খেরুয়া মসজিদ, যা বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খন্দকার টোলায় অবস্থিত। এটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন স্থাপত্য। মসজিদটি প্রায় ৫৯ শতাংশ জমির উপর নির্মিত।
জানা যায়, ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির্জা মুরাদ খান কাকশাল মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত রয়েছে।
এখানে রয়েছে-
- তিনটি গম্বুজ
- খিলানযুক্ত দরজা
- মেহরাব
- মাঠ
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
খেরুয়া মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বগুড়া/শেরপুর আসতে হবে।
বগুড়া/শেরপুর যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- এনা
- শ্যামলী
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- নাবিল
- দেশ ট্রাভেল
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বগুড়া স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- লালমনি এক্সপ্রেস
- রংপুর এক্সপ্রেস
বগুড়া/শেরপুর থেকে খেরুয়া মসজিদ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে রানী ভবানীর বাপের বাড়ি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বগুড়াতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বগুরার রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল
- মম ইন
- হোটেল সিয়েস্তা
- সেঞ্চুরি মোটেল
- নর্থওয়ে মোটেল
- হোটেল নাজ গার্ডেন
- আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বগুড়ার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
খেরুয়া মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- মসজিদের পবিত্রটা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।