fbpx
ডিসি ইকোপার্ক

ডিসি ইকোপার্ক


যা মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের কাজলা নদীর তীরে ভাটপাড়ায় অবস্থিত। এটি ভাটপাড়া কুঠিবাড়ির অবশিষ্ট জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলা শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্কটির অবস্থান। গাংনী শহর থেকে প্রশস্থ কাথুলী সড়ক দিয়ে পার্কে পৌঁছুতে মাত্র ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে। ব্রিটিশ নীলকররা এদেশে যে’কটি নীলকুঠি স্থাপন করেছিল তার মধ্যে অন্যতম ভাটপাড়া নীলকুঠি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসা কুঠিবাড়িতেই ২০১৭ সালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মান হয়েছে ডিসি ইকোপার্ক। ব্রিটিশদের নির্যাতনের স্মৃতি বিজড়িত ভঙ্গদশা ভবন এখন ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১০০ বিঘা জমির ওপর পার্কটি নির্মিত হয়েছে। এখানে রয়েছে নদীর দুই পাড়ে দৃষ্টিনন্দন বাগানের মধ্যে বসার স্থান ও হাঁটার পথ। আরো আছে কৃত্রিম লেক, ঝর্ণাধারা, খেলাধুলার সরঞ্জাম, বিভিন্ন পশু-পাখির ভাষ্কর্য, পুকুর, ফুটওয়্যার, শিশু পার্ক, দৃষ্টিনন্দন গেট, পানির ফোয়ারা, লেকের ওভারব্রিজ, লেক, স্মৃতিসৌধ, মিনি ট্রেনলাইন, কাজলা নদীর উপর নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা সহ আরো অনেক কিছু। এছাড়াও রয়েছে ইংরেজদের শোষণের স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত নীলকুঠির বিভিন্ন স্থাপনা।


ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

(ডিসি ইকোপার্ক যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে মেহেরপুর যেতে হবে।) 

বাস

ঢাকার বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • গাবতলী
  • কল্যানপুর
বাস সমূহ:-

  • শ্যামলী
  • এস এম রয়েল
  • মেহেরপুর ডিলাক্স

(শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে, অটোরিকশা কিংবা রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে ডিসি ইকোপার্ক যেতে পারবেন।)


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা ও খাওয়ার জন্য মেহেরপুরে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।)

আবাসিক হোটেলসমূহ
  • মেহেরপুর পৌর গেস্ট হাউজ
  • সোহাগ গেস্ট হাউজ
  • মেহেরপুরে হোটেল রনি
  • হোটেল অনাবিল
  • হোটেল নাইট বিলাস
  • হোটেল ফিন টাওয়ার
  • হোটেল প্রিন্স

(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।)

রেস্টুরেন্টসমূহ

(শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।)


ডিসি ইকোপার্ক ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা৯৯৯ কল করুন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইলadmin@biratbazar.com

Leave a Reply