ঝুলন্ত ব্রিজ, যা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত। এটি প্রায় ৩৩৫ ফুট লম্বা। স্থানীয়দের নিকট এই সেতুটি ‘সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি’ হিসাবে খ্যাত। মুলত কাপ্তাই লেকের বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছে এই ঝুলন্ত সেতু।
এখানে রয়েছে-
- কাপ্তাই লেকের মনোরম দৃশ্য
- শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা(দোলনা, স্লিপার)
- ইঞ্জিন চালিত বোট
- ছোট/বড় পাহাড়
উল্ল্যেখ্য, লেক ভ্রমণের জন্য নৌকা ভাড়া করা যায়। এছাড়াও ব্রিজে প্রবেশ মুল্য ২০ টাকা দিতে হয়। তবে অতি মাত্রায় বৃষ্টির ফলে ব্রিজে পানি উঠায় সেসময় প্রবেশ নিষেধ থাকে। শুধু তাই নয়, ট্রলার রিজার্ভ করে লেক ভ্রমণসহ শুভলং ঝর্ণা, রাজবন বিহার ইত্যাদি আরও কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন।
ঝুলন্ত ব্রিজ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে রাঙ্গামাটি/কাপ্তাইআসতে হবে।
রাঙ্গামাটি/কাপ্তাই যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
- উত্তরা
- মহাখালী
- ফকিরাপুল
বাসসমূহ–
- হানিফ
- শ্যামলী
- এস আলম
- ঈগল
উল্লেখ্য,ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি রেল কিংবা আকাশপথে যাওয়া যায় না।
রাঙ্গামাটি থেকে ঝুলন্ত ব্রিজ
রাঙ্গামাটি বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা/জীপ/প্রাইভেট গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে ঝুলন্ত ব্রিজ যেতে হবে।
থাকা ও খাওয়ার জন্য রাঙ্গামাটিতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
রাঙ্গামাটির রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন মোটেল
- রংধনু গেস্ট হাউজ
- হোটেল সুফিয়া
- হোটেল গ্রিন ক্যাসেল
- হোটেল আল-মোবা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
রাঙ্গামাটির হোটেলসমূহ-
বাস স্ট্যান্ড কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
ঝুলন্ত ব্রিজ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- ট্র্যাকিং এর যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া সুবিধাজনক
- আদিবাসীদের সাথে ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।