চলন বিল, যা নাটোর, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলার সমন্বয়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট অনেকগুলো বিলের সমষ্টি। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল।
জানা যায়, পূর্বে এই বিলের আয়তন ছিল প্রায় ১৪২৪ বর্গ কি.মি। বর্তমানে চলন বিলের আয়তন কমে প্রায় ১১৫০ বর্গ কি.মি।
সংযুক্ত বিলের মধ্যে-লারোর, পিপরূল, তাজপুর, ডাঙাপাড়া, মাঝগাঁও, নিয়ালা, শাতাইল, চোনমোহন, ঘুঘুদহ, দারিকুশি, গজনা, সোনাপাতিলা এবং বড়বিল অন্যতম ।
এছাড়াও বিলে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি নদী। যেমন- তুলসী, ভাদাই, করতোয়া, আত্রাই, গুড়, বড়াল, মরা বড়াল ইত্যাদি ।
রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ । যেমন- পুঁটি, গুজা, চিতল, মাগুর, কৈ, শিং, বোয়াল, টাকি, শোল, মৃগেল, চিংড়ি, টেংরা, কালিবাউশ,তিতপুটি, রিটা, মৌসি, গজার, বৌ, সরপুটি, বাঘাইর কাঁটা, গাগর ইত্যাদি ।
এখানে রয়েছে-
- মনোরম পরিবেশ
- শরতে কাশবনের সৌন্দর্য
- বর্ষায় দ্বীপের মত ভাসমান সবুজ গ্রাম
- শীতে অতিথি পাখির সমারোহ
- নৌকা ভ্রমণ
উল্যেখ্য, বর্ষা মৌসুমে চলন বিল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
চলন বিলে যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নাটোর আসতে হবে।
নাটোর যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- গ্রীন লাইন
- ন্যাশনাল ট্রাভেল
- হানিফ
- একতা
- দেশ ট্রাভেল
উল্ল্যেখ্য, ট্রেন এবং বিমানে গেলে আপনাকে রাজশাহী হয়ে নাটোর যেতে হবে।
ট্রেনসমূহঃ
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
- সিল্কসিটি
- ধুমকেতু
- বনলতা
- পদ্মা এক্সপ্রেস
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
নাটোর থেকে চলন বিল
নাটোর শহরের কাছিকাটা স্থান থেকে চলন বিলে যাওয়া সুবিধাজনক। কাছিকাটা থেকে বিলের দূরত্ব প্রায় ১৩ কি.মি। কাছিকাটা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে চলন বিল যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য নাটোরে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
নাটোরের রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল প্রিন্স
- হোটেল রুখসানা
- হোটেল মিল্লাত
- হোটেল রাজ
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
নাটোরের হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
চলন বিল ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।