পুটনী দ্বীপ, যা খুলনা জেলার সুন্দরবনে অবস্থিত একটি দ্বীপ। স্থানীয়দের কাছে এটি “দ্বীপচর” নামে পরিচিত।
জানা যায়, এলাকাটি জোয়ার ভাটা অনুযায়ী একবার ভাসমান এবং আরেকবার বালুচরে পরিণত হয়। এছাড়াও এটি মাছ এবং হরিণের অভয়ারণ্য।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- সমুদ্র
- বনাঞ্চল
- আঁকাবাঁকা খাল
- আড়পাঙ্গাসিয়া নদী
- বঙ্গোপসাগর মোহনা
উল্লেখ্য, এই দ্বীপে আসতে হলে মংলা বন বিভাগের অফিস অথবা হিরন পয়েন্টের বন বিভাগের অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
পুটনী দ্বীপ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বাগেরহাট আসতে হবে।
বাগেরহাট যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- হানিফ
- ঈগল পরিবহন
- সোহাগ
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বাগেরহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
বাগেরহাট থেকে পুটনী দ্বীপ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে মংলা বন বিভাগের অফিস অথবা হিরন পয়েন্টের বন বিভাগের অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে মংলা থেকে ট্রলার নিয়ে পুটনী দ্বীপ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য পুটনী দ্বীপ সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
পুটনী দ্বীপের রিসোর্টসমূহ–
- হিরণপয়েন্টের নীলকমল
- টাইগার পয়েন্টের কচিখালী
- কাটকায় বন বিভাগের রেস্ট হাউজ
- কচিখালি বন বিভাগের রেস্ট হাউজ
এছাড়া ট্রলারে কিংবা দ্বিপের উঁচু স্থানে ক্যাম্পিং করতে পারবেন।
পুটনী দ্বীপের হোটেলসমূহ-
দ্বীপ কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
পুটনী দ্বীপ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।