হাইল হাওর
যা সিলেট বিভাগের মৌলভিবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত বৃহৎ জলাভূমি। এই হাওর ১৪টি বিল দিয়ে ঘেরা। এটিকে স্থানীয় ভাষায় ‘লতাপাতার হাওর’ বলা হয়। এটির আয়তন প্রায় ১০ হাজার হেক্টর।
আরও জানা যায়, এখানে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখি ও প্রায় ৯৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে।
এখানে রয়েছে-
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
- প্রচুর লতাপাতা ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের সমারোহ
উল্লেখ্য, মুলত বর্ষা মৌসুমে হাওর দেখার আদর্শ সময়। এখানে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে মৌলভিবাজার/শ্রীমঙ্গলে আসতে হবে।
শ্রীমঙ্গল যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- ফকিরাপুল
- সায়েদাবাদ
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- গ্রীনলাইন
- এস আলম
- শ্যামলী
- সৌদিয়া
- এনা
- ইউনিক
ট্রেন:
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন-
- উপবন
- জয়ন্তিকা
- পারাবত/কালনি এক্সপ্রেস
আকাশপথে ভ্রমণ করতে চাইলে ঢাকা থেকে সিলেটে এসে,তারপর সড়ক পথে শ্রীমঙ্গলে যেতে পারবেন।
বিমান:
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- ইউএস বাংলা
- নভো এয়ার
সিলেটের কদমতলী বাস স্টান্ড থেকে বাস, লেগুনা, সিএনজির মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল হয়ে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত যেতে পারবেন।
শ্রীমঙ্গল থেকে হাইল হাওর-
শ্রীমঙ্গল বাস স্ট্যান্ড থেকে বড়লেখা উপজেলায় পৌঁছে –অটোরিকশা/সিএনজি /লেগুনা/চান্দের গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে হাইল হাওর যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গল আপনাদের জন্য সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক।
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্টসমূহ–
- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ
- টি রিসোর্ট
- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট
- হোটেল প্লাজা
- নিসর্গ ইকো রিসোর্ট
শ্রীমঙ্গলের হোটেলসমূহ-
- পানশী
- পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট
উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
হাইল হাওর ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা।
- পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি।
- ক্যাম্পিং সুবিধা।
- নৌকা যাত্রা।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- আপনি যদি সাঁতার না জানেন তবে পানিতে ঝাঁপ দেবেন না।
- স্থানীয় গাইড নিলে সহজে পুরো অঞ্চল ভালোভাবে ঘুরতে পারবেন।
- ট্র্যাকিংয়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া ভালো।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।