আছরাঙ্গা দীঘি, যা জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি প্রায় ২৬ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।
জানা যায়, আনুমানিক ৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে নবম শতকের মাঝামাঝি আদি রাজবংশের জমিদার মৌন ভট্টের আমলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষি জমিগুলো চাষের উপযোগী করার লক্ষ্যে দীঘিটি খনন করা হয়।
এখানে রয়েছে-
- ৪টি বাঁধাই করা ঘাট
- অসংখ্য সবুজ বৃক্ষ
- মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ
- শীতে অতিথি পাখির আগমন
আছরাঙ্গা দীঘি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে জয়পুরহাট আসতে হবে।
জয়পুরহাট যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- শ্যামলী পরিবহন
- এস আর ট্রাভেল
- হানিফ
- শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহণ
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- একতা এক্সপ্রেস
- কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
- পঞ্চগড় এক্সপ্রেস
- নিলসাগর এক্সপ্রেস
উল্ল্যেখ্য, বিমানে গেলে আপনাকে রাজশাহী হয়ে জয়পুরহাট যেতে হবে।
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
জয়পুরহাট থেকে আছরাঙ্গা দীঘি
জয়পুরহাট থেকে আছরাঙ্গা দীঘির দূরত্ব প্রায় ৯ কি.মি। শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে আছরাঙ্গা দীঘি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য জয়পুরহাটে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
জয়পুরহাটের রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল জাহান আরা ইন্টাঃ
- পৃথিবী হোটেল
- জসিম রেসিডেন্সিয়াল হোটেল
- হোটেল বৈশাখী রেসিডেন্সিয়াল
- হোটেল সৌরভ ইন্টাঃ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
জয়পুরহাটের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
আছরাঙ্গা দীঘি ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।