রানী ভবানীর বাপের বাড়ি, যা বগুড়া জেলার সান্তাহারের ছাতিয়ান গ্রামে অবস্থিত। এখানেই রানী ভবানী জন্মগ্রহণ করেন।
জানা যায়, জমিদার আতারাম চৌধুরী ছিলেন নিঃসন্তান হওয়ায় নির্জন পুকুর পাড়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পূজা-অর্চনা করায় কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, যার নাম ভবানী। পড়ে স্থানীয়দের কাছে পূজার স্থানটি সিদ্ধেশ্বরী নামে পরিচিত হয়।
রাজকুমার রামকান্তের সাথে বিবাহের পূর্বে ভবানী ৩টি শর্ত রাখেন-
- বিয়ের পর আরও এক বছর পর্যন্ত তিনি তার বাবার বাড়ীতে থাকবেন
- সেই বছরে গ্রামে প্রতিদিন একটি করে পুকুর খনন করে দিতে হবে
- ছাতিয়ানগ্রাম থেকে নাটোর পযর্ন্ত লাল সালুর কাপড় দিয়ে ছাউনীযুক্ত নতুন রাস্তা তৈরী এবং এলাকার প্রজাদের ভূমিদান করে স্বাবলম্বী করতে হবে
১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পর রানী ভবানী নাটোরের জমিদারি গ্রহন করে।
আরও জানা যায়, নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সভায় রানী ভবানীও আমন্ত্রিত ছিলেন এবং ইংরেজদের বিরোধিতা করেছিলেন।
রানী ভবানীর বাপের বাড়ি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বগুড়া/সান্তাহার আসতে হবে।
বগুড়া/সান্তাহার যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- এনা
- শ্যামলী
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- নাবিল
- দেশ ট্রাভেল
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সান্তাহার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- লালমনি এক্সপ্রেস
- রংপুর এক্সপ্রেস
- একতা এক্সপ্রেস
সান্তাহার থেকে রানী ভবানীর বাপের বাড়ি
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে রানী ভবানীর বাপের বাড়ি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য বগুড়াতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
বগুরার রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল
- মম ইন
- হোটেল সিয়েস্তা
- সেঞ্চুরি মোটেল
- নর্থওয়ে মোটেল
- হোটেল নাজ গার্ডেন
- আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
বগুড়ার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
রানী ভবানীর বাপের বাড়ি ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।