মনপুরা দ্বীপ, যা বরিশালের ভোলা জেলায় অবস্থিত। মুলত এটি সেখানকার বিচ্ছিন্ন একটি ভূমি।
জানা যায়, দ্বীপের পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তর দিকে মেঘনা নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
এখানে রয়েছে-
- হরিণের অভয়াশ্রম
- ল্যান্ডিং স্টেশন
- চৌধুরী প্রজেক্ট
- মাছের ঘের
- পুকুর
- লেক
- নারিকেল গাছের সারি
উল্ল্যেখ্য, এখানে ক্যাম্পিং এবং সাইক্লিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। মুলত দ্বিপটি শীতকালে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।
মনপুরা দ্বীপ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ভোলা আসতে হবে।
ভোলা যাওয়ার সবথেকে সহজ ও নিরাপদ উপায় হল নৌপথ।
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলা পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এম.ভি ভোলা
- এম.ভি কর্ণফুলী
- এম.ভি সম্পদ
- এম.ভি ফারহান
ভোলা থেকে মনপুরা দ্বীপ
ভোলা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা/নৌকা রিজার্ভ এর মাধ্যমে মনপুরা দ্বীপ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য দ্বিপে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
মনপুরা দ্বীপ রিসোর্টসমূহ–
- সরকারি ডাকবাংলো
- প্রেসক্লাব বাংলো
- কারিতাস বাংলো
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
মনপুরা দ্বীপ হোটেলসমূহ-
দ্বিপের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।