তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ, যা সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়দের নিকট এটি “মিয়ার মসজিদ” নামে পরিচিত। এটি ১৮শ শতকের প্রায় দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো একটি মুসলিম স্থাপত্য।
জানা যায়, ১২৭০ বঙ্গাব্দে জমিদার সালামতুল্লাহ খান মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি কলকাতার “সিন্দুরে পট্টি” মসজিদের নকশার আদলে নির্মিত।
১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।
এখানে রয়েছে-
- পুরাকৃতি নকশাখচিত ৭ টি দরজা।
- সুন্দর নকশাখচিত ১২টি পিলার।
- জমিদার আমলের ৬টি গম্বুজ।
- সুসজ্জিত ২০টি মিনার।
তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সাতক্ষীরা যেতে হবে।
সাতক্ষীরা যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- হানিফ
- এসপি গোল্ডেন লাইন
- দেশ ট্র্যাভেলস
- শ্যামলী
- সোহাগ
- গ্রীনলাইন
- সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস
সাতক্ষীরা থেকে তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটো-রিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য সাতক্ষীরায় সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
সাতক্ষীরার রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল সম্রাট
- মোজাফ্ফর গার্ডেন
- হোটেল সংগ্রাম
- হোটেল মোহনা
- হোটেল সীমান্ত
- হোটেল উত্তরা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং এর সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
সাতক্ষীরার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।