fbpx
চুনাখোলা মসজিদচুনাখোলা মসজিদ

চুনাখোলা মসজিদ,যা বাগেরহাট জেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের চুনাখোলা গ্রামে অবস্থিত। এটি মধ্যযুগীয় সুলতানি আমলের প্রাচীন একটি স্থাপত্য।

জানা যায়, প্রায় ১৫ শতকে হযরত খান জাহান (রঃ) এর এক অনুগত কর্মচারীগন মসজিদটি নির্মাণ করেন। সেসময়ে হযরত খান জাহান আলী (রঃ) বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহারে চুন উৎপাদনের জন্য চুনখোলা কেন্দ্র স্থাপন করেন। তাই সেই থেকে এটি চুনখোলা মসজিদ নামে পরিচিত।

১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো চুনখোলা মসজিদকে “বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।

এখানে রয়েছে-

  • বিভিন্ন জাতের গাছপালা
  • মিনার
  • মেহরাব
  • পোড়ামাটির অলংকরণ
  • কয়েকটি প্রবেশদ্বার

চুনাখোলা মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বাগেরহাট আসতে হবে। 

বাগেরহাট যেভাবে যাবেন-

বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-

  • গাবতলী
  • আবদুল্লাহপুর
  • মহাখালী
  • কল্যাণপুর
  • সায়েদাবাদ

 বাসসমূহ

  • হানিফ
  • ঈগল পরিবহন
  • সোহাগ

ট্রেনসমূহঃ

ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বাগেরহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-

  • সুন্দরবন এক্সপ্রেস
  • চিত্রা এক্সপ্রেস
  • কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস

বাগেরহাট থেকে চুনাখোলা মসজিদ

মসজিদটি জেলা শহর থেকে ৩৫ কি.মি দূরে। তাই শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে চুনাখোলা মসজিদ যেতে পারবেন।


থাকা ও খাওয়ার জন্য বাগেরহাটে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।

বাগেরহাটের রিসোর্টসমূহ

  • সার্কিট হাউজ
  • ডাক বাংলো
  • হোটেল মোহনা
  • সুন্দরবন রিসোর্ট
  • মমতাজ হোটেল
  • হোটেল আল আমিন
  • হোটেল অভি
  • জারিফ আবাসিক
  • রেসিডেন্সিয়াল হোটেল
  • ষাট গম্বুজ প্রত্নতত্ত্ব গেস্ট হাউজ

উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।


বাগেরহাটের হোটেলসমূহ-

শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।


চুনাখোলা মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
  • সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি

সতর্কতা

প্রথমত,  গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন

বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।