পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ,যা মাগুরা জেলার ইছাখাদা গ্রামে নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত।
জানা যায়, আনুমানিক প্রায় ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দে খান জাহান আলী (র:) তার ১২ জন শিষ্য নিয়ে যশোরের বারবাজারে এবং পরে বাগেরহাটে আসেন। পর্যায়ক্রমে তার অন্যতম শিষ্য হযরত পীর মোকররম আলী শাহ (র:) ইসলাম প্রচার করতে বারবাজার ইছাখাদা গ্রামে আসেন। জীবনের শেষ অবধি তিনি এই গ্রামেই থাকেন এবং এখানেই থাকে সমাধিস্ত করা হয়।
এখানে রয়েছে-
- বিভিন্ন জাতের গাছপালা
- মসজিদ
- পুকুর
- মাদ্রাসা
- মাজার
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ৩ মাঘ এখানে পবিত্র ইসালে সওয়াবের আয়োজন করা হয়।
পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে মাগুরা আসতে হবে।
মাগুরা যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- হানিফ
- সোহাগ
- ঈগল
মাগুরা থেকে পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য মাগুরা সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
মাগুরার রিসোর্টসমূহ–
- সার্কিট হাউজ
- ছায়া বিথী
- হোটেল চলনতিকা
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
মাগুরা হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।