নবরত্ন মন্দির, যা সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গ্রামে অবস্থিত। মুলত এটি একটি মধ্যযুগীয় প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। এছাড়াও মন্দিরের আভ্যন্তরীণ কারুকাজসমুহ মধ্যযুগীয় শিল্পের আদলে তৈরি।
জানা যায়, নায়েবে দেওয়ান রামানাথ ভাদুরী ১৬৬৪ সালে দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির এর অনুকরণে নবরত্ন মন্দিরটি নির্মাণ করেন।
এখানে রয়েছে-
- শিব মন্দির
- চন্ডি মন্দির
- নবরত্ন মন্দির
- পুকুর
নবরত্ন মন্দির যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সিরাজগঞ্জ আসতে হবে।
সিরাজগঞ্জ যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- এনা
- শ্যামলী
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- নাবিল
- দেশ ট্রাভেল
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস
সিরাজগঞ্জ থেকে নবরত্ন মন্দির
নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ রোডের বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে অবস্থিত। শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে চায়না বাঁধ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল অনিক
- হোটেল আলিশান
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
সিরাজগঞ্জের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
নবরত্ন মন্দির ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।