আট কবর, যা চুয়াডাঙ্গা জেলার জগন্নাথপুরে অবস্থিত। এটি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত একটি সমাধিস্থল।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমান্ডার হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে আটজন মুক্তিযোদ্ধা রাজাকারের ষড়যন্ত্রের দ্বারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এবং সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। তাদের মৃতদেহ এখানের ২টি গর্তে পুঁতে ফেলায় পরবর্তীতে এটি আট কবর বলে পরিচিতি লাভ করে।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- মুক্তমঞ্চ
- আলোকচিত্র
- দোতলা ভবন
- গ্রন্থাগার
- আবাসিক সুবিধা
আট কবর যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে চুয়াডাঙ্গা আসতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- পূর্বাশা
- চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স
- পর্যটক পরিবহন
- রয়েল
ট্রেনসমূহঃ
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে খুলনাগামী ট্রেনসমূহ-
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- চিত্রা এক্সপ্রেস
- বেনাপোল এক্সপ্রেস
চুয়াডাঙ্গা থেকে আট কবর
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে আট কবর যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গায় সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল প্রিন্স
- হোটেল আল মেরাজ
- হোটেল অবকাশ
- অন্তুরাজ আবাসিক হোটেল
চুয়াডাঙ্গার হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
আট কবর ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।