বাকলাই জলপ্রপাত
বাকলাই জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট “বাক্তলাই ঝর্ণা” নামেও পরিচিত। মুলত কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং এর পথে বাকলাই গ্রাম এবং সেখান থেকে এক ঘণ্টা হাঁটা পথ পার হলেই বাকলাই জলপ্রপাতের অবস্থান। বাকলাই গ্রামটি ট্রেকারদের আশ্রয় কিংবা ক্যাম্পিং স্পট হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও এখানে একটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। যার আশেপাশের গ্রাম বা পাড়াগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রায় ২০টি পরিবার বাস করে। রুমা থেকে প্রায় ১১০ কি.মি এবং থানচি থেকে প্রায় ৪৫ কি.মি দূর থেকে বাকলাই জলপ্রপাত স্পষ্ট দেখা যায়। বাকলাই জলপ্রপাতটি প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু। যা বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচু এবং সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অন্যতম ঝর্ণা বলে পরিচিত। তবে উচ্চতা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেননা লিলুক/লাংলোক ঝর্ণা আর বাকলাই ঝর্ণার উচ্চতার সঠিক পার্থক্য এখনও জানা যায়নি। বান্দরবানের পাহাড়ের গভীরে বাকলাই গ্রাম অবস্থিত। স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পাহাড় কেওক্রাডং ও তাজিংডং এর মাঝেই বাকলাই গ্রামটির অবস্থান। এই গ্রামেই দুই ধাপে এই জলপ্রপাতটি নিচের ভূমি স্পর্শ করে।
বাকলাই জলপ্রপাতের ইতিহাস
সঠিক তারিখ জানা যায়নি। তবে আনুমানিক দশ থেকে বারো বছর পূর্বে একদল পর্যটক বান্দরবানের গভীরে ভ্রমণ করতে আসে। প্রায় একমাসের অধিক সময় বান্দরবানের পাহাড় খনন করে। এই ভ্রমণের সময় তারা বাকলাই ঝর্ণাটি উপর থেকে আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে আরেক দল অভিযাত্রী ঝর্ণার কাছে একটি স্থানে গেলে পানির শব্দ শুনতে পারে। ঝর্ণার পানির প্রচন্ড শব্দ শুনে তারা শব্দের উৎস আবিষ্কারের জন্য অগ্রসর হয় এবং বাকলাই ঝর্ণাটি আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে এখানে পর্যটক আসতে শুরু করে। অনেকেই এই জলপ্রপাতের ব্যাপারে জানেনা জন্য এখানে পর্যটক সংখ্যা খুবই কম।
GPS Coordinate অনুযায়ী এই জলপ্রপাতটির অবস্থান-
- Latitude: N21 52 05.8
- Longitude: E92 31 04.2
কখন যাবেন |
---|
বর্ষায় প্রকৃতি তার নিজস্ব সৌন্দর্যে নিজকে ঘিরে ফেললেও এসময়ে জলপ্রপাত এবং এর আশেপাশের পরিবেশ খুবই ভয়ংকর হয়ে থাকে। তবুও যদি যেতে চান, তবে বর্ষাকালে রুমাগামী জিপ প্রায়শই কইক্ষ্যংঝিড়ি পর্যন্ত যায় এরপর ইঞ্জিন নৌকায় প্রায় ১ ঘন্টার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে রুমাবাজার যেতে হয়। এসময় রুমাবাজার থেকে জলপ্রপাতের সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেটে যেতে হবে। রাস্তা কাঁচা এবং কর্দমাক্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কষ্টসাধ্য হয় বলে শীতকালে লেক ভ্রমণ সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বগালেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে ধারণা করা হয়। |
বিশেষ পরামর্শ |
থানচি থেকে বাকলাই জলপ্রপাত যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন সুবিধা না থাকায় সম্পূর্ণ পথ হেটে যেতে হবে। তবে হেটে গেলেও দিনের বেলায় অঞ্চলটি বেষ নিরাপদ। কেননা পথে মিলবে বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছোট বসতি। যেমন- টুটং পাড়া, হেডম্যান পাড়া, কাইতন পাড়া ইত্যাদি। বিশেষত এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায় এবং সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দেয়ায় অঞ্চলটি বেশ নিরাপদ। তবে অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা যাবে না। স্থানীয় এবং সেনাবাহিনীর সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। যেখানে সেখানে খোসা বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস এবং বোতল ফেলা ঠিক নয়। যেহেতু আপনাকে পাহাড়ি এলাকার যাত্রার জন্য যেতে হবে তাই যথাসম্ভব ছোট ব্যাগ এবং হালকা জিনিসপত্র নেয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, হালকা খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী,পাওয়ার ব্যাংক রাখবেন।
|
বিশেষ সতর্কতা |
মুলত বাকলাই গ্রামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায়, কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং ট্রেকের পথে ভ্রমণকারী কিংবা ট্রেকারদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা সহ উপযুক্ত গাইড সেবা পাওয়া যায়। ভয়াবহ পাহাড়ি রাস্তা এবং যথেষ্ট উদ্যোগের অভাবে খুব কম পর্যটকই এই জলপ্রপাতের একদম পাদদেশ পর্যন্ত যেতে পারেন। তবে ২০১৫ সাল থেকে নিরাপত্তাজনিত কারনে এই রুটে যাতায়াত বন্ধ থাকায় থানচি এবং রুমা – এই দুই রুট থেকেই ঝর্ণাটি দেখতে যেতে পারবেন। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে বাকলাই জলপ্রপাতের দূরত্ব |
|
ঢাকা | ৪০৫ কি.মি. (কুমিল্লা → ফেনী হয়ে গেলে) |
রাজশাহী |
৬৪৬ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)
৬৮৮ কি.মি. (কুষ্টিয়া হয়ে গেলে) |
রংপুর |
৭০২ কি.মি. (বগুড়া → সিরাজগঞ্জ → ঢাকা হয়ে গেলে)
৮৩২ কি.মি. (বগুড়া → নাটোর → কুষ্টিয়া → নারায়ণগঞ্জ হয়ে গেলে) |
সিলেট | ৫১২ কি.মি. |
ময়মনসিংহ | ৫১১ কি.মি. (নেত্রকোনা হয়ে গেলে) |
খুলনা | ৫০২ কি.মি. |
বরিশাল | ৫৫৬ কি.মি. |
চট্টগ্রাম | ১৫৩ কি.মি. |
বাকলাই জলপ্রপাত যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বান্দরবন যেতে হবে |
|
ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) |
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রাজশাহী থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রংপুর থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(সিলেট থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
খুলনা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(খুলনা থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(খুলনা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনে যেতে হবে) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(বরিশাল থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
বান্দরবন থেকে বাকলাই জলপ্রপাত রুটসমূহ এবং বর্ণনা:
ফেরার পথে- রুট অনুযায়ী বান্দরবনে ফিরে আসতে পারবেন। তবে জেনে রাখা দরকার,এই জলপ্রপাত এখন পর্যন্ত কোনো পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে উঠেনি। তাছাড়া খুব বেশি দুর্গম হওয়াসহ নানা কারণে সেনাবাহিনী সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। তাই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এবং সঠিক গাইডের সহযোগিতায় কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ দিনের একটি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে ভ্রমণে যাবেন। সুবিধাজনক রুট এবং আশেপাশের জায়গাগুলো ভালোভাবে দেখার জন্য গাইডের সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলে ও দরদাম ঠিক করে নিতে কোনরূপ দ্বিধা করবেননা। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(থাকা ও খাওয়ার জন্য আদিবাসী পাড়ায় সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
বগালেকে থাকার ব্যবস্থা:-
থানচিতে থাকার ব্যবস্থা:-
বান্দরবানে থাকার ব্যবস্থা:-
(থানচি পেরুলে অথবা বগালেকের পরে যাত্রাপথে কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় আদিবাসীদের পাড়াগুলোতে থাকতে হবে। সেজন্য উক্ত আবাসিক পাড়া সমূহের বাড়ির মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলে কিংবা গাইডের সহযোগিতা নিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
পাড়ার যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক বাড়িতে খাওয়ার সুবিধা পাবেন। |
বি.দ্রঃ গাইডকে আপনাদের কি প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বললে সাধারণত সেই সব কিছুর ব্যবস্থা করবে। |
বান্দরবান থেকে বগালেক যাওয়ার প্রাথমিক দূরত্ব ও ভাড়াসমুহ-
বান্দরবন থেকে রুমাবাজার- (প্রায় ৪৮ কি.মি)
- লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১২০ টাকা
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ৩০০০-৪০০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ৩ ঘন্টা
রুমাবাজার থেকে বগালেক- (প্রায় ১৭ কি.মি)
- লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০ টাকা
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ২০০০-২৫০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২ ঘন্টা
উল্লেখ্য, উক্ত তালিকাসমূহ শুধুমাত্র সর্বনিম্ন ভাড়ার ধারনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল। তাই সঠিক তথ্যানুযায়ী দরকষাকষি করে নেবেন।
বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
|
৫। ডাবল ফলস
৬। দুমলং পাহাড়
|