চন্দ্রমহল ইকো পার্ক, যা বাগেরহাট জেলার রঞ্জিতপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি তাজমহলের আদলে তৈরি। এটি প্রায় ৩০ একর জায়গাজুরে বিস্তৃত।
জানা যায়, ২০০২ সালে সেলিম হুদা তার স্ত্রী নাসিমা হুদা চন্দ্রার নামানুসারে এটি নির্মাণ করেন। তাই এর নাম “চন্দ্রমহল”।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- প্রত্নতত্ত্বিক নিদর্শন
- টানেলের প্রবেশপথ
- ভাস্কর্য
- বাঁশের ঘর
- নৌকা
- ফাঁসির মঞ্চ
- রেল লাইন
- চিড়িয়াখানা
- রেস্টুরেন্ট
- পিকনিক স্পট
উল্লেখ্য, এটি প্রতিদিন সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে ,সেইসাথে হিডেন চার্জ প্রযোজ্য।
চন্দ্রমহল ইকো পার্ক যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বাগেরহাট আসতে হবে।
বাগেরহাট যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- হানিফ
- ঈগল পরিবহন
- সোহাগ
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বাগেরহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
বাগেরহাট থেকে চন্দ্রমহল ইকো পার্ক
তাই শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে চন্দ্রমহল ইকো পার্ক যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বাগেরহাটে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বাগেরহাটের রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- ডাক বাংলো
- হোটেল মোহনা
- সুন্দরবন রিসোর্ট
- মমতাজ হোটেল
- হোটেল আল আমিন
- হোটেল অভি
- জারিফ আবাসিক
- রেসিডেন্সিয়াল হোটেল
- ষাট গম্বুজ প্রত্নতত্ত্ব গেস্ট হাউজ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বাগেরহাটের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
চন্দ্রমহল ইকো পার্ক ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।