কমলক ঝর্ণা, যা সাজেক ভ্যালির রুইলুই পাড়া হতে দুই/আড়াই ঘন্টা ট্রেকিং করে যেতে হয়। এটির স্থানীয় নাম পিদাম তৈসা বা সিকাম তৈসা ঝর্ণা।
এখানে রয়েছে-
- ছোট/বড় পাহাড়ের সারি
- কংলাক পাহাড়
- কংলাক পাড়া
- সাদা তুলোর মত মেঘের ভ্যালি
- কর্ণফুলী নদী উৎপত্তিস্থল ভারতের লুসাই পাহাড়
- হ্যালিপ্যাড
- আদিবাসীদের জীবন যাপন
উল্লেখ্য, এই ঝর্ণা দেখতে হলে সাজেক ভ্যালিতে অন্তত একদিন অবস্থান করতে হবে। সাজেক ভ্যালীতে আসলে ঝর্ণা দেখার প্রস্তুতিও নিতে পারেন। বিভ্রান্তি এড়াতে এবং সঠিক পথে যেতে স্থানীয় ব্যতীত নিবন্ধিত গাইড কিংবা রিসোর্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা নিন।
কমলক ঝর্ণা যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে।
খাগড়াছড়ি যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
- উত্তরা
- মহাখালী
বাসসমূহ–
- শান্তি
- হানিফ
- শ্যামলী
- রিলেক্স
- ঈগল
উল্লেখ্য,ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িতে রেল কিংবা আকাশপথে যাওয়া যায় না।
খাগড়াছড়ি থেকে কমলক ঝর্ণা
খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি রিজার্ভ এর মাধ্যমে সাজেক ভ্যালী যেতে হবে,সেখান থেকে ঝর্নায় যেতে হবে। যা ১/২ দিনের প্যাকেজ আকারে ভাড়া ঠিক করে নিতে হবে। তবে বেশি সদস্য হলে জনপ্রতি গাড়ী ভাড়ার পরিমাণ কম পরবে।
থাকা ও খাওয়ার জন্য সাজেক ভ্যালীতেই সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
সাজেক ভ্যালীর রিসোর্টসমূহ–
- রিসোর্ট রুংরাং
- সাজেক রিসোর্ট
- রুন্ময় রিসোর্ট
- মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট
- ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট
- মেঘ মাচাং
- জুমঘর ইকো রিসোর্ট
- লুসাই কটেজ
- আলো রিসোর্ট
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
সাজেক ভ্যালীতে হোটেলসমূহ-
মুলত সব রিসোর্টে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। তবে খাওয়ার ২০ মিনিট আগে বলে রাখা ভালো।
কমলক ঝর্ণা ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
- দক্ষ গাইড
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- ট্র্যাকিং এর যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া সুবিধাজনক
- আদিবাসীদের সাথে ভদ্রতা বজায় রাখুন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।