মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ, যা পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এটি ৫০০ বছর পূর্বে সুলতানি আমলে স্থাপিত।
জানা যায়, ১৪৬৫ সালে ইলিয়াস শাহী বংশের নবাব রুকনুদ্দিন বরবকের আমলে খান-ই-মোয়াজ্জেম উজিয়াল খান মসজিদটি নির্মাণ করেন।
এখানে রয়েছে-
- মেহরাব
- খিলান পথ
- ৬টি মিনার
- ইয়াকিন শাহ্ ও কালা শাহের কবর
- দীঘি
উল্ল্যেখ্য, প্রতিবছর মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে ওয়াজ মাহফিলে আয়োজন করা হয়।
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে বপটুয়াখালী আসতে হবে।
পটুয়াখালী যেভাবে যাবেন-
বাস: ঢাকার বাস স্ট্যান্ড-
- গাবতলী
- আবদুল্লাহপুর
- মহাখালী
- কল্যাণপুর
বাসসমূহ–
- সুরভী
- বিআরটিসি
- হানিফ
- সাকুরা
লঞ্চসমূহঃ
ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত লঞ্চসমূহ-
- এডভেঞ্চার
- সুরভী
- মানামি
- গ্রীন লাইন
- সুন্দরবন
- কীর্তনখোলা
বিমানসমুহঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বরিশাল যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ-
- বাংলাদেশ বিমান
- ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
- নভোএয়ার
বরিশাল থেকে আপনাকে পটুয়াখালী যেতে হবে।
পটুয়াখালী থেকে মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ
পটুয়াখালী শহরের পায়রাগঞ্জ এসে নদী পাড় হয়ে রিকশা /অটোরিকশা/ বাইকে ২০ কিলোমিটার পর মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার জন্য পটুয়াখালী সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
পটুয়াখালী রিসোর্টসমূহ–
- হোটেল পানামা ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল রিয়াজ
- কালিকাপুর আবাসিক হোটেল
- পায়রা হোটেল
- হোটেল হিলটন
- হোটেল সাফারি
উক্ত রিসোর্টসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং জনিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
পটুয়াখালী হোটেলসমূহ-
শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা রিসোর্টের আশেপাশে অনেক খাবার হোটেল পাবেন।
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ ভ্রমণের সুবিধা হল–
- উন্নত ভ্রমণ সুবিধা
- পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানো
- সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতি
সতর্কতা–
প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষি করতে একদম সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিন
- স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলুন
বি.দ্রঃ যেকোনো সমস্যায়, বাংলাদেশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করুন।