বাগেরহাট জাদুঘর,যা বাগেরহাট জেলার সুন্দরঘোনায় কোণে পুরাতন রূপসা রোডে অবস্থিত। এটি প্রায় ৫২০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।
জানা যায়, সংস্কৃতি ও খানজাহান আলীর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক আবেদন সাপেক্ষে ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়এবং ২০০১ সালে তা জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- ইসলামি স্থাপত্য শিল্পকলা
- প্রাচীন ইতিহাস
- স্থাপত্যের ছবি
- খান জাহান আলীর (রা.) এর কুমিরের মমি
- স্মৃতিচিহ্ন
- মানচিত্র
- লিপিবদ্ধ ইতিহাস
- মুদ্রা
- তৈজসপত্র
- বাসন
উল্লেখ্য, জাদুঘরটি গ্রীষ্মে সকলা ১০.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টা এবং শীতে সকাল ৯.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৫.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। জাদুঘরে হিডেন চার্জ প্রযোজ্য।
বাগেরহাট জাদুঘর যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বাগেরহাট আসতে হবে।
বাগেরহাট যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- হানিফ
- ঈগল পরিবহন
- সোহাগ
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বাগেরহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
বাগেরহাট থেকে বাগেরহাট জাদুঘর
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে বাগেরহাট জাদুঘর যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বাগেরহাটে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বাগেরহাটের রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- ডাক বাংলো
- হোটেল মোহনা
- সুন্দরবন রিসোর্ট
- মমতাজ হোটেল
- হোটেল আল আমিন
- হোটেল অভি
- জারিফ আবাসিক
- রেসিডেন্সিয়াল হোটেল
- ষাট গম্বুজ প্রত্নতত্ত্ব গেস্ট হাউজ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বাগেরহাটের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বাগেরহাট জাদুঘর ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।