খান জাহান আলীর মাজার,যা বাগেরহাট জেলা শহরের দীঘির উত্তর পাড়ে অবস্থিত।
জানা যায়, খান জাহান আলী (র.) ধর্ম প্রচারের লক্ষে সুদূর দিল্লী থেকে বাগেরহাটে আসেন। এছাড়াও তৎকালীন গৌড়ের সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের বন্ধু এবং সেনানায়ক ছিলেন। তিনি ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ সহ ৩৬০ টি মসজিদ ও দীঘি খনন এবং বাগেরহাটের নাম “খলিফাত-ই-আবাদ” নামে নামকরন করেন।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- বর্গাকার মাজার শরীফ
- গম্বুজ
- প্রশস্ত দীঘি ও ঘাট
- নিরিবিলি পরিবেশে
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৫ মাজার প্রাঙ্গনে বার্ষিক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।
খান জাহান আলীর মাজার যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বাগেরহাট আসতে হবে।
বাগেরহাট যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- হানিফ
- ঈগল পরিবহন
- সোহাগ
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বাগেরহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
বাগেরহাট থেকে খান জাহান আলীর মাজার
মসজিদটি জেলা শহর থেকে ৩ কি.মি দূরে। তাই শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে খান জাহান আলীর মাজার যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বাগেরহাটে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বাগেরহাটের রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- ডাক বাংলো
- হোটেল মোহনা
- সুন্দরবন রিসোর্ট
- মমতাজ হোটেল
- হোটেল আল আমিন
- হোটেল অভি
- জারিফ আবাসিক
- রেসিডেন্সিয়াল হোটেল
- ষাট গম্বুজ প্রত্নতত্ত্ব গেস্ট হাউজ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বাগেরহাটের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
খান জাহান আলীর মাজার ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।