বঙ্গবন্ধু উদ্যান, যা বরিশাল জেলা সদরে কীর্তনখোলা নদীর কিনারে অবস্থিত। এটি বেলস পার্ক নামেও পরিচিত।
জানা যায়, ১৮৯৬ সালে এন.ডি.বিটসন বেলস বরিশাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালিন ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জের আগমন উপলক্ষে উদ্যানটি নির্মাণ করে। অনেক রাষ্ট্রীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি এই পার্কে তাদের মূল্যবান ভাষণ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দেওয়া ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে পার্কে একটি মুক্ত মঞ্চ ও ম্যুর্যাল স্থাপিত হয়।
এখন পার্কটি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- হ্যালিপ্যাড
- হ্রদ
- ওয়াকওয়ে
- বসার ছাউনি
- খেলার মাঠ
- নদীর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য
বঙ্গবন্ধু উদ্যান যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বরিশাল আসতে হবে।
বরিশাল যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- সুরভী
- বিআরটিসি
- হানিফ
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশাল পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এডভেঞ্চার
- সুরভী
- মানামি
- গ্রীন লাইন
- সুন্দরবন
- কীর্তনখোলা
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বরিশাল যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
বরিশাল থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান
বরিশাল শহর থেকে পার্কের দূরত্ব প্রায় ৪ কি.মি। শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু উদ্যান যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বরিশালে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বরিশালের রিসোর্টসমূহ–
- রিচমার্ট গেস্ট হাউজ
- সেডোনা
- গ্র্যান্ড প্লাজা
- রোদেলা
- এথেনা
- এরিনা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বরিশালের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বঙ্গবন্ধু উদ্যান ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।