চুরি ছিন্তাই দস্যুতা এবং ডাকাতি কি?
চুরি, ছিন্তাই, দস্যুতা এবং ডাকাতির পার্থক্য না বুঝার কারণে অনেকে থানায় গিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন ফলে তাদেরকে পুলিশী সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে যায়। চুরি অথবা দস্যুতার ক্ষেত্রে ডাকাতি মামলা দিতে চায় আবার ডাকাতির ক্ষেত্রে চুরি অথবা দস্যুতার মামলা দিতে চায়। এমন অবস্থায় থানা পুলিশের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়। ভিকটিম যাতে পুলিশের নিকট সঠিক সেবা পায় তার জন্য চুরি, ছিন্তাই, দস্যুতা এবং ডাকাতির মধ্যে পার্থক্য সমুহ আলোচনা করা হলো:-
চুরি: যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির দখলভুক্ত অস্থাবর সম্পত্তি তার সম্মতি ব্যতীত অসাধুভাবে গ্রহন করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর করে তবে তাকে চুরি বলা হয়।
শাস্তি: বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৭৯/৩৮০/৩৮১/৩৮২ ধারা।
ছিন্তাই: সুর্যাস্ত এবং সুর্যোদয়ের মধ্যবর্তী সময় রাজপথে যদি দস্যুতা অনুষ্ঠিত হয় তবে তাকে ছিন্তাই বলা হয়।
শাস্তি: বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৯২ ধারা।
দস্যুতা: চুরি করার উদ্দেশ্যে অথবা চুরি করতে কিংবা চোরাই সম্পত্তি বহন বা বহনের উদ্যোগকালে অপরাধকারী যদি ইচ্ছাপূর্বক কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় বা আঘাত করে বা অন্যায়ভাবে আটক করে বা করার উদ্যোগ করে অথবা তাকে তাৎক্ষনিক মৃত্যু, আঘাত, অবৈধ আটকের ভীতি প্রদর্শন করে বা করার উদ্যোগ করে তবে তাকে দস্যুতা বলা হয়।
শাস্তি: বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৯২/৩৯৪ ধারা।
ডাকাতি: যদি পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি মিলিতভাবে দস্যুতা সংঘটন করে বা দস্যুতা সংঘটনের চেষ্টা করে তবে তাকে ডাকাতি বলা হয়।
শাস্তি: বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৯৫/৩৯৬ ধারা।