ইভটিজিং এর শিকার হলে করণীয়
ইভটিজিং কি?
ইভটিজিং হচ্ছে পুরুষ কর্তৃক নারীকে অথবা নারী কর্তৃক পুরুষকে অবাঞ্চিত যৌন মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভংগি করা। ইভটিজিং করা অপরাধ। প্রকাশ্য রাস্তায় স্কুল, কলেজে যাতায়তের পথে দুস্কৃতিকারী বখাটে ছেলে/পুরুষ কর্তৃক ছাত্রীরা এই অপরাধের শিকার হয় বেশি। এছাড়াও এলাকার নারীরাও এদের অত্যাচারে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। ইভটিজিংকারীদের ভয়ে অথবা সামাজিক মানইজ্জতের খাতিরে কেউ এর প্রতিবাদ করতে চায় না। ফলে ইভটিজিংকারীরা অবাধে নির্ভয়ে এধরনের অপরাধ করতে থাকে।
ইভটিজিংকারীদের থেকে বাঁচার উপায়-
১। কখন কোন স্থানে ইভটিজিং এর ঘটনা ঘটে গোপনে সেতথ্য স্থানীয় থানায় অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ জানাতে হবে।
২। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশ এর সহযোগিতায় এধরনের অপরাধ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩। নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইভটিজিংকারীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে ছবি অথবা ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় থানা কর্তৃপক্ষের কাছে সরবরাহ করতে হবে।
৪। যেসব পরিবারে ইভটিজিংকারী ব্যক্তি আছে সেসব পরিবারের অভিভাবককে তৎপর থাকতে হবে।
ইভটিজিং এর শাস্তি:
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা মোতাবেক ইভটিজিং এর বিচার করা হয়। যেকোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই বিচার করতে পারেন।
তথ্যসূত্র-
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
(পুলিশ পরিদর্শক)