হাতিমাথা, যা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের একটি পাহাড়ি পথ। এটিকে মায়ুং কপাল বা হাতিমুড়াও বলা হয়। এছাড়াও স্থানীদের কাছে স্বর্গের সিড়ি এবং চাকমা ভাষায় ‘এদো সিরে মোন’ নামে পরিচিত।
জানা যায়, ১৫ গ্রামের বাসিন্দা এই পাহাড়ের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করে। আর তাই, গ্রামবাসীর চলাচলকে সুবিধাজনক করতে হাতিমাথা পাহাড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কতৃক ৩০৮ ফুট লম্বা লোহার সিঁড়ি তৈরি করা হয়।
এখানে রয়েছে-
- ছোট/বড় পাহাড়
- সবুজে মোড়ানো পাহাড়ি প্রকৃতি
- আদিবাসী জীবনধারা
হাতিমাথা দেখতে যেতে চাইলে প্রথমে খাগড়াছড়ি আসতে হবে।
খাগড়াছড়ি যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
- উত্তরা
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- শান্তি
- হানিফ
- শ্যামলী
- রিলেক্স
- ঈগল
উল্লেখ্য,ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িতে রেল কিংবা আকাশপথে যাওয়া যায় না।
খাগড়াছড়ি থেকে হাতিমাথা
খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে দিঘীনালা, সেখান থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে জামতলীর যাত্রী ছাউনির সামনে নেমে বাম দিকের রাস্তা ধরে চেঙ্গী নদী। নদী পেরিয়ে পল্টনজয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে একটি দোকান পাবেন। এখান থেকে গাইড নিয়ে দোকানের ডান পাশের রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে দুটি বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে কিছুটা দূরে ডানদিকের ছড়ার পাশ দিয়ে এগিয়ে আরো একটি বাঁশ-গাছের সাঁকো পার হতে হবে। এরপর পথ ধরে যেতে থাকলে একটি বগড়া বা লারমা পাড়া দেখতে পাবেন। আরো একটু সামনে এগিয়ে ছড়া ও বড় টিলা অতিক্রম করে কাপতলা এলাকায় পৌঁছে যাবেন। কাপতলা থেকে বেরিয়ে ডান পাশে নিচু পথ ধরে এগিয়ে আরেকটি মোড় পাবেন সেই মোড়ের ডানপাশে কিছুটা এগুলেই হাতিমাথা পাহাড় দেখতে পাবেন।
জামতলীর যাত্রী ছাউনি থেকে হাতিমাথা পাহাড় পৌঁছাতে ঘন্টা দেড়েক ট্রেকিং করতে হয়।
থাকা ও খাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি আপনাদের জন্য সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক।
খাগড়াছড়ির রিসোর্টসমূহ–
- পর্যটন মোটেল
- অরণ্য বিলাস
- হোটেল নূর
- হোটেল ইকো ছড়ি ইন
- শৈল সুবর্ন
- হোটেল মাউন্ট ইন
- গাংচিল আবাসিক
- হোটেল হিল টাচ
খাগড়াছড়িতে হোটেলসমূহ-
- ফুডাং থাং
- হিল ফ্লেভারস
- এফএনএফ রেস্টুরেন্ট
- ব্যাম্বু শুট
- সিস্টেম রেস্তোরাঁ
- গাং সাবারং
- চাওমিন রেস্টুরেন্ট
হাতিমাথা ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
- দক্ষ গাইড
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- যদি সাঁতার না জানেন তাহলে পানিতে ঝাঁপ দেবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- ট্র্যাকিং করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া ভালো
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।