বগালেক
যা বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা থেকে ১৫ কি.মি দূরে কেওক্রাডং পাহাড়ের কোল ঘেসে অবস্থিত। আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছরেরও পূর্বে এটি সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১,২৪৬ ফুট (৩৮০ মিটার) উচ্চতা কেওক্রাডং পর্বতের গা ঘেষে প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট সর্বোচ্চ উচ্চতার শান্ত,স্বাদু এবং শীতল পানির একটি হ্রদ। মুলত এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫৭ মিটার ও ৬১০ মিটার উচ্চতার মধ্যবর্তী অবস্থানের মালভূমিতে অবস্থিত,যার গভীরতা ৩৮ মিটার (১২৫ ফুট)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম ২০০৫ সালে প্রথম বগালেকের পরিমাপ দ্বারা দাবি করেন বগালেকের উচ্চতা এক হাজার ৭৩ ফুট এবং গভীরতা ১১৫ ফুট।
রুমা উপজেলার পূর্ব দিকে শঙ্খ নদীর তীর থেকে ২৯ কি.মি অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি মৌজা হলো ‘নাইতং মৌজা’, যার পলিতাই পর্বতশ্রেণীর অন্তর্গত একটি পাহাড়ের চূড়ায় এই হ্রদটি অবস্থিত। মুলত হ্রদটি তিনদিক থেকে পর্বতশৃঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত, যেখানে ৪৬ মিটার উঁচু বাঁশঝাড় দ্বারা সকল পর্বত আবৃত। ফানেল বা চোঙা আকৃতির ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা হ্রদের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো দেখায়।
বগা হ্রদের পাশে একটি বম পাড়া (বগামুখপাড়া) এবং একটি মুরং পাড়া রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় উপজাতি হিসেবে বম,মারমা,মুরং বা ম্রোর,খুমি,তঞ্চংগ্যা এবং ত্রিপুরাসহ অন্যান্য উপজাতিরাও বাস করেন। তাদের ধারণা এই হ্রদের আশেপাশে দেবতারা বাস করে। আর তাই তারা এখানে পূজা দেন।
হ্রদটি সম্পূর্ণ আবদ্ধ। এ থেকে পানি বের হতে কিংবা ঢুকতেও পারে না । এমনকি এর আশেপাশে পানির কোনো দৃশ্যমান উৎস নেই। তবে হ্রদ থেকে ১৫৩ মিটার নিচে একটি ছোট ঝর্ণার উৎস আছে, যা “বগা ছড়া” নামে পরিচিত। বাংলাপিডিয়া তথ্যানুযায়ী- এই হ্রদের পানি বেশ অম্লধর্মী। তাই এতে কোনো শ্যাওলা কিংবা অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ নেই। এমনকি এখানে কোনো জলজ প্রাণীও বাঁচতে পারেনা। তবে ২০০৯-এর তথ্যসুত্রানুসারে- বগা হ্রদের পানি অত্যন্ত সুপেয় এবং হ্রদের জলে প্রচুর শ্যাওলা, শালুক, শাপলা সহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ,সেইসাথে প্রচুর ছোট/বড় আকারের মাছ রয়েছে। হ্রদের পানি স্বচ্ছ নীল হলেও এর তলদেশে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে বলে এর পানি তিন থেকে চার বছর পর পর অনেকটা কাদামাখা পানির মতন ঘোলাটে হয়। কিন্তু তিন থেকে চার দিন পানির রং ঘোলাটে থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক রং-এ ফিরে আসে। এছাড়াও সকাল, সন্ধ্যা কিংবা রাতে প্রতি বেলায়ই বগা লেক নতুন রূপে ধরা দেয়। সকালের উজ্জ্বল আলোতে লেকে ঝলমল রূপ দেখা যায় এবং রাতের জ্যোৎস্নার আলোকে দেখা যায় রঙ্গিন রূপ। আর তাই রাতের বগালেক এবং দিনের বগা লেক পুরোপুরি ভিন্ন। বিশেষ করে চাঁদনী রাতে লেকটি সচেয়ে বেশি সুন্দর দেখায়। তবে ২০২৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ী সন্ধ্যার পর সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেকে অবস্থান করা যাবে।
বগাকাইন হ্রদ বা বগালেকের ইতিহাস
স্থানীদের নিকট এটি বগাকাইন হ্রদ, বগালেক কিংবা ড্রাগন লেক বলে পরিচিত। একে অনেকে ‘The Lake Of Mystery’ হিসেবেও চেনে। এই লেক নিয়ে জনমতে অনেক কাহিনী রয়েছে। যেমন-
- ভূ-তত্ত্ববিদগনের মতে- হ্রদটি মৃত কোন আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ কিংবা উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে তৈরী হয়েছে।
- অনেকের মতে- ভূমিধ্বসের কারণে এটি সৃষ্টি হতে পারে।
- অপর এক পৌরাণিক কাহিনী মতে- এই লেকটি ছিল একটি সমৃদ্ধ ম্রো গ্রাম। গ্রামের পাশে একটি সুড়ঙ্গে বড় আকারের সাপ থাকত এবং গ্রামবাসীদের ধরে খেয়ে ফেলতো। ওই সাপ খাওয়ায় নাগরাজার প্রতিশোধে গ্রামবাসীসহ গ্রামটি ডেবে গিয়ে বগা লেকের সৃষ্টি হয়। এখনো বম, ম্রোর আদিবাসিদের বিশ্বাস, হ্রদের গভীরে থাকা নাগরাজ লেজ নাড়ালে হ্রদের পানি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
- স্থানীয় উপজাতিদের উপকথা এবং পাহাড়ের প্রবীণ সাংবাদিক চৌধুরী আতাউর রহমানের ১৯৮৩ সালে ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকায় ‘’বগালেক’’ নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী- বহু বছর পূর্বে বগালেক এলাকায় প্রায় ৬০টি মুরং (ম্রোর) সম্প্রদায়ের পরিবার বসবাস করতো। একটি ড্রাগন তাদের গৃহপালিত পশু মেরে খেয়ে নিতো। পরে স্থানীয়রা ড্রাগনটিকে হত্যা করে তার মাংস গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণ করে দেয়। ওই রাতেই স্থানীয় এক বৃদ্ধা স্বপ্নে দেখেন ড্রাগন হত্যার কারণে গ্রামটি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পরের দিন সকাল হওয়ার আগেই তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে যান। সূর্য উঠার পর ম্রোর সম্প্রদায়ের বসবাসকৃত এলাকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। এর ফলে লেকের সৃষ্টি হয়।
যদিও এই উপকথার কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই, তবে বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং প্রমান সাপেক্ষে হ্রদের জ্বালামুখের মতো গঠন মৃত আগ্নেয়গিরির ধারণাটির সাথে মিল পাওয়া যায়।
কখন যাবেন |
---|
বর্ষায় প্রকৃতি তার নিজস্ব সৌন্দর্যে নিজকে ঘিরে ফেললেও এসময়ে বগালেক এবং এর আশেপাশের পরিবেশ খুবই ভয়ংকর হয়ে থাকে। তবুও যদি যেতে চান, তবে বর্ষাকালে রুমাগামী জিপ প্রায়শই কইক্ষ্যংঝিড়ি পর্যন্ত যায় এরপর ইঞ্জিন নৌকায় প্রায় ১ ঘন্টার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে রুমাবাজার যেতে হয়। এসময় রুমাবাজার থেকে বগালেকের সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেটে যেতে হবে। রাস্তা কাঁচা এবং কর্দমাক্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কষ্টসাধ্য হয় বলে শীতকালে লেক ভ্রমণ সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বগালেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে ধারণা করা হয়। |
বিশেষ পরামর্শ |
অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা যাবে না। স্থানীয়দের সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। যেখানে সেখানে খোসা বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস এবং বোতল ফেলা ঠিক নয়। যেহেতু আপনাকে প্রায় ৪-৫ ঘন্টার দুর্গম এলাকার যাত্রার জন্য যেতে হবে তাই যথাসম্ভব ছোট ব্যাগ এবং হালকা জিনিসপত্র নেয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, হালকা খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী রাখবেন।
|
বিশেষ সতর্কতা |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক যাত্রাপথে জিপের ছাদে ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষেধ। এখানে সোলার ব্যতীত বিদ্যুৎ সুবিধা নেই,তাই পাওয়ার ব্যাংক এবং টর্চ সাথে রাখা খুবই জরুরী। এখানে মোবাইল সিম নেটওয়ার্ক হিসেবে রবি ও এয়ার্টেল উপযোগী। অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি এড়াতে এবং পূর্বে ঘটে যাওয়া মৃত্যু জনিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক লেকে নামা কিংবা গোসল করা সম্পূর্ণ নিষেধ। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে বগালেকের দূরত্ব |
|
ঢাকা | ২৭৩.৮০ কি.মি. (১৭০.১৩ মাইল) |
রাজশাহী | ৪৯০.৪৩ কি.মি. (৩০৪.৭৪ মাইল) |
রংপুর | ৫৪৪.৯৭ কি.মি. (৩৩৮.৬৩ মাইল) |
সিলেট | ৩৪১.৫৬ কি.মি. (২১২.২৩ মাইল) |
ময়মনসিংহ | ৩৭৯.১৬ কি.মি. (২৬৫.৬০ মাইল) |
খুলনা | ৩২২ কি.মি. (২০০.০৮ মাইল) |
বরিশাল | ২৩৩.৩৩ কি.মি. (১৪৪.৯৯ মাইল) |
চট্টগ্রাম | ৮৫.২৫ কি.মি. (৫২.৯৭ মাইল) |
বগালেক যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বান্দরবনে যেতে হবে |
|
ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) |
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রাজশাহী থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস, ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রংপুর থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(সিলেট থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
খুলনা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(খুলনা থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(খুলনা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনে যেতে হবে) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(বরিশাল থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
বান্দরবন থেকে বগালেক রুটসমূহ এবং বর্ণনা:
ফেরার পথে- |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(থাকা ও খাওয়ার জন্য আদিবাসী পাড়ায় সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
(যাত্রাপথে কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় আদিবাসীদের পাড়াগুলোতে থাকতে হবে। সেজন্য উক্ত আবাসিক পাড়া সমূহের বাড়ির মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলে কিংবা গাইডের সহযোগিতা নিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
পাড়ার যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক বাড়িতে খাওয়ার সুবিধা পাবেন। |
বি.দ্রঃ গাইডকে আপনাদের কি প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বললে সাধারণত সেই সব কিছুর ব্যবস্থা করবে। |
বান্দরবান থেকে বগালেক যাওয়ার প্রাথমিক দূরত্ব ও ভাড়াসমুহ-
বান্দরবন থেকে রুমাবাজার- (প্রায় ৪৮ কি.মি)
- লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১২০ টাকা
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ৩০০০-৪০০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ৩ ঘন্টা
রুমাবাজার থেকে বগালেক- (প্রায় ১৭ কি.মি)
- লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০ টাকা
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ২০০০-২৫০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২ ঘন্টা
উল্লেখ্য, উক্ত তালিকাসমূহ শুধুমাত্র সর্বনিম্ন ভাড়ার ধারনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল। তাই সঠিক তথ্যানুযায়ী দরকষাকষি করে নেবেন।
বগালেক ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com