রামু রাবার বাগান

রামু রাবার বাগান


কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলায় অবস্থিত রামু রাবার বাগান। রামু বাইপাস থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে চা বাগান বাজার সংলগ্ন ঢাকা কক্সবাজার মহাসড়কের দুই পাশ ঘেঁষে চা-বাগান এলাকা থেকে উত্তরে জোয়ারিয়ানালার মালাপাড়া,পূর্বে জুমছড়ি, গর্জনিয়া, দক্ষিণে লট উখিয়ার ঘোনা পর্যন্ত বর্তমানে বাগানের অবস্থান। বাগানের গাছগুলোতে ঝুলছে ছোট ছোট কালো ও নীল রঙের প্লাস্টিকের পাত্র। গাছের কাটা অংশ দিয়ে সেই পাত্রে চুইয়ে পড়ছে সাদা ধবধবে কষ। আর জমা হওয়া কষগুলো সংগ্রহ করে কারখানায় নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

১৯৬০/৬১ সালে পাহাড় ও সমতল সমন্বয়ে অনাবাদি জমি জরিপ করে গবেষণার মাধ্যমে ২ হাজার ৬৮২ একর জমিতে সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলক রাবার চাষাবাদ শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ১,১৩০ একর এলাকা থেকে লিকুইড কষ সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে এই বাগানে প্রায় ১,৮০,৬১৬ টি গাছ রয়েছে, যার ৫৮ থেকে ৬৫ হাজার উৎপাদনক্ষম গাছ রয়েছে। [২০১৯ সালের রেকর্ড অনুযায়ী] একটি রাবার গাছ ২৫ বছর পর্যন্ত রাবার কষ উৎপাদন করতে পারে এবং ৩২-৩৩ বছর বয়সে গাছগুলো অর্থনৈতিকভাবে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বছরে এসব গাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ কেজি রাবার উৎপাদিত হয়। দেশে রামুর রাবার বাগান ছাড়াও চট্টগ্রামে ৭টি, সিলেটে ৪টি ও মধুপুরে ৫টি রাবার বাগান রয়েছে। বাগানটি বর্তমানে স্বায়িত্বশাসিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

রাবার প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি
মৌসুমে রাবারবাগানে নিয়মিত-অনিয়মিত ২০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকে কষ আহরণে। প্রতিদিন রাবার বাগান থেকে ৫ হাজার কেজি কষ আহরণ করা হয়। আহরণের পর প্রথমে তরল রাবার নির্ধারিত পাত্রে বাগানের নির্দিষ্ট স্থানে এনে সেখানে থেকে লেটেক্স পরিবহন ট্যাংকে করে লেটেক্স বা কষ কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানায় লেটেক্স কুয়াকুলেশন করার জন্য কুয়াকুলেটিং ট্যাংকে লেটেক্সের সমপরিমাণ পানি এবং লেটেক্সের ডিআরসি পার্সেন্টেজের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ তরল ফরমিক এসিড মিশিয়ে এক ইঞ্চি পুরুত্বের পার্টিশন প্লেট বসিয়ে ঢেকে রাখা হয়। তরল কষ ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে জমাট বাধে। জমাট বাধা সিটকে রোলিং মেশিনে চাপ দিয়ে পাতলা করে শুকাতে দেয়া হয়। প্রায় ৭ দিনের মত শুকানোর পর এটিকে নেয়া হয় ধুম ঘরে। ৪৮ ঘন্টা ধুমঘরে ধুমায়িত করার পর তৈরি হয় রাবার। এভাবে প্রতি বছরে ২২০ টন শুকনা রাবার উৎপাদন করা হয়।
কখন যাবেন
মূলত গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে কষ উৎপাদন কম হয় বলে এ সময় এখানে ঘুরতে চাইলে রাবার বাগানের আসল সৌন্দর্য পাওয়া যায়না। শীতকালে রাবারের কষ উৎপাদন বেশি হয় বলে ধরা যায় অক্টোবর থেকে জানুয়ারি সময়টুকু রামু রাবার বাগান ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
বিশেষ পরামর্শ
বাগানের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবেনা। বাগানের কর্মীদের সমস্যা হয় এমন কিছু করা যাবেনা। কারো ছবি তোলার পূর্বে তাঁর থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। যেকোনো রেস্তোরায় খেতে বসার আগে খাবারের দাম ও মেনু সময় নিয়ে ভালোভাবে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। নতুবা ঠকে যেতে পারেন।
বিশেষ সতর্কতা
রাবার বাগানে ঢুকতে কোনো বাধা নিষেধ না থাকলেও রাবার কষ প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় ঢুকতে হলে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিতে হবে। তবে অনুমতি পাওয়ার পর রাবার প্রক্রিয়াকরণ দেখার সময় উত্তপ্ত চুল্লির কাছে যাবেন না। চুল্লিতে সবসময় আগুন থাকে। তাই এ বিষয়ে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাগানের ভিতর থাকাকালীন নিজের সাথে কোনো দাহ্য পদার্থ (যেমন- দিয়াশলাই, বিড়ি, সিগারেট, লাইটার ইত্যাদি) সঙ্গে নিবেন না। প্রকৃতির শুষ্কতার কারণে বাগানে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
ঢাকা
৩৮৪ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রাজশাহী
৬২৭ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রংপুর
৬৭৭ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
সিলেট
৪৮৭ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
ময়মনসিংহ
৪৯৫ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
খুলনা
৪৮১ কি.মি. (বরিশাল → ফেনী হয়ে গেলে)
বরিশাল
৩৭২ কি.মি. (ফেনী হয়ে গেলে)
চট্টগ্রাম
১৩১ কি.মি. (চট্টগ্রাম – কক্সবাজার হাইওয়ে হয়ে গেলে)

রামু যেতে আপনাকে আগে কক্সবাজার যেতে হবে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

  বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • এম আর পরিবহন
  • রয়্যাল কক্স সার্ভিস
  • এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রাইভেট) লিমিটেড
  • টাইম’স ট্রাভেল
  • তুবা লাইন
  • শ্যামলী পরিবহন
  • ৪৬ এক্সপ্রেস লিমিটেড
  • রয়্যাল কোচ
  • ইমাদ পরিবহন
  • শান্ত ট্রাভেলস
  • প্যালেস্টাইন ট্রাভেলস
  • গ্রীন লাইন পরিবহন
  • লন্ডন এক্সপ্রেস
  • সোহাগ পরিবহন

    (যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-

  • পর্যটক এক্সপ্রেস (রবিবার বন্ধ)
    ছাড়ায় সময় সকাল ০৬:১৫
  • কক্সবাজার এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় রাত – ১০:৩০ পি.এম
বিমান বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাস স্টান্ড
  • শিরুল
  • কাজলা
  • বিনোদপুর
  • বিহাশ মোড়
  • কাটাখালী
  • বানেশ্বর
  • পুটিয়া

বাস সমূহ:-

  • এভারগ্রীন পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রাজশাহী থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমুহ:-

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • বনলতা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

(যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো)

বিমান বিমানসমূহ:
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা (কামার পাড়া) বাসস্টান্ড
  • মিঠাপুকুর
  • শঠিবাড়ি

বাস সমূহ:-

  • শান্ত ট্রাভেল

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(রংপুর থেকে কক্সবাজার সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে রংপুর শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে সৈয়দপুর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

কক্সবাজার যাওয়ার বিমানসমূহ:
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সিলেট বাসস্টান্ড
  • কদমতলী
  • হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর
  • সোভানি ঘাট

বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কালনী এক্সপ্রেস
  • জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
  • উপবন এক্সপ্রেস

(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • জালালাবাদ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র শনিবার চলে)
  • উদয়ন এক্সপ্রেস (শুধুমাত্র রবিবার চলে)
বিমান বিমানসমূহ:
সিলেট বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস সমূহ:-

  • শামীম এন্টারপ্রাইজ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস
  • যমুনা এক্সপ্রেস
  • ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস
  • হাওর এক্সপ্রেস
  • তিস্তা এক্সপ্রেস
  • জামালপুর এক্সপ্রেস
  • আগ্নিবীণা এক্সপ্রেস

(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।)

চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • বিজয় এক্সপ্রেস (বুধবার বন্ধ)
বিমান

(ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি কোনো বিমান সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বিমানে যেতে হবে)

বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ
  • ইউএস বাংলা 
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

খুলনা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নোয়াপাড়া
  • ফুলতলা
  • বড়বাজার
  • আলিফ গেট
  • শিরোমণি বাসস্ট্যান্ড
  • ফুলবাড়ি গেট
  • দোউলতপুর
  • নতুন রাস্তা
  • বয়রা বাজার
  • খালিশপুর
  • রয়্যাল মোড়
  • শিববাড়ি মোড়
  • সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড
  • গোল্লামাড়ি
  • খুলনা জিরো পয়েন্ট
  • রুপশা ব্রীজ বাস পয়েন্ট
  • জবুসা মোড়
  • কাটাখালী
  • ফকিরহাট
  • মাদ্রাসাঘাট
  • জয়দীঘি কাউন্টার
  • মোল্লার হাট বাস পয়েন্ট
  • আপিল গেট

বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
  • ইমাদ পরিবহন (প্রাইভেট) লিমিটেড
  • এম আর পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(খুলনা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন সুবিধা না থাকায় আপনাকে ঢাকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ট্রেনে যেতে হবে)

ঢাকা যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ)
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস (প্রতিদিন চলে)
  • জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
  • সুন্দরবন এক্সপ্রেস
বিমান

(বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হলে খুলনা শহর থেকে আপনাকে আগে যশোর বিমান বন্দর যেতে হবে।)

বিমানসমূহ:-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভো এয়ার

বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নাটুল্লাবাদ

বাসসমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
বিমান বিমানসমূহ:-

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শহর থেকে কক্সবাজারগামী অনেক লোকাল বাস সহ সারা বাংলাদেশের সকল বাস চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যায় বলে অনেক কোচ বাস পাওয়া যায়)

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • দামপাড়া
  • সিনেমা প্যালেস
  • নতুন ব্রিজ
  • চাটগাওন বাস পয়েন্ট
  • ডলফিন চত্তর
  • চিটাগং বাস স্ট্যান্ড
  • অলংকার মোড়
বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া কোচ সার্ভিস
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • স্বাধীন এক্সপ্রেস
  • প্যারাডাইস এক্সপ্রেস
  • লন্ডন এক্সপ্রেস
ট্রেন

(ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল ট্রেন চট্টগ্রাম হয়ে যায়।)

ট্রেনসমূহ:-

  • কক্সবাজার এক্সপ্রেস
  • ঈদ স্পেশাল ৯ (০৯)
  • পর্যটক এক্সপ্রেস
বিমান বিমানসমূহ:-

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

কক্সবাজার থেকে রামুর দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। যেতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লাগে। যাওয়ার ক্ষেত্রে অটো রিকশা অথবা সিএনজি ভাড়া করে যাওয়া যায়। রামু চৌমহনী স্টেশন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশেই রামু রাবার বাগান।


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা খাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহরেই সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।)

আবাসিক হোটেলসমূহ

উন্নত মানের হোটেলসমুহ:-

  • ওশেন প্যারাডাইস
  • লং বীচ
  • কক্স টুডে
  • সায়মন বিচ রিসোর্ট
  • হেরিটেজ, ইত্যাদি।

মধ্য মানের হোটেলসমুহ:-

  • উইন্ডি টেরেস বুটিক হোটেল
  • ওয়েল পার্ক রিসোর্ট
  • গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল
  • স্বপ্নীল সিন্ধু
  • রয়্যাল পার্ল সার্ভিসড অয়াপার্টমেন্ড এন্ড স্যুট
  • হোটেল সানসেট বে
  • রয়্যাল বীচ রিসোর্ট
  • হোটেল সী উত্তরা
  • হোটেল ইলাফ ইন্টারন্যাশনাল
  • লাইট হাউস ফ্যামিলি রিট্রিট
  • হোটেল বীচ পার্ক
  • প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রিসোর্ট
  • হোটেল কল্লোল
  • হোটেল কোস্টাল পীস
  • হোটেল বীচ ওয়ে

এছাড়াও রয়েছে নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, মারমেইড রিসোর্ট, সী ক্রাউন, চাউনি রিসোর্ট ইত্যাদি।

বাজেট হোটেলসমুহ:-

  • ইকরা বিচ রিসোর্ট
  • অভিসার
  • মিডিয়া ইনন
  • কল্লোল
  • উর্মি গেস্ট হাউস
  • হানিমুন রিসোর্ট
  • নীলিমা রিসোর্ট, ইত্যাদি।
রেস্টুরেন্টসমূহ উল্লেখযোগ্য কিছু রেস্টুরেন্ট:-

  • জুই রেস্টুরেন্ট এন্ড বক্স ভ্যাকেশন
  • বাসমতি রেস্টুরেন্ট এবং বিরিয়ানি হাউস
  • ঝাউ বাগান রেস্টুরেন্ট
  • ঝাউবন রেস্টুরেন্ট
  • রোদেলা রেস্টুরেন্ট
  • ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্ট
  • নিরিবিলি রেস্টুরেন্ট

এছাড়াও আরো অনেক নতুন পুরাতন রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়।

ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইল[email protected]

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ

Leave a Reply