রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি
যা কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোরেশদপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি প্রায় ৩৩ বিঘা জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এটি ৩ তলা বিশিষ্ট কুঠিবাড়ি।
জানা যায়, ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সময় কাটাতে এবং জমিদারীর কাজ পরিচালনার জন্য এখানে আসতেন। এছাড়াও তিনি এখানে থাকাকালীন সময়ে অনেক কাব্য রচনা ও অনুবাদ করেছেন। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখানে রয়েছে-
- রবি ঠাকুরের আঁকা ও ছোটবেলার ছবি এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র
- ৮ বেহারার পালকি
- কাঠের চেয়ার
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত সোফাসেট
- পালংক
- স্পিডবোট
উল্লেখ্য, এটি রবিবার ব্যতিত প্রতিদিন খোলা থাকে। এখানে সকল সুবিধা গ্রহণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন চার্জ প্রযোজ্য।
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কুষ্টিয়া যেতে হবে।
কুষ্টিয়া যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- শ্যামলী
- নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স
- হানিফ
ট্রেনঃ
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- বেনাপোল এক্সপ্রেস
কুষ্টিয়া থেকে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে, অটো-রিকশা কিংবা রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য কুষ্টিয়াতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
কুষ্টিয়ার আবাসিক হোটেল সমূহ–
- হোটেল নূর ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল রিভার ভিউ
উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
কুষ্টিয়ার রেস্টুরেন্টসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।