ভাসমান সেতু, যা যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাওড়ের উপর অবস্থিত। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৯ ফুট।
জানা যায়, ‘ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন গ্রামের চলাচলের সমস্যা দূরীকরণে নিজস্ব তহবিল,স্বেচ্ছাশ্রম এবং গ্রামবাসীর অর্থায়নে এটি তৈরি করে।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- বাওড়
- কপোতাক্ষ নদ
- পিকনিক স্পট
- নৌকা ভ্রমণ
উল্লেখ্য, সেতুতে উঠতে হিডেন চার্জ প্রযোজ্য।
ভাসমান সেতু যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে যশোরে আসতে হবে।
যশোরে যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- হানিফ
- এসপি গোল্ডেন লাইন
- দেশ ট্র্যাভেলস
- শ্যামলী
- সোহাগ
- গ্রীনলাইন
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যশোর রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যশোর যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
যশোর থেকে ভাসমান সেতু
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে গদখালী যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য যশোরে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
যশোরের রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল আরএস ইন্টারন্যাশনাল
- জাবীর ইন্টারন্যাশনাল হোটেল
- হোটেল শামস ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল সিটি প্লাজা ইন্টারন্যাশনাল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
যশোরের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
ভাসমান সেতু ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।