সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি, যা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলার বাঘ হিসেবে পরিচিত এ কে এম ফজলুল হকের জন্মস্থান । বাড়িটি প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত।
জানা যায়,ফজলুল হকের মাতামহ শেখ শাহাবুদ্দিন ১৭শ শতকে সাতুরিয়ায় এই জমিদার বাড়ী প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে।
এখানে রয়েছে-
- ৩টি ভবন
- কারুকার্য খচিত সৌন্দর্য
- ফুলের বাগান
- পুকুর
- পাঠাগার
সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ঝালকাঠি আসতে হবে।
পিরোজপুর যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- সায়েদাবাদ
বাসসমূহ–
- ঈগল
- বিআরটিসি
- সুগন্ধা
- হানিফ
- উত্তরণ
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এমভি ফারহান-৭
- সুন্দরবন-২
- টি এস লেপচা
- টি এস মাসুদ
ঝালকাঠি থেকে সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি
শহরের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে কিংবা অটোরিকশা/রিকশা রিজার্ভ এর মাধ্যমে সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য ঝালকাঠিতে সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
ঝালকাঠির রিসোর্টসমূহ–
- জেলা পরিষদের ডাক বাংলো
- ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউজ
- ডালিয়ান হোটেল
- হালিমা বোর্ডিং
- আরাফাত বোর্ডিং
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
ঝালকাঠির হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।