পুঠিয়া রাজবাড়ী,যা রাজশাহীতে রাজশাহী-নাটোর মহসড়ক থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি বহুকক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল বাড়ি।
জানা যায়, ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যে উনবিংশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়। এছাড়াও ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দে বড় শিব মন্দির (ভূবনেশ্বর মন্দির), চারতলা বিশিষ্ট পুঠিয়া দোল মন্দির এবং গোবিন্দ মন্দির নির্মিত। বর্তমানে পুঠিয়া রাজবাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে লস্করপুর ডিগ্রী কলেজ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
এখানে রয়েছে-
- আলাদা আলাদা পরিখা
- দুটি প্রাসাদ
- কয়েকটি মন্দির
- আহ্নিক মন্দির
- বিশাল পুকুর
উল্ল্যেখ্য, মসজিদটি প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
পুঠিয়া রাজবাড়ী যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে রাজশাহী আসতে হবে।
রাজশাহী যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- গ্রীন লাইন
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- একতা
- দেশ ট্রাভেল
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
রাজশাহী থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
রাজশাহী শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে পুঠিয়া রাজবাড়ী যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য রাজশাহীতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
রাজশাহীর রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল
- মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল স্টার ইন্টারন্যাশনাল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
রাজশাহীর হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
পুঠিয়া রাজবাড়ী ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- মসজিদের পবিত্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।