হামহাম জলপ্রপাত
যা মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনাঞ্চলের গভীরে অবস্থিত। এটি প্রায় ১৪০ফিট উঁচু। স্থানীয়দের মতে অনেক আগে এই জঙ্গলে চিতা বাঘ দেখা যেত, তাই সবাই এটিকে “চিতা ঝর্ণা” বলে।
জানা যায়, ২০১০ সালের শেষে স্থানীয় পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মাকে সাথে নিয়ে একদল পর্যটক এই জলপ্রপাতটি আবিষ্কার করেন।
এখানে রয়েছে-
- পাহাড়
- ঝর্ণা
- বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও পশুপাখি
উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুমে হাওর দেখার আদর্শ সময়। এখানে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে মৌলভিবাজার/শ্রীমঙ্গলে আসতে হবে।
শ্রীমঙ্গল যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- ফকিরাপুল
- সায়েদাবাদ
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- গ্রীনলাইন
- এস আলম
- শ্যামলী
- সৌদিয়া
- এনা
- ইউনিক
ট্রেন:
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত-
- উপবন
- জয়ন্তিকা
- পারাবত/কালনি এক্সপ্রেস
আকাশপথে ভ্রমণ করতে চাইলে ঢাকা থেকে সিলেটে এসে,তারপর সড়ক পথে শ্রীমঙ্গলে যেতে পারবেন।
বিমান:
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- ইউএস বাংলা
- নভো এয়ার
সিলেটের কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে –বাস/সিএনজি (রিজার্ভ সার্ভিস)/লেগুনা (রিজার্ভ সার্ভিস) এর মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল হয়ে হামহাম জলপ্রপাত যেতে পারবেন।
শ্রীমঙ্গল থেকে হামহাম জলপ্রপাত
শ্রীমঙ্গল বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা/সিএনজি /লেগুনা/চান্দের গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে কলাবন পাড়ায় পৌঁছে স্থানীয় গাইড ঠিক করে নিয়ে হামহাম জলপ্রপাত যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গল আপনাদের জন্য সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক।
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্টসমূহ–
- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ
- টি রিসোর্ট
- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট
- নিসর্গ ইকো রিসোর্ট
শ্রীমঙ্গলের আবাসিক হোটেলসমূহ-
- পানশী
- পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট
- হোটেল প্লাজা
উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
শ্রীমঙ্গলের রেষ্টুরেন্টসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।
হামহাম ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি কিংবা বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি।
- ক্যাম্পিং সুবিধা।
- নৌকা যাত্রা।
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন।
- সাঁতার না জানা থাকলে গভীর পানিতে ঝাঁপ দেবেন না।
- স্থানীয় গাইড নিলে সহজে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- ট্র্যাকিংয়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন।
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করুন।