হয়ে নিজের গোপন পিন নম্বার বা পাসওয়ার্ড কাউকে দেওয়া যাবেনা।
  • গোপন পিন নম্বার বা পাসওয়ার্ড কঠিন সংখ্যা দ্বারা দিতে হবে যাতে সহজে কেউ জানতে না পারে।
  • একই পিন নম্বার বা পাসওয়ার্ড দীর্ঘদিন ব্যবহার না করে কিছু দিন পরপর পরিবর্তন করতে হবে।
  • ছবির মাধ্যমে প্রতারণা করা হলে যে আইডি দ্বারা প্রতারণা করা হয়েছে সেই আইডির লিংক ডাউনলোড করে থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।
  • গলার আওয়াজ দ্বারা প্রতারণা করলে সংগে সংগে কল কেটে দিয়ে প্রকৃত ব্যক্তির মোবাইল নাম্বারে কল করে যাচাই করতে হবে।
  • প্রতারকের দেখানো ভয়ে অথবা লোভে তরিঘরি কোন কাজ করা যাবে না। প্রয়োজনে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।
  • ফেইসবুক হ্যাক হলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নতুন আইডি খুলতে হবে।
  • বিশ্বস্ত একজন ব্যক্তি যে মোবাইল এবং কম্পিউটার সম্পর্কে ভাল বুঝে তার সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে হবে।

তথ্যসূত্র-
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
(পুলিশ পরিদর্শক)

Leave a Reply