বাংলা ভাষার জন্ম

বাংলা ভাষার জন্ম সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানা প্রয়োজন ভাষা কিভাবে জন্ম নিলো।

মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম উপায় ভাষা। ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা গেলেও তা কষ্টসাধ্য। যারা অন্ধ তারা কি ইশারার ভাষা বুঝে? উত্তর হলো – না। প্রাণিজগতে সকলেরই নিজস্ব ভাষা আছে। কিন্তু তারা শুধু আওয়াজের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। মানুষই একমাত্র জীব যারা ভাষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধ্বনির প্রয়োগ ঘটিয়েছে এবং তার লেখ্যরুপ তৈরি করেছে। নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগি টলারম্যান বলেছেন “পৃথিবীতে মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যাদের ভাষা আছে, এই ভাষার কারণে আমরা অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা হয়েছি”। ভাষার মাধ্যমে এই যে ভাবের বিনিময়, কথার আদান প্রদান, সেটাকে দেখা হয় বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে। সবকিছুকে বদলে দিয়েছে এই ভাষা। কোনো একটি ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানা প্রয়োজন ভাষার উৎস কোথা থেকে।

ভাষার উৎস (Origin of Language): ভাষার উৎপত্তি কত বছর আগে থেকে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে ভাষা গবেষকদের মতে, আজ থেকে প্রায় ৫০ হাজার বা ১ লক্ষ বছর আগে মানুষ প্রথম ভাষা ব্যবহার করে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো থেকে জানা যায়, আফ্রিকার মানুষেরাই সর্বপ্রথম ভাষার ব্যবহার করেছিল। গবেষকদের ধারণা, বর্তমান পৃথিবীর যত মৃত বা জীবিত ভাষা আছে, সেসবের আদি উৎস হলো আফ্রিকার ঐসব প্রাচীন মানুষদের ভাষা। আফ্রিকা থেকে যখন মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন তাদের আদি ভাষাও বদলাতে শুরু করে। সেই ভাষা শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভ করে জন্ম হয় আরো নতুন নতুন ভাষার। এভাবে পৃথিবীর ভাষাগুলোকে বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেমন: ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী, অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠী, আফ্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠী, চীনা-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠী, মালয়-পলিনেশীয় ভাষাগোষ্ঠী, নাইজার-কঙ্গো ভাষাগোষ্ঠী, দ্রাবিড়ীয় ভাষাগোষ্ঠী ইত্যাদি। একটি ভাষাগোষ্ঠীর সব ভাষা এক পরিবারভুক্ত। আর সব ভাষাগোষ্ঠীই একটি মহাপরিবারের অন্তর্ভুক্ত। আর তা হলো আফ্রিকার সেই আদিম ভাষা। বর্তমান বিশ্বের ভাষাগুলোর ব্যাকরণ বিশ্লেষণ করে নোয়াম চমস্কির মতো ভাষাবিদদের ধারণা, এসব ভাষার পেছনে একটি সার্বজনীন ব্যাকরণ আছে বলেই সব ভাষার মূল এক। ভাষার উৎপত্তি নিয়ে অধ্যাপক টলারম্যান বলেছেন “আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ভাষার উৎপত্তি পাঁচ লাখ বছর আগেও হতে পারে”। অনেক ভাষা গবেষকদের মতে ৮০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকার কিছু জঙ্গলে বাস করত এপ-জাতীয় কিছু প্রাণী। এই এপ-জাতীয় প্রাণীগুলিকে মানুষদের পূর্বপুরুষ ধরা হয়। এরা মূলত বৃক্ষে বসবাস করত, মাটিতে চার পায়ে হাঁটত এবং বিশ-ত্রিশটার মত ভিন্ন ডাকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করত। ধারণা করা হয় এখান থেকেই ভাষার জন্ম।

ভাষার শুরুর দিকে কথা গুলো কি ছিলো: মানব ইতিহাসের শুরুর দিকে যে শব্দগুলো চালু ছিল বলে ধারণা করা হয় সেগুলোর অর্থ হতে পারে ‘ঈগল’, ‘চিতা’ অথবা ‘দেখো’। অনেকে মনে করেন, আমাদের পরিবেশের আশেপাশে সহজ ও সুনির্দিষ্ট কোন জিনিসই হয়তো মানুষের মুখ থেকে প্রথম এসেছিল। আরেকটি তত্ত্ব হচ্ছে প্রথম দিককার শব্দগুলোর মধ্যে এমন শব্দগুলোই ছিল যেগুলো আমরা এখন সবসময় ব্যবহার করি। যেমন: ইশ, হেই, ওয়াও, থ্যাংকস, গুডবাই- এধরনের শব্দ। এসব শব্দ প্রায় সব ভাষাতেই আছে। অনেকে আবার মনে করেন আমাদের পূর্বপুরুষরা যেহেতু শিকার করে পশুর মৃতদেহ থেকে মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করতো, হয়তো খাদ্য সংগ্রহের সহযোগীতা চাওয়ার মাধ্যম থেকেও ভাষার তৈরি এবং প্রথম দিকের ভাষা গুলো হয়তো খাদ্য সম্পর্কিত।


ভাষার জরিপ প্রকাশকারী সংস্থা অ্যাথনোলোগের (Ethnologue) সর্বশেষ তথ্য মতে, পৃথিবীতে মোট সাত হাজার ৯৯টি ভাষা বর্তমানে চলমান। ভাষার শুরুটা কিভাবে হয়েছে, কিভাবে এতগুলো ভাষার জন্ম হয়েছে, কিভাবে ভাষার ক্রমবিকাশ ঘটেছে, এ নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানীদের বিরোধের অন্ত নেই। বহু আগ থেকেই এ বিরোধ চলে আসছে। প্রত্যেকে নিজ নিজ চিন্তা, দর্শন ও বিশ্বাসের আলোকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। চার্লস ডারউইন বলেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ভাষার উৎপত্তি হয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শব্দের ইঙ্গিত, প্রাণীদের আওয়াজ ও মানুষের স্বভাবগত উচ্চারিত ধ্বনির অনুসরণ ও সংশোধন করে।’ (The Descent of Man, and Selection in Relation to Sex, 2 vols. London : Murray, p. 56.)
ভাষাবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে ভাষার উৎপত্তি নিয়ে প্রধান দুটি তত্ত্ব সুবিদিত।
  • অবিচ্ছিন্নতাতত্ত্ব বা Continuity theories. সেটি হলো, ‘ভাষার বিষয়টি এত জটিল যে তার চূড়ান্ত প্রকৃতি বিষয়ে কল্পনা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এটি পূর্বপুরুষদের থেকে পরম্পরাগতভাবে চলে আসছে।
  • বিচ্ছিন্নতাতত্ত্ব বা Discontinuity theories. এ তত্ত্ব আগেরটির বিপরীত। অর্থাৎ ‘ভাষা এমন বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত যে মানুষ ছাড়া অন্য কারো মধ্যে ভাষার ব্যবহার পাওয়া যায় না। মানবীয় বিবর্তনপ্রক্রিয়ার কোনো একসময়ে একবারেই হঠাৎ ভাষার প্রকাশ ও বিকাশ ঘটেছে।’ এমন ধারণা নৃবিজ্ঞানীদেরও। নৃবিজ্ঞানীরা মনে করেন, ভাষার উৎপত্তির ঘটনা ইতিহাসে একবারই ঘটেছিল, একাধিকবার নয়। বিশ্বের সব জায়গায় প্রচলিত মানব ভাষাগুলোর মধ্যে গাঠনিক সাদৃশ্য এই অনুমানের ভিত্তি।

বাংলা ভাষার জন্ম

অনেকগুলি ভাষার মাঝে একটি আমাদের মাতৃভাষা, বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষার জন্ম জানতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে কয়েক হাজার বছর আগে। তখন ভারতের প্রাচীন ভাষাগুলোকে বলা হতো প্রাচীন আর্য ভাষা। আনুমানিক ৪০০০ থেকে ১০০০ বছর আগে প্রোটো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষায় কথা বলা মধ্য-এশিয়ার জনগোষ্ঠী পশ্চিম আর পূর্বদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, আর তাদের ভাষাও বিভিন্ন শাখার সৃষ্টি করে। এরই একটি শাখা হলো ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠী। আর ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠীর একটি শাখা ইন্দো-আর্য বা ভারতীয়-আর্য ভাষা।
পালি লিপি

বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসাম রাজ্যের বারাক উপত্যকার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া, ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশার মত রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮.০৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। হিন্দির পরেই বাংলা ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলসহ মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৮.৫ কোটিরও অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। ৩০ কোটি স্বদেশি ভাষাভাষী এবং আরও ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ভাষা বাংলা। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৪ কোটি মানুষের ভাষা বাংলা। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারে বাংলা ভাষার স্থান ৪র্থ ও বিশ্বে ৬ষ্ঠ এবং বিশ্বব্যাপী মোট ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যানুসারে বাংলা ভাষা ৭ম বৃহত্তম ভাষা।
ইন্দো-ইউরোপীয় ও আর্য ভাষা: বাংলা ভাষা বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত। এটি একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মূলত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর পরিধি ছিল ইউরোপ থেকে ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত। মূলত, ইন্দো বলতে ভারতীয় উপমহাদেশ, এবং ইউরোপীয় বলতে ইউরোপ মহাদেশকে বোঝায়। পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এই পরিবারের ভাষাগুলোতে কথা বলে থাকে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলাসহ, হিন্দি, নেপালি, ইংরেজি, গ্রিক, ল্যাটিন, ফারসি, ফরাসি, ডাচ ইত্যাদি ভাষাও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী দুটি ভূখণ্ডে বিভক্ত হওয়ার কারণে এই ভাষাগোষ্ঠীকে দুটি শাখাতে ভাগ করা হয়: শতম ও কেন্তুম। শতম শাখাটি থেকে ভারতের, আর কেন্তুম শাখা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন ভাষা এসেছে। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সাল থেকে ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের ভাষাভাষী লোকেরা ইউরোপ ছাড়িয়ে আটলান্টিকের উপকূল এবং ভূমধ্যসাগরের উত্তর দিকে আসতে শুরু করে। পারস্য ও ভারত জয়ের মধ্য দিয়ে তারা ছড়িয়ে যায় এশিয়ার দূর এলাকাসমূহে। সমসাময়িক সিন্ধুর অধিবাসীগণও পূর্ব (গাঙ্গেয় সমভূমি), পশ্চিম এবং আফগানিস্তানে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ অব্দের মধ্যে দুটি ভাষা-শাখা, ভারতীয় আর্যভাষা (ইন্দো-আর্য) এবং ইন্দো-ইরানীয় ভাষা আলাদা হয়ে যায়।
indo-europeo-tree
ভারতীয় আর্যভাষা: ভারতীয় আর্যভাষার ইতিহাসে তিনটি প্রধান স্তর লক্ষ্য করা যায়। প্রথম স্তরটির নাম হলো বৈদিক ভাষা, যার সময় খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ অব্দ। এই আর্যভাষা উঁচু গোত্রের মানুষদের মধ্যেই প্রচলিত ছিল। সাধারণ মানুষের কাছে বেদের ভাষা বা বৈদিক ভাষা দুর্বোধ্য মনে হতো। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় প্রয়োজনে পন্ডিতরাও এটি ব্যবহার করতেন। বেদের শ্লোকগুলোও এই ভাষায় লেখা হয়েছিল।
বৈদিক ভাষা
তারপরের স্তর হলো সংস্কৃত ভাষা, যার সময় খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দ পর্যন্ত। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দের দিকে ব্যাকরণবিদ পাণিনির হাতে এটি চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়। বৈদিক ও সংস্কৃত এই দুই ভাষা হলো প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে রচিত কালিদাসের কাব্য ও নাটকের ভাষা ছিল সংস্কৃত। রামায়ণ ও মহাভারতও সংস্কৃত ভাষাতেই রচিত হয়েছিল। এমনকি, এখনও সংস্কৃত ভাষা ভারতে ব্যাপকভাবে পঠিত এবং একটি পবিত্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
এর পরের স্তর প্রাকৃত ভাষা। এই ভাষাগুলো মধ্যভারতীয় আর্যভাষা হিসেবে পরিচিত। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ ভাষাগুলোই কথ্য ও লিখিত ভাষা হিসেবে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত থাকে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন ভারতের প্রাকৃত ভাষাগুলোর মধ্যে পালি অন্যতম, যার জন্ম খ্রিষ্টের জন্মেরও কমপক্ষে ছয়শ বছর আগে। সংস্কৃতের সাথে এর সম্পর্ক অনেকটা বোনের মতো। পালি ছিল মধ্য বিহারের মগধ অধিবাসীদের মুখের ভাষা। সংস্কৃতের মতো পালিরও মৃত্যু ঘটেছে বহু শতাব্দী আগেই। অর্থাৎ, এখন আর এই ভাষার কোনো স্থানীয় জাতি নেই, বা সেই অর্থে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহারের মানুষ নেই; কেবল সাহিত্যিক ও ধর্মীয় ভাষা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গৌতম বুদ্ধ এই ভাষাতেই ধর্ম প্রচার করেছিলেন। মূলত, একটি সাধারণ প্রাদেশিক ভাষা হয়েও এটি ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী ভাষা হয়ে উঠেছিল, যা তাকে বসিয়েছে চিরায়ত ভাষার আসনে। ফলে এই ধর্মমত সহজেই সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে উঠতে সক্ষম হয়। এই প্রাকৃত ভাষাগুলো থেকে অপভ্রংশ বা বিকৃত হয়ে বিভিন্ন ভাষা। যেমন: বাংলা, হিন্দি, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি প্রভৃতির জন্ম। সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পতঞ্জলির মহাভাষ্য গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘অপভ্রংশ’ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত কিছু অশিষ্ট শব্দকে নির্দেশ করার জন্য শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। বর্তমান ভাষাবিদদের মতে, সমস্ত প্রাকৃত ভাষারই শেষ স্তর হলো অপভ্রংশ, এবং এই অপভ্রংশগুলো থেকেই সমস্ত নব্য ইন্দো-আর্য ভাষার জন্ম। উদাহরণস্বরূপ – পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগধী প্রাকৃত ভাষা থেকে পূর্বী অপভ্রংশ উদ্ভূত হয়েছিল, এবং সেই পূর্বী অপভ্রংশ থেকে মগহী, মৈথিলী ও ভোজপুরী- এই তিনটি বিহারী ভাষা এবং বাংলা, অসমীয়া ও ওড়িয়া- এই তিনটি গৌড়ীয় ভাষার উৎপত্তি ঘটে। অন্যদিকে, পশ্চিমের শৌরসেনী অপভ্রংশ থেকে হিন্দি ও অন্যান্য নব্য ইন্দো-আর্য ভাষার উদ্ভব হয়।

ভাষার শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছর পুরনো। চর্যাপদ এ ভাষার আদি নিদর্শন। অষ্টম শতক থেকে বাংলায় রচিত সাহিত্যের বিশাল ভান্ডারের মধ্য দিয়ে অষ্টাদশ শতকের শেষে এসে বাংলা ভাষা তার বর্তমান রূপ পরিগ্রহণ করে। বাংলা ভাষার লিপি হলো বাংলা লিপি।
বাংলা লিপির উৎপত্তি

Leave a Reply

'; window._nslWebViewNoticeElement.insertAdjacentHTML("afterbegin", webviewNoticeHTML); document.body.appendChild(window._nslWebViewNoticeElement); } }); } } window._nslDOMReady(function () { window.nslRedirect = function (url) { if (scriptOptions._redirectOverlay) { const overlay = document.createElement('div'); overlay.id = "nsl-redirect-overlay"; let overlayHTML = ''; const overlayContainer = "
", overlayContainerClose = "
", overlaySpinner = "
", overlayTitle = "

" + scriptOptions._localizedStrings.redirect_overlay_title + "

", overlayText = "

" + scriptOptions._localizedStrings.redirect_overlay_text + "

"; switch (scriptOptions._redirectOverlay) { case "overlay-only": break; case "overlay-with-spinner": overlayHTML = overlayContainer + overlaySpinner + overlayContainerClose; break; default: overlayHTML = overlayContainer + overlaySpinner + overlayTitle + overlayText + overlayContainerClose; break; } overlay.insertAdjacentHTML("afterbegin", overlayHTML); document.body.appendChild(overlay); } window.location = url; }; let targetWindow = scriptOptions._targetWindow || 'prefer-popup', lastPopup = false; const buttonLinks = document.querySelectorAll(' a[data-plugin="nsl"][data-action="connect"], a[data-plugin="nsl"][data-action="link"]'); buttonLinks.forEach(function (buttonLink) { buttonLink.addEventListener('click', function (e) { if (lastPopup && !lastPopup.closed) { e.preventDefault(); lastPopup.focus(); } else { let href = this.href, success = false; if (href.indexOf('?') !== -1) { href += '&'; } else { href += '?'; } const redirectTo = this.dataset.redirect; if (redirectTo === 'current') { href += 'redirect=' + encodeURIComponent(window.location.href) + '&'; } else if (redirectTo && redirectTo !== '') { href += 'redirect=' + encodeURIComponent(redirectTo) + '&'; } if (targetWindow !== 'prefer-same-window' && checkWebView()) { targetWindow = 'prefer-same-window'; } if (targetWindow === 'prefer-popup') { lastPopup = NSLPopup(href + 'display=popup', 'nsl-social-connect', this.dataset.popupwidth, this.dataset.popupheight); if (lastPopup) { success = true; e.preventDefault(); } } else if (targetWindow === 'prefer-new-tab') { const newTab = window.open(href + 'display=popup', '_blank'); if (newTab) { if (window.focus) { newTab.focus(); } success = true; window._nslHasOpenedPopup = true; e.preventDefault(); } } if (!success) { window.location = href; e.preventDefault(); } } }); }); let buttonCountChanged = false; const googleLoginButtons = document.querySelectorAll(' a[data-plugin="nsl"][data-provider="google"]'); if (googleLoginButtons.length && checkWebView()) { googleLoginButtons.forEach(function (googleLoginButton) { if (scriptOptions._unsupportedWebviewBehavior === 'disable-button') { disableButtonInWebView(googleLoginButton); } else { googleLoginButton.remove(); buttonCountChanged = true; } }); } const facebookLoginButtons = document.querySelectorAll(' a[data-plugin="nsl"][data-provider="facebook"]'); if (facebookLoginButtons.length && checkWebView() && /Android/.test(window.navigator.userAgent) && !isAllowedWebViewForUserAgent('facebook')) { facebookLoginButtons.forEach(function (facebookLoginButton) { if (scriptOptions._unsupportedWebviewBehavior === 'disable-button') { disableButtonInWebView(facebookLoginButton); } else { facebookLoginButton.remove(); buttonCountChanged = true; } }); } const separators = document.querySelectorAll('div.nsl-separator'); if (buttonCountChanged && separators.length) { separators.forEach(function (separator) { const separatorParentNode = separator.parentNode; if (separatorParentNode) { const separatorButtonContainer = separatorParentNode.querySelector('div.nsl-container-buttons'); if (separatorButtonContainer && !separatorButtonContainer.hasChildNodes()) { separator.remove(); } } }) } }); /** * Cross-Origin-Opener-Policy blocked the access to the opener */if (typeof BroadcastChannel === "function") { const _nslLoginBroadCastChannel = new BroadcastChannel('nsl_login_broadcast_channel'); _nslLoginBroadCastChannel.onmessage = (event) => { if (window?._nslHasOpenedPopup && event.data?.action === 'redirect') { window._nslHasOpenedPopup = false; const url = event.data?.href; _nslLoginBroadCastChannel.close(); if (typeof window.nslRedirect === 'function') { window.nslRedirect(url); } else { window.opener.location = url; } } }; }})();