সুজাবাদ কেল্লা, যা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মগর ইউনিয়নের সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত। তৎকালীন এবং বর্তমানের স্থানীয় ভাষায় এটি “ভূতের গড়”, অন্দর ও বাহির কেল্লা কিংবা “পুরাতন কলেজ” নামেও পরিচিত।
জানা যায়,১৬৫৪ সালে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার জন্য মোঘল সম্রাট শাজাহানের পুত্র শাহজাদা সুজা একরাতের মধ্যে দুটি কেল্লা নির্মাণ করেন।
এখানে রয়েছে-
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
- পুরাতন স্থাপত্য
সুজাবাদ কেল্লা যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ঝালকাঠি আসতে হবে।
পিরোজপুর যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- ঈগল
- বিআরটিসি
- সুগন্ধা
- হানিফ
- উত্তরণ
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এমভি ফারহান-৭
- সুন্দরবন-২
- টি এস লেপচা
- টি এস মাসুদ
ঝালকাঠি থেকে সুজাবাদ কেল্লা
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য ঝালকাঠিতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
ঝালকাঠির রিসোর্টসমূহ–
- জেলা পরিষদের ডাক বাংলো
- ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউজ
- ডালিয়ান হোটেল
- হালিমা বোর্ডিং
- আরাফাত বোর্ডিং
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
ঝালকাঠির হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
সুজাবাদ কেল্লা ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।