দুর্গাসাগর দিঘী

দুর্গাসাগর দিঘী, যা  বরিশাল সড়কে মাধবপাশায় অবস্থিত। এটি দুর্গা দেবীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় ভাষায় এটি “মাধবপাশা দীঘি” নামে পরিচিত। দিঘীটি প্রায় ৪৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।

জানা যায়, ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে রাজা শিব নারায়ণ এই অঞ্চলের মানুষদের পানির সংকট নিরসনের জন্য দিঘীটি খনন করেন।

এখানে রয়েছে-

• বিভিন্ন জাতের গাছপালা
• ৩টি ঘাটলা
• টিলা বা ছোট দ্বীপ
• অতিথি পাখির সমারোহ

উল্লেখ্য, শীতকালে এই দীঘি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

দুর্গাসাগর দিঘী যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বরিশাল আসতে হবে। 

বরিশাল যেভাবে যাবেন-

বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-

• গাবতলী
• আবদুল্লাহপুর
• মহাখালী
• কল্যাণপুর

 বাসসমূহ–

• সুরভী
• বিআরটিসি
• হানিফ
• সাকুরা

লঞ্চসমূহঃ

ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশাল পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-

• এডভেঞ্চার
• সুরভী
• মানামি
• গ্রীন লাইন
• সুন্দরবন
• কীর্তনখোলা

বিমানসমুহঃ

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বরিশাল যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-

• বাংলাদেশ বিমান
• ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
• নভোএয়ার

বরিশাল থেকে দুর্গাসাগর দিঘী

শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে দুর্গাসাগর দিঘী যেতে পারবেন।

থাকা ও খাওয়ার জন্য বরিশালে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।

বরিশালের রিসোর্টসমূহ–

• রিচমার্ট গেস্ট হাউজ
• সেডোনা
• গ্র্যান্ড প্লাজা
• রোদেলা
• এথেনা
• এরিনা

উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

বরিশালের হোটেলসমূহ-

শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।

দুর্গাসাগর দিঘী ভ্রমণের সুবিধা হল–

• উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
• পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
• সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি

সতর্কতা–

প্রথমত,  গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

• প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
• স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
• পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন

বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।