ঠাকুরপুর মসজিদ, চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের পার্শ্ববর্তী ঠাকুরপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি প্রায় ৩০ বিঘা জমিজুড়ে বিস্তৃত। স্থানীয়দের নিকট এটি “পীরগঞ্জ জামে মসজিদ” ও “জিনের মসজিদ” হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত সাধক হযরত আফু শাহ্ ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দ্যেশ্যে ঠাকুরপুরে খানকা স্থাপন করেন এবং জীনদের সাহায্যে এক রাতের মধ্যেই মসজিদটি নির্মাণ করেন।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- প্রবেশ তোরণ
- পুকুর
- কবরস্থান
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন মসজিদ প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওরশের আয়োজন করা হয়।
ঠাকুরপুর মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চুয়াডাঙ্গা আসতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- পূর্বাশা
- চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স
- পর্যটক পরিবহন
- রয়েল
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে খুলনাগামী ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- বেনাপোল এক্সপ্রেস
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঠাকুরপুর মসজিদ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে ঠাকুরপুর মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গায় সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল প্রিন্স
- হোটেল আল মেরাজ
- হোটেল অবকাশ
- অন্তুরাজ আবাসিক হোটেল
চুয়াডাঙ্গার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
ঠাকুরপুর মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।