কেওক্রাডং পাহাড়
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বান্দরবন জেলা রুমা উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে রুশীয় এসআরটিএম এবং ইউএসজিএস-এর মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে কেওক্রাডং-এর প্রকৃত অবস্থান এটি নয়। তারা এ স্থান থেকে আরও উত্তরে কেওক্রাডাং এর অবস্থান শনাক্ত করেছেন এবং উচ্চতা ৮৮৩ মিটার পরিমাপ করেছেন। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতা নিয়ে বিভিন্ন পরিমাপ জনিত মতামত রয়েছে। যেমন-
- যখন একে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মনে করা হতো তখন এর উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১,২৩০ মিটার।
- অধুনা রাশিয়া কর্তৃক পরিচালিত এসআরটিএম উপাত্ত এবং জিপিএস গণনা থেকে দেখা গেছে এর উচ্চতা ১,০০০ মিটারের বেশি নয়।
- শৃঙ্গের শীর্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ফলকে এর উচ্চতা লেখা হয়েছে ৩,১৭২ ফুট।
- জিপিএস সমীক্ষায় উচ্চতা পাওয়া গেছে ৯৭৪ মিটার (৩,১৯৬ ফুট)।
তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লিখিত তথ্যানুযায়ী এর উচ্চতা ৩,১৭২ ফুট বা ৯৬৬.৮৩ মিটার।
বৃষ্টি, বাতাস কিংবা মেঘ সময় সময় দখল নেয়ায় দূর থেকে কেওক্রাডং চূড়াকে ধোয়াটে মনে হয়। এছাড়াও প্রবল বাতাস হওয়ায় সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকাও অনেক সময় কষ্টকর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে কেওক্রাডং হ্যালিপ্যাড থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য অসাধারণ লাগে। পাহাড়ের চারপাশ সবুজ গাছপালা এবং ছোট-বড় পাহাড়ে ঘেরা। এছাড়াও এই জায়গায় পোঁছানোর আঁকাবাঁকা রাস্তাটিও বেশ দুর্গম এবং মনোমুগ্ধকর। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেওক্রাডং পাহাড় সফর এবং একটি স্মৃতি ফলক উন্মোচন করেন।
কেওক্রাডং পাহাড়ের ইতিহাস
কেওক্রাডং শব্দটি মুলত মারমা ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় কেও মানে “পাথর”, কাড়া মানে “পাহাড়” আর এবং ডং মানে “সবচেয়ে উঁচু”। অর্থাৎ কেওক্রাডং এর পূর্ণ অর্থ- “সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়”। কেওক্রাডং এর বর্তমান রাজা (২০২২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী) লালা বম বলেন, ১৯৬২ সালে বন্যার পানি জমলে চাইনা হুয়াং জাতি (রাজবংশ) চিন দেশ থেকে এখানে আসেন। ১৮০০ সালে চিনদেশ থেকে প্রথমে মনিপুর ও মিজোরাম হয়ে বাংলাদেশের কর্ণফুলি কাপ্তাই এলাকায় নিকুয়াল মহাজন হাওহেং গয়াল (গরু) নিয়ে আসে। সুনবিল মহাজন হাওহেং ও মানকিপ মহাজন হাওহেং রুমা উপজেলার কেওক্রাডং এলাকায় ১৯৬৩ সালে গয়াল ফার্ম তৈরি করে। একই সালে দার্জিলিং পাড়া আবিষ্কৃত হয়। তারা রুমা উপজেলার কেওক্রাডং মেসার্স লালা গয়াল ফার্ম, সালৌপি পাড়া, তামলৌ পাড়া, ফাইনুয়াম পাড়া, বাকতাই পাড়া, দোলাচান পাড়া, তাংচাত পাড়া, আনন্দ পাড়া, পুকুর পাড়া, জারুছড়ি পাড়া, সুনসং পাড়া, থাইক্ষ্যং পাড়া, তাংদোয়াই পাড়া, সিমতাংপি পাড়া, প্রাতা পাড়ায় গয়াল পালন শুরু করে। এভাবেই চলতে থাকে অনেক বছর। অবশেষে ২০০৫ সাল থেকে এখানে পর্যটক আসা শুরু করলে এটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়।
কখন যাবেন |
বর্ষায় প্রকৃতি তার নিজস্ব সৌন্দর্যে নিজকে ঘিরে ফেললেও এসময়ে বগালেক, চিংড়ি ঝর্ণা, কেওক্রাডংসহ এর আশেপাশের পরিবেশ খুবই ভয়ংকর হয়ে থাকে। তবুও যদি যেতে চান, তবে বর্ষাকালে রুমাগামী জিপ প্রায়শই কইক্ষ্যংঝিড়ি পর্যন্ত যায় এরপর ইঞ্জিন নৌকায় প্রায় ১ ঘন্টার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে রুমাবাজার যেতে হয়। এসময় রুমাবাজার থেকে কেওক্রাডং সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেটে যেতে হবে। রাস্তা কাঁচা এবং কর্দমাক্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কষ্টসাধ্য হয় বলে শীতকালে ভ্রমণ সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। আগস্টের শুরু থেকে পরবর্তী নভেম্বর মাস পর্যন্ত কেওক্রাডং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে ধারণা করা হয়। |
বিশেষ পরামর্শ |
শুষ্ক মৌসুমে বগালেক থেকে চাঁন্দের গাড়িতে পাহাড় চূড়ায় পৌছা যায়। তাই কেওক্রাডং গমনের পূর্বেই গাড়ী ভাড়া করতে হবে। সেখানকার মানুষের জীবন যাত্রা সমতলের মানুষের মত নয়। তাই তাদের অসম্মান হয় এমন কাজ করা যাবেনা। অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা যাবে না। স্থানীয়দের সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। যেখানে সেখানে খোসা বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস এবং বোতল ফেলা যাবে না। যেহেতু আপনাকে প্রায় ৪-৫ ঘন্টার দুর্গম এলাকার যাত্রার জন্য যেতে হবে তাই যথাসম্ভব ছোট ব্যাগ এবং হালকা জিনিসপত্র নেয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, মাথা বেথার ঔষধ, হালকা খাবার সহ প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী রাখবেন। ট্রেকিং এর আগে বগালেক আর্মি ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়ে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হবে। ট্রেকিং এর জন্য ভালো গ্রিপের জুতা ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক কিছু নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক-
|
বিশেষ সতর্কতা |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক যাত্রাপথে জিপের ছাদে ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষেধ। এখানে সোলার ছাড়া বিদ্যুৎ সুবিধা নেই,তাই পাওয়ার ব্যাংক এবং টর্চ সাথে রাখা খুবই জরুরী। এখানে মোবাইল সিম নেটওয়ার্ক হিসেবে রবি ও এয়ার্টেল উপযোগী। অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি এড়াতে এবং পূর্বে ঘটে যাওয়া মৃত্যু জনিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক লেকে নামা কিংবা গোসল করা সম্পূর্ণ নিষেধ। রুমা উপজেলায় টেলিটক এবং রবি নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় অন্য সকল অপারেটরের থেকে। |
অনুমতি কোথা থেকে নিতে হবে |
কেওক্রাডং যেতে হলে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে ৫ জায়গা থেকে –
তবে চিন্তার কিছু নেই। এ সকল কাজগুলো আপনার গাইড করবে। আপনি শুধু নিজের নাম, ফোন নাম্বার আর স্বাক্ষর দিবেন। |
কিছু দরকারি তথ্য |
|
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে কেওক্রাডং এর দূরত্ব |
|
ঢাকা | ৩৮৪ কি.মি. |
রাজশাহী |
৬২৯ কি.মি. (সিরাজগঞ্জ হয়ে গেলে)
৬৭১ কি.মি. (কুষ্টিয়া → ফরিদপুর হয়ে গেলে) |
রংপুর | ৬৭২ কি.মি. (সিরাজগঞ্জ হয়ে গেলে) |
সিলেট | ৪৮৪ কি.মি. |
ময়মনসিংহ |
৪৯৩ কি.মি. (ঢাকা হয়ে গেলে)
৪৮৪ কি.মি. (ভৈরব হয়ে গেলে) ৪৬৭ কি.মি. (নরসিংদী হয়ে গেলে) |
খুলনা |
৪৫৫ কি.মি. (গোপালগঞ্জ → ভাঙ্গা → শ্রীনগর → ঢাকা হয়ে গেলে)
৪৪৬ কি.মি. (বরিশাল → ভোলা → লক্ষ্মীপুর হয়ে গেলে) |
বরিশাল | ৩৪১ কি.মি. |
চট্টগ্রাম |
১৩৮ কি.মি. (পটিয়া → সাতবানিয়া হয়ে গেলে)
১৪১ কি.মি. (বান্দরবান) |
কেওক্রাডং পাহাড় যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বান্দরবনে যেতে হবে |
|
ঢাকা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
(রাত ০৯.০০ টা থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত বাস পাবেন) |
বাস সমূহ:-
|
|
ট্রেন |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
|
বিমান |
(ঢাকা থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রাজশাহী থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-
(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো) |
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(রংপুর থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(রংপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(বিমানে সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(সিলেট থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ: সিলেট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
(ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবনের সরাসরি বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে) চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
খুলনা থেকে বান্দরবন যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(খুলনা থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(খুলনা থেকে বান্দরবনের সরাসরি ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনে যেতে হবে) ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
|
বিমান |
চট্টগ্রাম যাওয়ার বিমানসমূহ:-
|
বরিশাল থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(বরিশাল থেকে বান্দরবন সরাসরি যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন বাস,ট্রেন কিংবা বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবন যেতে হবে।) চট্টগ্রাম যাওয়ার বাস স্টান্ডসমূহ:-
চট্টগ্রাম যাওয়ার বাসসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
|
|
বান্দরবন থেকে কেওক্রাডং পাহাড় রুটসমূহ এবং বর্ণনা:
ফেরার পথে- |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(থাকা ও খাওয়ার জন্য আদিবাসী পাড়ায় সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
বগালেকে রাত্রি যাপনের জন্য-
কেওক্রাডং পাহাড়ে রাত্রিযাপন- কেওক্রাডং পাহাড়ে রাত যাপন করতে হলে চূড়ায় ওঠার আগেই একটা রেস্টুরেন্ট পাবেন, তাদের সাথে বললে ব্যবস্থা করে দেবে। অবশ্যই দরদাম করে নেবেন। (যাত্রাপথে কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় আদিবাসীদের পাড়াগুলোতে থাকতে হবে। সেজন্য উক্ত আবাসিক পাড়া সমূহের বাড়ির মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলে কিংবা গাইডের সহযোগিতা নিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
পাড়ার যেকোনো জায়গার রেস্টুরেন্ট কিংবা আবাসিক বাড়ি/কটেজে খাওয়ার সুবিধা পাবেন। |
বি.দ্রঃ গাইডকে আপনাদের কি প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বললে সাধারণত সেই সব কিছুর ব্যবস্থা করবে। |
বান্দরবান থেকে কেওক্রাডং যাওয়ার প্রাথমিক দূরত্ব ও ভাড়াসমুহ-
বান্দরবন থেকে রুমাবাজার- (প্রায় ৪৮ কি.মি)
-
- লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১২০ টাকা
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ৩০০০-৪০০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ৩ ঘন্টা
রুমাবাজার থেকে বগালেক- (প্রায় ১৭ কি.মি)
-
- লোকাল বাস- জনপ্রতি ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০ টাকা
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ২০০০-২৫০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২ ঘন্টা
বগালেক থেকে কেওক্রাডং- (প্রায় ১৫ কি.মি)
-
- চান্দের গাড়ি- সর্বনিম্ন ২০০০-২৫০০ টাকা
পৌঁছানোর সময়- প্রায় ২ ঘন্টা
উল্লেখ্য, উক্ত তালিকাসমূহ শুধুমাত্র সর্বনিম্ন ভাড়ার ধারনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল। তাই সঠিক তথ্যানুযায়ী দরকষাকষি করে নেবেন।
কেওক্রাডং পাহাড় ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – admin@biratbazar.com
রুমা উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান |
১। বগালেক ২। চিংড়ি ঝর্ণা |