বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, যা রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এছাড়াও এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম।
জানা যায়, নাটোরের দিঘাপাতিয়ার জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয় কুমার মৈত্র এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্র ১৯১০ সালে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন সংগ্রহ সেইসাথে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরটি অধিগ্রহণ করে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী এবং বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন।
এখানে রয়েছে-
- ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন
- ৯ হাজারেরও অধিক নিদর্শন
- সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন
- পাথরের মূর্তি
- মহেনজোদারো সভ্যতার প্রত্নতত্ত্ব
- গঙ্গা মূর্তি
- ভৈরবের মাথা
- একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি
- মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা
- সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা
- গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা
- মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা
উল্ল্যেখ্য,বৃহস্পতি, শুক্রবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত ছুটির দিনগুলো ব্যতিত সকল দিবসে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে রাজশাহী আসতে হবে।
রাজশাহী যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- গ্রীন লাইন
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- একতা
- দেশ ট্রাভেল
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
রাজশাহী থেকে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
রাজশাহী শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য রাজশাহীতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
রাজশাহীর রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল
- মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল স্টার ইন্টারন্যাশনাল
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
রাজশাহীর হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।