চাঁদাবাজির শাস্তি
চাঁদা এবং চাঁদাবাজি শব্দ দুইটি সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকার কারনে অনেকে থানা পুলিশের নিকট ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ফলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে থানা পুলিশের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় সময় দেখা যায় অনেকে মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নে চাঁদা কালেকশন করে, কেউবা সামাজিক কোন অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা কালেকশন করে আবার কেউ অসাধুভাবে নিজের আর্থিক সুবিধা লাভ করার জন্য চাঁদা কালেকশন করে। এখানে কোনটি চাঁদা এবং কোনটি চাঁদাবাজি সেটা ভালকরে বুঝতে হবে।
সকল চাঁদা চাঁদাবাজি নয় আবার সকল চাঁদাবাজিও চাঁদা নয়। আইনের ভাষায় যদি কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে অসাধুভাবে বলপূর্বক কোন সম্পত্তি আদায় করে, তবে তাকে চাঁদাবাজি বা বলপূর্বক আদায় বলে। সম্পত্তি বলতে টাকা বা মুল্যবান জামানত অথবা স্বাক্ষরকৃত কোন দলিলকে বুঝানো হয়েছে।
আইন |
|
অপরাধ |
শাস্তি |
চাঁদাবাজি বা বলপূর্বক আদায়ের শাস্তি |
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৪ ধারা মোতাবেক তিন বৎসর কারাদণ্ড বা জরিমানা দণ্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে। |
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কিছু আদায় করে তার শাস্তি |
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৫ ধারা মোতাবেক চৌদ্দ বৎসর কারাদণ্ড (পাঁচ বৎসরের কম না) হতে পারে। |
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা গুরুত্বর আঘাতের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কিছু আদায় করে তার শাস্তি |
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৬ ধারা মোতাবেক দশ বৎসর কারাদণ্ড বা জরিমানা দন্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে। |
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা মারাত্মক জখমের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কিছু আদায় করে তার শাস্তি |
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৭ ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (সাত বৎসরের কম না) বা জরিমানা দণ্ড হতে পারে। |
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধের অভিযোগের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কিছু আদায় করে তার শাস্তি |
বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৮ ধারা |