লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
বাংলাদেশের অন্যতম ৭ টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০ টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান অন্যতম একটি জাতীয় উদ্যান। সেই সাথে এ উদ্যান চিরহরিৎ বনাঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। যা একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। শ্রীমঙ্গল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গেলেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় (আংশিক শ্রীমঙ্গলে) লাউয়াছড়া উদ্যানের অবস্থিত। ১২৫০ হেক্টর আয়তনের এ বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। বিলুপ্ত প্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীবজন্তু, কীট-পতঙ্গ এবং উদ্ভিদ। এ উদ্যানটিকে প্রাকৃতিক জাদুঘরও বলা হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ অতিবৃষ্টি অরণ্যের মত এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সূর্য্যের আলো পাওয়ার জন্য এ বনের গাছপালাগুলো উঁচু হতে প্রতিযোগিতা করে এবং অনেক অপরে ডালপালা ছড়িয়ে চাঁদোয়ার মত সৃষ্টি করে। এই অরণ্য এতই ঘণ যে এর মাটিতে সূর্য্যের আলো পড়েনা বললেই চলে। তাই এটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অতিবৃষ্টি অরণ্য এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একারণে এটিকে ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়। লাউয়াছড়া উদ্যানের বন উঁচু-নিচু টিলা জুড়ে বিস্তৃত। বনের মাটিতে বালুর পরিমাণ বেশি এবং প্রচুর পাথর দেখা যায়। বনের মাটিতে পাতা জমে জমে পুরু স্পঞ্জের মতো হয়ে থাকে, জায়গায় জায়গায় মাটিই দেখা যায়না। এসব স্থানে জোঁকের উপদ্রপ খুব বেশি থাকে।
বনের সৌন্দর্যকে কাছে থেকে দেখার জন্য রয়েছে ৩ টি ট্রেইল। আধা ঘন্টা, একঘন্টা ও তিনঘন্টার ভিন্ন ভিন্ন ট্রেইলগুলোতে ট্রেকিং করে খুব কাছে থেকেই বন্য পরিবেশ ও রুপ উপভোগ করা যায়। আধঘন্টার পথটি শুরু রেললাইন পেরিয়ে হাতের বা দিক থেকে। এখানে দেখা মিলতে পারে কুলু বানরের সাথে। এ পথের বড় বড় গাছের ডালে দেখা মিলবে বুনো অর্কিড। এই পথেই বাঁয়ে বাঁয়ে চলতে থাকলে পেয়ে যাবেন শুরুর স্থান। অন্যদিকে, একঘন্টার ট্রেকিং ট্রেইলের শুরুতেই কস্তুরী নামক এক বিশেষ বিশাল গাছ। যা থেকে তৈরি হয় সুগন্ধি। পথের পাশে থাকা ডুমুর গাছের ফল খেতে আসে উল্লুক, বানর ও হনুমান ছাড়াও বনের অনেক বন্যপ্রাণী এবং বাসিন্দারা। এ পথে হাটতে হাটতেই দেখা হয়ে যেতে পারে মায়া হরিণ ও বন্য মোরগের সাথে। আবার, তিন ঘন্টার ট্রেইলের বাঁয়ে খাসিয়াদের বসত মাগুরছড়া পুঞ্জি। এ পুঞ্জির বাসিন্দারা মূলত ঝাঝালো পান চাষ করে থাকেন। ১৯৫০ সালের দিকে বন বিভাগ এ পুঞ্জি তৈরি করে। এ পথেই দেখা মিলে যেতে পারে কুলু বানর ও বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানরের সাথে।
পার্কের একপাশে রয়েছে আনারসের বাগান আবার একপাশে চায়ের বাগান আবার কোথাও রয়েছে লেবুর বাগান। জঙ্গলের ভিতর রয়েছে কয়েকটি পাহাড়ি ছড়া। পুরো ন্যাশনাল পার্কটি শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ পাকা মহাসড়ক ও সিলেট আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের রেললাইন দ্বারা ৩ খন্ডে বিভক্ত। বনের মাঝ দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-সিলেট রেললাইন। এই রেললাইনেই ২০০৮ সালে হুমায়ুন আহমেদের পরিচালিত “আমার আছে জল” চলচ্চিত্রটির স্যুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ”। এছাড়াও ১৯৫৫ সালের আরো একটি সিনেমা “Around the World in 80 days” এর স্যটিং স্পট হিসেবে এর রেললাইন ব্যবহার করা হয়। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৫৬ সালে। যার পরিচালক ছিলেন Micheal Todd.
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। লাউয়াছড়া উদ্যানেই বাংলাদেশ বন বিভাগ কর্তৃক স্থাপিত তথ্য বোর্ড রয়েছে।
প্রকৃতি | |
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানটি সিলেটের পাহাড়ী বনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা মূলত চিরহরিৎ ও মিশ্রচিরহরিৎ বন। লাউয়াছড়া উদ্যান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত এলাকায় ছয় প্রকার ভূমির ব্যবহার সনাক্ত করা যায়। যেমন-
এ উদ্যানজুড়ে রয়েছে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হওয়া বেশ ক্ষুদ্র জলপ্রবাহ, আঞ্চলিকভাবে যা ‘ছড়া’ নামে পরিচিত। ১২৫০ হেক্টরের এ জাতীয় উদ্যান দক্ষিণ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে বিস্তৃত। যার উত্তরে চাউতলী ও কালাছড়া বন বিট। উত্তর-পূর্ব কোনে বালিগাঁও ও বাগমারা। পূর্বে ফুলবাড়ী চা বাগান, লঙ্গুরপাড় ও ভাষানীগাঁও। পশ্চিমে ভাড়াউড়া চা বাগান। উত্তর-পশ্চিমে গোরোবস্থি ও ঘিলাছড়া এবং দক্ষিণে ডলূবাড়ি ও রাধানগর। এ উদ্যানে ল্যান্ডস্কেপ এলাকায় মূলত কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমানায় বিস্তৃত। যেখানে কমলগঞ্জ উপজেলার কালাছড়া, সরইবাড়ি, বাদেউবাহাটা, বনগাঁও, রাসটিলা, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া, বাঘমারা, উঃ বালিগাঁও, বাল্লারপাড়, ফুলবাড়ি (চা বাগান), মাগুরছড়া পুঞ্জি, লঙ্গুরপাড়, টিলাগাঁও, ভাষানীগাঁও, নুরজাহান চা বাগান এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার দিলবরনগর, রাধানগর, ডলাছড়া, বিরাইমপুর বস্থি, ভাড়াউড়া বস্থি, জাগছড়া, খাইছড়া, সোনাছড়া, গারোবস্থি, কালাপুর, লামুয়া, সিরাজনগর ও লাউয়াছড়া পুঞ্জি এলাকা অন্তর্ভুক্ত। |
রক্ষিত এলাকার বিশেষত্ব | |
|
জীববৈচিত্র্য | |
জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম বনগুলোর একটি। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর এক জীবন্ত সংগ্রহশালা। বনে প্রবেশের সাথে সাথেই নানা ধরনের বন্যপ্রাণী, পাখি এবং কীটপতঙ্গের শব্দ শোনা যায়। বনে প্রায় সারাক্ষণই ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ সাইরেনের মত বাজতে থাকে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে- → ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ – যার মধ্যে গর্জন, সেগুন, গামারি, মিনজিরি, জামরুল, চাপালিশ, নাগেশ্বর, শিমুল, লোহাকাঠ, জাম, ডুমুর, তুন, শিরিষ, অর্কিড অন্যতম। → ৪ প্রজাতির উভচর → ৬ প্রজাতির সরীসৃপ – যার ভেতর অজগর এবং হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ অন্যতম। → ২৪৬ প্রজাতির পাখি – যার মধ্যে সবুজ ঘুঘু, লাল বন মোরগ, তুর্কি বাজ, সাদামাথা সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালো মাথা টিয়া, কালো-পিঠ চেরালেজি, ধূসরাভ সাত সহেলি, প্যাঁচা, কালো ফিভে, বাসন্তী লটকন টিয়া, কালো বাজ, লাল মাথা টিয়া, কালো মাথা বুলবুল, পরঘুমা, সবুজ টিয়া, ছোট হরিয়াল, সবুজ বাশঁপাতি, তোতা, পান্না কোকিল, পাঙ্গা, কেশরাজ অন্যতম। → ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী – যার মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক, চশমাপরা হনুমান, লজ্জাবতী বানর, মুখপোড়া হনুমান, বন্য বানর, শিয়াল, মেছোবাঘ, রামকুত্তা, এশীয় কালো ভাল্লুক ও মায়া হরিণ অন্যতম। মায়া হরিণ সাধারণত উচ্চতায় ২০-২২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এদের বাদামী রঙের দেহ যা পিঠের দিকে ঘিয়ে গাঢ় রঙ ধারণ করে। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে এ বনে সিতেশ রঞ্জন দেব তার চিড়িয়াখানা থেকে দুটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা ও একটি বন বিরাল অবমুক্ত করে। “শকুনের নিরাপদ এলাকা-১” তফসিল অনুসারে এ উদ্যান শকুনের জন্য নিরাপদ ঘোষিত হয়েছে। |
ইতিহাস
ভানুগাছ অঞ্চলে জুম চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরা ভাষায় লাউয়াছড়া বনকে মৈলপতুইসা বলা হয়। মৈলপ মানে লাউ আর তুইসা শব্দের অর্থ পাহাড়ি ছড়া। যে বনের ছড়ার ধারের জুমে লাউয়ের ফলন ভালো হয়, সেই এলাকাকে বলা হতো মৈলপতুইসা। ১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পুরো অঞ্চলটি অধিকার করে এখানে বৃক্ষায়ন শুরু করে। ইতোমধ্যে অরণ্যে রুপ নেয়া মৈলপতুইসা ঘোষিত হয় সংরক্ষিত বন হিসেবে। ভানুগাছের পশ্চিমে থাকার কারণে এর নাম ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। ১৯২৭ সালে উপনিবেশিক বন আইন জারির পর এখানকার বিভিন্ন স্থানের নামে পরিবর্তন আনা হয়। আর এ সময়েই মৈলপতুইসার নাম বদলে লাউয়াছড়া করা হয়। ১৯৯৬ সালে ১৯৭৪ এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষন সংশোধন আইন অনুসারে বনের নামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় জাতীয় উদ্যান। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব “বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ” সিলেটের উপর ন্যাস্ত হয়।
কখন যাবেন |
---|
বছরের সব মৌসুমেই ঘোরার উপযুক্ত সময় হলেও এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি হয় শীতকালে। পাহাড়ি ছড়ার ২ থেকে ৩ টি ছড়া ছাড়া প্রায় সবগুলোতেই শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমেই পানি থাকে। পানিশূন্য ছড়াগুলোতে বন্যপ্রাণী খুব একটা দেখা যায় না। তাই তাদের সাক্ষাত পেতে চাইলে আসতে হবে বর্ষা কালেই। চা শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত জীবনের সাক্ষী হতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যেই যেতে হবে। |
বিশেষ পরামর্শ |
বনের যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেননা। এতে বনের জীব বৈচিত্র্যের উপ ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। শীতকাল ছাড়া অন্য সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে জোক এবং সাপের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। অপরিচিত কারো সাথে একা বনের গভীরে যাবেন না। রেলপথে হাটার সময় ট্রেনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। কম খরচে ভ্রমণ করতে চাইলে রিজার্ভ গাড়ি না করে শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোডের লোকাল সিএনজি অথবা বাস দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। ভেতরে কোনো খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় নিজেকেই সে ব্যবস্থা সঙ্গে রাখতে হবে।
(২০২৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ী) |
বিশেষ সতর্কতা |
|
দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
|
|
ঢাকা
|
১৮৪ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রাজশাহী
|
৩৯৯ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
রংপুর
|
৪৪৯ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
সিলেট
|
৯০ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
৮৮ কি.মি. (সিলেট – মৌলভীবাজার হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
ময়মনসিংহ
|
২২৭ কি.মি. (ভৈরব রোড হয়ে গেলে)
|
খুলনা
|
৩৮৮ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
বরিশাল
|
৩৫০ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
চট্টগ্রাম
|
৩১৭ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
|
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান যেতে আপনাকে আগে শ্রীমঙ্গল অথবা সিলেট হয়ে শ্রীমঙ্গল অথবা মৌলভীবাজার হয়ে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে। | |
ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-
|
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
|
ট্রেন |
ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ- ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে শ্রীমঙ্গল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) |
বিমান |
বিমানসমূহ:- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-
|
রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রাজশাহী থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো] |
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
রংপুর থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[রংপুর থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[রংপুরে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় সৈয়দপুর থেকে আপনাকে সিলেট যেতে হবে।] বিমানসমূহ:
|
সিলেট থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
(লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সিলেট বিভাগে হওয়ায় শ্রীমঙ্গল যেতে মৌলভীবাজারগামী অথবা শ্রীমঙ্গলগামী সরাসরি লোকাল ও মেইল বাস পেয়ে যাবে। তবে যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।) সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-
(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।) |
ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[ময়মনসিংহ থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই।] |
খুলনা থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো বাস নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।] বাস স্টান্ডসমূহ:-
ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।] ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:
|
বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাসসমূহ:-
|
বিমান |
বিমানসমূহ:-
|
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায় |
|
বাস |
বাস স্টান্ডসমূহ:-
বাস সমূহ:-
(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল) |
ট্রেন |
জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:
|
বিমান |
বিমানসমূহ:
|
শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোডের লোকাল সিএনজি অথবা লোকাল বাস দিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যেতে পারবেন। |
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা |
|
(লাউয়াছড়াতে থাকার জন্য একটি ফরেস্ট রেস্ট হাউস রয়েছে। তবে এখানে থাকতে হলে ফরেস্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এছারা উদ্যানের পাশেই থাকার জন্য লেমন গার্ডেন নামে একটি রিসোর্ট রয়েছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে একটি টি রিসোর্ট রয়েছে। আবার রাধানগরে নিসর্গ নীরব ইকো রিসোর্ট এবং নিসর্গ লিচিবাড়ি ইকো রিসোর্ট নামক দুটি রিসোর্ট রয়েছে।) |
|
আবাসিক হোটেলসমূহ |
শ্রীমঙ্গলের কিছু পাঁচ তারকা মানের হোটেলসমুহ:-
সিলেটের হোটেলসমুহ:-
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।) মৌলভীবাজারে হোটেলসমুহ:-
(উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো অনেক আবাসিক হোটেল মৌলভীবাজার এর সরকারি ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।) |
রেস্টুরেন্টসমূহ |
শ্রীমঙ্গলের জনপ্রিয় খাবার হোটেল:
সিলেট শহরের জিন্দা বাজারের জনপ্রিয় খাবার হোটেল:
(শ্রীমঙ্গল সহ মৌলভীবাজার ও সিলেট শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।) |
বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়। |
ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
- সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ: যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।
বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।
যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
→ ইমেইল – [email protected]