লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, যা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চল। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কি.মি। ১২৫০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট এ উদ্যানটিকে বলা চলে একপ্রকার প্রাকৃতিক জাদুঘর । এই উদ্যানটি বাংলাদেশে ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত।
এখানে রয়েছে-
- ৬০ প্রজাতির উদ্ভিদ
- ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী
- ২৪০ প্রজাতির পাখি
- ৬ প্রজাতির সরীসৃপ
- খাসিয়াপুঞ্জি
- পানের বরজ
- উচু-নিচু টিলা
- চা বাগান
- ঝিরি
- ঢাকা-সিলেট রেললাইন
উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুমে উদ্যান দেখার আদর্শ সময়। এখানে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে মৌলভিবাজার/শ্রীমঙ্গলে আসতে হবে।
শ্রীমঙ্গল যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- ফকিরাপুল
- সায়েদাবাদ
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- গ্রীনলাইন
- এস আলম
- শ্যামলী
- সৌদিয়া
- এনা
- ইউনিক
ট্রেন:
কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন-
- উপবন
- জয়ন্তিকা
- পারাবত/কালনি এক্সপ্রেস
আকাশপথে ভ্রমণ করতে চাইলে ঢাকা থেকে সিলেটে এসে,তারপর সড়ক পথে শ্রীমঙ্গলে যেতে পারবেন।
বিমান:
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- ইউএস বাংলা
- নভো এয়ার
সিলেটের কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে –বাস/সিএনজি (রিজার্ভ সার্ভিস)/লেগুনা (রিজার্ভ সার্ভিস) এর মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল হয়ে লাউয়াছড়া উদ্যান যেতে পারবেন।
শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া উদ্যান
শ্রীমঙ্গল বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা/সিএনজি /লেগুনা/চান্দের গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে স্থানীয় গাইড ঠিক করে উদ্যানে যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গল আপনাদের জন্য সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক।
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্টসমূহ–
- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ
- টি রিসোর্ট
- গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট
- হোটেল প্লাজা
- নিসর্গ ইকো রিসোর্ট
শ্রীমঙ্গলের হোটেলসমূহ-
- পানশী
- পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট
লাউয়াছড়া উদ্যান ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
- দক্ষ গাইড
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে পানিতে ঝাঁপ দেবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে সহজে পুরো অঞ্চল ভালোভাবে ঘুরতে পারবেন
- ট্র্যাকিংয়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।