হামহাম জলপ্রপাত
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝর্ণা হামহাম। এটির উচ্চতা ঠিক কতো, তা নিয়ে নানা মতভেদ আছে। তবে ধারণা করা হয় যে, এর উচ্চতা ১৩৫-১৬০ ফুটের মধ্যে। ঝর্ণার ঝড়ে পড়া পানি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ছড়া তৈরি করে বয়ে চলেছে। এরকমই বিভিন্ন ছোট বড় ছড়া পেরিয়ে জঙ্গলের বন্ধুর পথ পেরিয়ে এই ঝর্ণার কাছে পৌছাতে হয়। ২০১১ সালের নভেম্বর অবধি এই ঝর্ণার কাছে যাওয়া নিয়ে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গৃহিত হয়নি। তবে সাধারণত স্থানীয়দের থেকে গাইড নিয়ে পর্যটকগণ এ ঝর্ণা ভ্রমণ করেন। তাছাড়া ঝর্ণাকে ঘিরে গড়ে ওঠেনি কোনো সরকারি অবকাঠামো।
ঝর্ণায় যেতে হলে করমা বন বিটের চম্পারায় চা বাগান হয়ে যেতে হয়। চম্পারায় চা বাগান থেকে ঝর্ণার দুরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। পথে অত্যান্ত খাড়া মোকাম টিলা পাড়ি দিতে হয় এবং অনেক ঝিরিপথ ও ছড়ার কাদামাটি দিয়ে পথ চলতে হয়। ঝিরিপথে কদাচিৎ চোরাবালি তৈরি হয়। বর্ষাকালে হামহামে যাবার কিছু আগে পথে দেখা পাওয়া যায় আরেকটি অনুচ্চ ছোট ঝর্ণার। হামহামের রয়েছে দুটি ধাপ। সর্বোচ্চ ধাপটি থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে মাঝখানের ধাপে এবং সেখান থেকে আবার পানি পড়ছে নিচের অগভীর খাদে। ঝর্ণার নিকটবর্তী বাসিন্দারা ত্রিপুরা আদিবাসী।
হামহাম যাবার পথে এবং হামহাম সংলগ্ন রাজকান্দি বনাঞ্চলে রয়েছে সারিসারি কলাগাছ, জারুল, চিক রাশি কদমগাছ। এর ফাঁকে ফাঁকে উড়তে থাকে রংবেরঙের প্রজাপতি। ডুমুর গাছের শাখা আর বেত বাগানে দেখা মিলবে অসংখ্য চশমাপরা হনুমানের। এছাড়াও রয়েছে ডলু, মুলি, মিতিঙ্গা, কালি ইত্যাদি বিচিত্র নামের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ।
ইতিহাস
২০১০ সালের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক এই জলপ্রপাতটি আবিষ্কার করেন। এ জলপ্রপাতটির নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়। কেউ কেউ ঝর্ণার সাথে গোসলের সম্পর্ক করে “হাম্মাম” (গোসলখানা) শব্দটি ব্যবহার করেন। এলাকার বয়োবৃদ্ধ লোকদের মুখে প্রচলিত মিথ অনুযায়ী একসময় এখানে পরিরা গোসল করতো বিধায় একে হাম্মাম বলা হয়ে থাকে। আর এই হাম্মাম থেকেই পরবর্তীতে এর নাম হাম হাম হয়েছে বলে মনে করা হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সিলেটি উপভাষায় “আ-ম আ-ম” বলে বোঝানো হয় পানির তীব্র শব্দকে। আর ঝর্ণা যেহেতু সেরকমই শব্দ করে তাই সেখান থেকেই শহুরে পর্যটকদের ভাষান্তরে তা “হামহাম” হিসেবে প্রসিদ্ধি পায়। তবে কোনো একসময় এ জঙ্গলে চিতাবাধ পাওয়া যেত বলে স্থানীয়রা একে “চিতা ঝর্ণা” নামেও ডাকেন। স্থানীয়দের কাছে “হাম হাম” এবং “চিতা ঝর্ণা” দুটি নামই প্রসিদ্ধ।
কখন যাবেন |
---|
বর্ষাকালে এই ঝর্ণায় জলধারা প্রচন্ড ব্যাপ্তিতে গড়িয়ে পড়ে বলে এ সময় ঝর্ণার আসল যৌবন ফুটে ওঠে। অন্যদিকে শীতে তা কমে গিয়ে মাত্র একটি ঝর্ণাধারায় রুপ নেয়। তাই বর্ষাকালেই এই জলপ্রপাত ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। |
বিশেষ পরামর্শ |
পর্যটকরা অত্যান্ত দুর্গম পথ পাড়ি দেয়ার জন্য খাবার এবং প্লাস্টিকের পানির বোতল পলিথিন সমেত নিয়ে আসেন। কিন্তু প্রায়শই ফিরতি সময়ে এসব এই জলপ্রপাত এলাকাতেই ফেলে দেন। এতে যেমন পরিবেশ দূষণ হয় ঠিক তেমনি ঝর্ণা/জলপ্রপাতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তাই পর্যটকদেরকে এ সকল আবর্জনা সঙ্গে ফেরত নিয়ে যেতে অথবা পচনশীল বর্জ্য নিরাপদ দূরত্বে কোথাও মাটিতে পুতে ফেলতে অথবা পচনশীল বর্জ্য নিরাপদ দূরত্বে কোথাও পুড়িয়ে ফেলতে অথবা শহরের আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও আরো কিছু পরামর্শ নিম্নে দেয়া হলো-
|
বিশেষ সতর্কতা |
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব থাকার ঝিরিপথের কদাচিৎ চোরাবালিগুলো সম্পর্কে পর্যটকদের জন্য কোনো নির্দেশিকা দেখা যায়না। তাই কোথাও একা যাবেন না। সঙ্গে অবশ্যই বাঁশের লাঠি নিবেন। কলাবন পাড়ায় বাঁশের লাঠি কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও গভীর জঙ্গলে বানর, সাপ, মশা এবং জোঁকের অত্যাচার সহ্য করে পথ চলতে হয়। তাই সঙ্গে অবশ্যই লবন এবং শরিষার তেল নিবেন। |
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
|
|
ঢাকা
|
২৩৮ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রাজশাহী
|
৪৫৩ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রংপুর
|
৫০৩ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
সিলেট
|
১১৪ কি.মি. (সিলেট – মৌলভীবাজার হাইওয়ে হয়ে কমলগঞ্জ গেলে)
১৪৩ কি.মি. (সিলেট – মৌলভীবাজার হাইওয়ে হয়ে শ্রীমঙ্গল গেলে) [বেশী সুবিধাজনক]
|
ময়মনসিংহ
|
২৮১ কি.মি. (ভৈরব রোড হয়ে গেলে)
|
খুলনা
|
৪৪২ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
বরিশাল
|
৪০৪ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
চট্টগ্রাম
|
৩৩৩ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
হামহাম জলপ্রপাত যেতে আপনাকে আগে শ্রীমঙ্গল অথবা সিলেট হয়ে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে। কমলগঞ্জ হয়ে যাওয়ার থেকে শ্রীমঙ্গল হয়ে যাওয়া বেশী সুবিধাজনক। | |
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
|
ট্রেন |
ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ- ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে শ্রীমঙ্গল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) |
বিমান |
বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রাজশাহী থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো] |
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রংপুর থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[রংপুরে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় সৈয়দপুর থেকে আপনাকে সিলেট যেতে হবে।] বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(হামহাম জলপ্রপাত সিলেট বিভাগে হওয়ায় শ্রীমঙ্গল যেতে মৌলভীবাজারগামী অথবা শ্রীমঙ্গলগামী সরাসরি লোকাল ও মেইল বাস পেয়ে যাবে। তবে যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) |
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[ময়মনসিংহ থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই।] |
খুলনা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো বাস নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।] বাস স্টান্ডসমূহ:-
ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাসসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
শ্রীমঙ্গল থেকে সকাল সকাল হামহামের জন্য রওনা দিলে ভালো হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত কুরমা সীমান্ত ফাঁড়ি পর্যন্ত ২৫ কি.মি পাকা রাস্তা। এ পথে বাস সার্ভিস চালু আছে। এছাড়াও যে কোনো প্রকার গাড়িতে এখানে যাতায়াত করা যায়। ফাঁড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ধরে ন্যাশনাল টি কোম্পানির চাম্পারায় চা বাগান পর্যন্ত যেকোনো গাড়ীতে যাওয়া যায়। বাগানের মূল অংশ থেকে ৫ কিলোমিটার গেলেই কলাবন পাড়া নামক শ্রমিক বস্তি। সরাসরি শ্রীমঙ্গল থেকে এই কলাবন পাড়া আপডাউন সিএনজি ভাড়া ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকার মত লাগে, এসব গাড়িতে ৩ থেকে ৫ জন অনায়াসে যাওয়া যায়। এ ছাড়া চাইলে জীপ গাড়িতেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়ে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে দামাদামী করে নিলে ২ হাজারেও যেতে পারবেন। [২০২৫ সালের রেকর্ড অনুযায়ী] কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যেতে ঝিরিপথ এবং পাহাড়ি পথের দুটি পৃথক ট্রেইল রয়েছে। ঝিরিপথে একটু সময় বেশি লাগলেও এই পথের সৌন্দর্য পাহাড়ি পথের তুলনায় অধিক। তবে বর্ষাকালে ঝিরিপথে অনেক জোঁক থাকে। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম ঝর্ণা হেটে যেতে ২ থেকে ৩ ঘন্টা লাগে। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(হামহাম ঝর্ণার আশেপাশে কোনো থাকার ব্যবস্থা না থাকায় আপনাকে সন্ধ্যার আগেই শ্রীমঙ্গলে ফিরে যেতে হবে। তবে আদিবাসীদের সাথে কথা বলে যদি নিজেকে মানিয়ে থাকতে চান, তাহলে তৈলংবাড়ী কিংবা কলাবন পাড়াতে আদিবাসীদের অনুমতি সাপেক্ষে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। তবে শ্রীমঙ্গল ফিরে যাওয়াই সবথেকে ভালো।) (কলাবন পাড়ায় কিছু খাবার দোকান ও হোটেল রয়েছে। তবে তা সাময়িক ক্ষুধা নিবারণে সক্ষম। তবে কলাবন পাড়ার হোটেলে খেতে চাইলে আগে অর্ডার করে ফেরার পথে খেতে পারবেন। এছাড়া ঝর্ণার পাদদেশে কিছু চা ও ছোলাবুটের দোকান রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
শ্রীমঙ্গলের কিছু পাঁচ তারকা মানের হোটেলসমুহ:-
সিলেটের হোটেলসমুহ:-
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।) মৌলভীবাজারে হোটেলসমুহ:-
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো অনেক আবাসিক হোটেল মৌলভীবাজার এর সরকারি ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
শ্রীমঙ্গলের জনপ্রিয় খাবার হোটেল:
সিলেট শহরের জিন্দা বাজারের জনপ্রিয় খাবার হোটেল:
(শ্রীমঙ্গল সহ মৌলভীবাজার ও সিলেট শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।) |
বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়। |
ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – [email protected]
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
|
২। হাইল হাওর
৪। বাইক্কা বিল
|