fbpx
ডাবল ফলস

ডাবল ফলস


বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার অন্যতম আকর্ষনীয় জলপ্রপাত এই ডাবল ফলস বা ত্লাবং ঝর্ণা। স্থানীয়রা একে ক্লিবুং খাম নামেও ডেকে থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটি জোড়া ঝর্ণা, দ্বৈত ঝর্ণা, ক্লিবুং খাম কিংবা ত্লাবং ঝর্ণা নামে পরিচিত। সুনসানপাড়ার কারবারি থেকে জানা যায়, “ত্লাবং” একটি বম শব্দ, যার অর্থ “পানি ধরে রাখার বেসিন বা গর্ত”। দ্বৈত ঝর্ণা বা ডাবল ফলসের দুটি ঝিরি যা – প্রানশা বা প্রাংশা (বামদিকে) ও পাঙ্খিয়াং বা পাংখিয়াং (ডানদিকে)। এই ঝিরি দুটি মিলে আকর্ষনীয় জলপ্রপাত তৈরী হয়েছে জন্য এর নাম ডাবল ফলস। এছাড়াও এই ঝর্ণা থেকেই পাথুরে রেমাক্রি খালের উৎপত্তি। ডাবল ফলস রিমাক্রি খালের আদ্যস্থল। মূলত সুংসাং পাড়া থেকে সরল বিস্তৃতির লাল মাটির একটা ট্রেইল এগিয়েছে থাইক্যাং পাড়ার দিকে। সেই পথ ধরে ঘন্টাখানেক হাটলেই ত্লাবংয়ের দেখা মেলে। ত্লাবংয়ের এই পুরো পথ জুড়ে ডানপাশে রয়েছে কপিতাল পাহাড়। আরো রয়েছে অনেক জুমঘর। 

বম গ্রাম থেকে প্রায় ২.৫ কি.মি দক্ষিণ-পূর্ব এবং কেওক্রাডং থেকে প্রায় ১-২ ঘন্টা দূরত্বে এটি অবস্থিত। সুংসাং পাড়ার নিচেই এর অবস্থান। মূলত সুংসাং এবং থাইক্ষাং পাড়ার মাঝের জঙ্গলের খুব গভীরে ঝর্নাটির অবস্থান।


ডাবল ফলসের ইতিহাস

সুংসাং পাড়ার বমদের থেকে জানা যায়,
প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে মিজোরামের পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা মানুষ হত্যা করে এই ঝর্নার উপর থেকে নিচে ফেলে দিত। বর্তমানে যেখানে সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্প অবস্থিত, সেখানে ১৯৯০ এর দিকে মিজোরাম সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ছিল। আরও জানা যায়, সেসময় এরকম হত্যাকাণ্ড লেগেই থাকতো। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের হটিয়ে আর্মি ক্যাম্প খুললে আসতে আসতে এখানে পর্যটকদের সমাগম ঘটে।
কখন যাবেন
বর্ষাকালে রুমাগামী জিপ প্রায়শই কইক্ষ্যং ঝিড়ি পর্যন্ত যায় এরপর ইঞ্জিন নৌকায় প্রায় ১ ঘন্টার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে রুমাবাজার যেতে হয়। এসময় রুমাবাজার থেকে বগালেকের সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেটে যেতে হবে। রাস্তা কাঁচা এবং কর্দমাক্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কষ্টসাধ্য হয় বলে শীতকালে ঝর্ণা ভ্রমণ সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। তবে বছরের যেকোনো সময়েই এই ঝর্ণায় যাওয়া যায়।
বিশেষ পরামর্শ
অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা যাবে না। স্থানীয়দের সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। যেখানে সেখানে খোসা বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস এবং বোতল ফেলা ঠিক নয়। যেহেতু আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে দুর্গম এলাকার যাত্রার জন্য যেতে হবে তাই যথাসম্ভব ছোট ব্যাগ এবং হালকা জিনিসপত্র নেয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, হালকা খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী রাখবেন।
বিশেষ সতর্কতা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক যাত্রাপথে জিপের ছাদে ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষেধ। এখানে সোলার ব্যতীত বিদ্যুৎ সুবিধা নেই,তাই পাওয়ার ব্যাংক এবং টর্চ সাথে রাখা খুবই জরুরী। এখানে মোবাইল সিম নেটওয়ার্ক হিসেবে রবি ও এয়ার্টেল উপযোগী। যাত্রাপথে ক্রাঞ্চা খাল পার হতে হয়। কিন্তু খালের কিছু কিছু স্থান খুবই গভীর বলে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা অতীব জরুরি। বিশেষ করে গভীর স্থান গুলোর পানি অতি গভীরতার কারণে নীল দেখা যায়।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে ডাবল ফলসের দূরত্ব
ঢাকা ৩৯৭ কি.মি.
রাজশাহী ৬৮0 কি.মি. (সিরাজগঞ্জ হয়ে গেলে) 
রংপুর ৬৮৯ কি.মি. 
সিলেট ৪৯৯ কি.মি.
ময়মনসিংহ ৪৯৮ কি.মি. (কিশোরগঞ্জ হয়ে গেলে)


৫০৭ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)

খুলনা ৫৮৬ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)


৪৯৫ কি.মি. (বাগেরহাট → পিরোজপুর → বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে)

বরিশাল ৩৮৭ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে)
চট্টগ্রাম ১৫১ কি.মি. (পাহাড়তলি → বান্দরবন হয়ে গেলে)


১৪৫ কি.মি. (পটিয়া ক্রসিং →  দোহাজারি → সাতকানিয়া হয়ে গেলে)


১৪৮ কি.মি. (আনোয়ারা → সাতকানিয়া হয়ে গেলে)


ডাবল ফলস যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বান্দরবনে যেতে হবে

ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-

  • ফকিরাপুল
  • সায়েদাবাদ
  • কলাবাগান
  • আব্দুল্লাহপুর
  • গাবতলী
  • কল্যাণপুর
  • যাত্রাবাড়ি
  • আরামবাগ

(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) 

বাস সমূহ:-

  • শ্যামলী
  • হানিফ
  • এস আলম
  • ডলফিন
  • ইউনিক
  • সৌদিয়া 
  • ঈগল
  • সেন্টমার্টিন
ট্রেন

(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-

  • মহানগর প্রভাতী (৭০৪)
    ছাড়ায় সময় ০৭:৪৫
    পৌছানোর সময় ১৪:০০ (প্রতিদিন)
  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (৭০২) 
    ছাড়ার সময় – ০৪:৪৭ পি.এম
    পৌছানোর সময় – ০৯:৫০ পি.এম (শুধু সোমবার চলে)
  • মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২)
    ছাড়ায় সময় ২১:২০
    পৌছানোর সময় ০৪:৫০ (রবিবার বন্ধ)
  • তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪২)
    ছাড়ায় সময় ২৩:৩০
    পৌছানোর সময় ০৬:২০ (প্রতিদিন)
  • সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৮)
    ছাড়ায় সময় ০৭:০০
    পৌছানোর সময় ১২:১৫ (বুধবার বন্ধ)
  • চট্টগ্রাম মেইল (০২)
    ছাড়ায় সময় ২২:৩০
    পৌছানোর সময় ০৭:২৫ (প্রতিদিন)
  • কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৪)
    ছাড়ায় সময় ০৮:৩০
    পৌছানোর সময় ১৮:০০ (প্রতিদিন)
  • চট্টলা এক্সপ্রেস (৬৪)
    ছাড়ায় সময় ১৩:০০
    পৌছানোর সময় ২০:৫০ (মঙ্গলবার বন্ধ)
বিমান

(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(রাজশাহী থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাস স্টান্ড
  • বানেশ্বর
  • বিনোদপুর
  • কাজলা
  • কাটাখালি
  • পুটিয়া
  • রাজাবাড়ি
  • শিরুল 

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এভারগ্রীন পরিবহন
  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • পদ্মা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো)

বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(রংপুর থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা (কামার পাড়া) বাসস্টান্ড

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
  • শ্যামলী
  • শান্ত ট্রাভেল
  • শাহ্‌ ফতেহ আলী

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(সিলেট থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সিলেট বাসস্টান্ড
  • কদমতলী
  • হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর
  • সোভানি ঘাট

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • জালালাবাদ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র শনিবার চলে)
  • উদয়ন এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র রবিবার চলে)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌখিন পরিবহন
  • আলম এশিয়া
  • স্বপ্নভুমি পরিবহন
  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • বিজয় এক্সপ্রেস (বুধবার বন্ধ)
বিমান

(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

খুলনা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায়

বাস

(খুলনা থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সোনাডাঙ্গা
  • র‍য়্যাল চত্ত্বর
  • রয়্যাল মোড়
  • দৌলতপুর
  • ফকিরহাট
  • ফুলবাড়ি গেট
  • ফুলতলা বাস স্ট্যান্ড
  • কাটাখালি বাস স্টান্ড
  • খুলনা জিরো পয়েন্ট
  • খুলনা বাস স্টান্ড

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • সৌদিয়া কোচ
  • টাইম ট্রাভেলস
  • রয়্যাল ট্রাভেলস

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(খুলনা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনে যেতে হবে)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ)
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
বিমান চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

বরিশাল থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায়

বাস

(বরিশাল থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নাটুল্লাবাদ

চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-

  • হানিফ 
  • এনা 
  • সোহাগ
  • লাবিবা ক্লাসিক
  • সেভেন স্টার ডিলাক্স
  • সৌদিয়া কোচ

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • বদ্দার হাট
বাস সমূহ:-

  • পূবালী
  • পূর্বানী

বান্দরবন থেকে ডাবল ফলস

রুটসমূহ এবং বর্ণনা:
রুট: বান্দরবন → রুমা বাজার → বগালেক → কেওক্রাডং → পাসিং পাড়া → সুংসাং পাড়া → ডাবল ফলস।

  • বান্দরবান শহরের বাস/চান্দের গাড়ি স্টান্ড থেকে লোকাল বাস কিংবা চাঁন্দের গাড়ি/জীপে করে রুমা বাজার যেতে হবে।
  • রুমা বাজার পৌঁছে প্রথমেই আপনাকে বাধ্যতামুলক রেজিস্টার্ড গাইড ঠিক করে নিতে হবে। রওনা হবার আগে রুমা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে বগালেক যাবার অনুমতি নিতে হবে। অনুমতির জন্যে ভ্রমণকারী সকল সদস্যের পরিচয় লিখিত কাগজে জমা দিতে হবে।
  • অনুমতি নেবার পর রুমাবাজার থেকে বাস বা ল্যান্ডক্রুজার জীপ কিংবা চান্দের গাড়ী ভাড়া করতে হবে। (একটি চান্দের গাড়িতে ৮-১৫ জন যাওয়া যায়।)
  • রুমা থেকে বগালেক পর্যন্ত লোকাল বাস বা ল্যান্ডক্রুজারের রিজার্ভ করতে হবে। (একটি চান্দের গাড়িতে ৮-১৫ জন যাওয়া যায়।)
  • বগালেক থেকে ট্রেকিং করে দার্জিলিং পাড়া।
  • দার্জিলিং পাড়া থেকে কেওক্রাডং চুড়া।
  • কেওক্রাডং থেকে কিছুটা পথ হাঁটলেই পাসিং পাড়া।
  • পাসিং পাড়া থেকে প্রায় ১ হাজার ফুট নিচে সুংসাং পাড়া। (রাস্তাটি পাথুরে ও গাছপালায় ঘেরা)
  • সুংসাং পাড়া থেকে গভীর অরন্যে দেখা মিলবে ডাবল ফলস। 

ফেরার পথে-
সকালে আবার আগের রুট অনুযায়ী বান্দরবনে ফিরে আসতে পারবেন।
সুবিধাজনক রুট এবং আশেপাশের জায়গাগুলো ভালোভাবে দেখার জন্য গাইডের সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলে ও দরদাম ঠিক করে নিতে কোনরূপ দ্বিধা করবেননা।


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা খাওয়ার জন্য আদিবাসী পাড়ায় সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।)

আবাসিক হোটেলসমূহ প্রথম রাত বগালেকে কাটাতে পারেন। 

  • আদিবাসীদের ছোট ছোট কিছু কটেজ
  • সিয়াম দিদির হোটেল
  • পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের একটি অত্যাধুনিক রেস্ট হাউজ (নির্মাণাধীন)

ফেরার পথে সুংসাং পাড়ায় রবার্ট বমের কটেজে রাত কাটাতে পারেন।
তবে সেখানে রান্না করা খাবার পাওয়া একটু আসুবিধাজনক।

(যাত্রাপথে কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় আদিবাসীদের পাড়াগুলোতে থাকতে হবে। সেজন্য উক্ত আবাসিক পাড়া সমূহের বাড়ির মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলে কিংবা গাইডের সহযোগিতা নিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।)

রেস্টুরেন্টসমূহ

পাড়ার যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক বাড়িতে খাওয়ার সুবিধা পাবেন।

বি.দ্রঃ গাইডকে আপনাদের কি প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বললে সাধারণত সেই সব কিছুর ব্যবস্থা করবে।

বান্দরবান থেকে বগালেক যাওয়ার প্রাথমিক দূরত্ব ও ভাড়াসমুহ-

বান্দরবন থেকে রুমাবাজার- (প্রায় ৪৮ কি.মি)

  • লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১২০ টাকা
  • চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ৩০০০-৪০০০ টাকা

পৌঁছানোর সময়- প্রায় ৩ ঘন্টা

রুমাবাজার থেকে বগালেক- (প্রায় ১৭ কি.মি)

  • লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০ টাকা
  • চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ২০০০-২৫০০ টাকা

পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২ ঘন্টা

উল্লেখ্য, উক্ত তালিকাসমূহ শুধুমাত্র সর্বনিম্ন ভাড়ার ধারনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল। তাই সঠিক তথ্যানুযায়ী দরকষাকষি করে নেবেন।


ডাবল ফলস ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নেবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইলadmin@biratbazar.com

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
 
রুমা উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
 

Leave a Reply