fbpx
নফল সিয়াম/রোযা ও যে যে দিনে রাখা নিষিদ্ধ ( صوم التطوع وما نهى عن صومه)নফল সিয়াম/রোযা ও যে যে দিনে রাখা নিষিদ্ধ ( صوم التطوع وما نهى عن صومه)

নফল সিয়াম/রোযা যে সব দিনে রাখা নিষিদ্ধ ( صوم التطوع وما نهى عن صومه)

ফরজ সিয়ামের পাশাপাশি নফল সিয়াম গুলো পালন করলে আরো অতিরিক্ত সাওয়াব পাওয়া যায় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়তা করে।

আমরা চাইলেই সকল দিনে সিয়াম পালন করতে পারবো না কারণ রাসূল (সাঃ) এর নিষেধ রয়েছে।

আসুন জেনে নেই কোন দিন গুলোতে নফল সিয়াম রাখা যাবে আর কোন দিন গুলোতে নফল সিয়াম রাখা যাবেনা।

➡️ যেসব দিনে নফল সিয়াম রাখা যাবে
১. আবু ক্বাতাদা আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত; “রাসূল (সাঃ) আরাফার দিনে সিয়াম/রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেন: বিগত এক বছর এবং আগত এক বছরের গুনাহ দূরীভূত হয়। আশুরার (১০ই মহারাম) এর দিনে সিয়াম রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেন, বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়। সোমবারের দিনে সিয়াম রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেন, এটা সেই দিন যাতে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি এবং নবুয়ত লাভ করেছি”। (মুসলিম)

২. আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসূল ( সাঃ) বলেন: “যে লোক রমজানের সিয়াম রাখার পর শাওয়াল মাসে ৬টি সিয়াম রাখবে, তার ঐ সিয়াম সারা বছর সিয়াম রাখার সমতূল্য গণ্য হবে”। (সহীহ বুখারী, মুসলিম)

৩. আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে প্রতি মাসে ৩টি করে সিয়াম রাখার আদেশ করেছেন, চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ”। (তিরমিযি)

৪. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: রাসূল (সাঃ) নফল সিয়াম রেখেই যেতেন, আমরা ভাবতাম তিনি সিয়াম রাখা বন্ধ করবেন না। আবার সিয়াম রাখা বন্ধ রেখেই চলেছেন, আমরা ভাবতাম তিনি হয়তোবা আর নফল সিয়াম রাখবেন না। আমি রাসূল (সাঃ) কে রমজান মাস ছাড়া অন্য কোন পূর্ণ মাস সিয়াম রাখতে দেখিনি। আর শা’বান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে তাকে বেশি সিয়াম রাখতে দেখিনি”। (সহীহ বুখারী, মুসলিম)

নোটঃ

↔️যারা হজ্জে থাকবেন তাদের জন্য আরাফার সিয়াম নয়।

↔️মুহারাম মাসের ৯ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ আশুরার সিয়াম। এই দিনে আল্লাহ মুসা (আঃ) ও তার কওমকে নাজাত দেন এবং ফেরাউন ও তার কওমকে পানিতে ডুবে মেরেছেন।

↔️সোমবার ও বৃহস্পতিবার মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়।

↔️১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ হলো আইয়্যামে বিজ।

 

➡️যেসব দিনে নফল সিয়াম রাখা যাবে না ১. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত; “রাসূল (সাঃ) ২দিন সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন”। (সহীহ বুখারী, মুসলিম)

২. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসূল (সাঃ) বলেন: স্বামীর উপস্থিতিতে কোন স্ত্রী লোকের জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যতীত (নফল) সিয়াম রাখা বৈধ নয়”। ( সহীহ বুখারী, মুসলিম)

৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; নবী করীম (সাঃ) বলেন: রাত্রির মধ্যে থেকে জুম’আর রাতকে ইবাদাতের জন্য ও দিনের মধ্যে থেকে জুম’আর দিনকে সিয়াম রাখার জন্য নির্দিষ্ট করবেনা। হ্যা, তবে কেউ কোন (এক নির্দিষ্ট তারিখে) সিয়াম রেখে আসছে সেই তারিখটি যদি জুম’আর দিন পড়া যায় তবে তাতে কোন ক্ষতি নেই”। (মুসলিম)

৪. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) ঘোষণা করেছেন : “তোমাদের কেউ যেন কেবল জুম’আর দিন সিয়াম না রাখে। কিন্তু জুম’আর দিনের সঙ্গে আগে বা পরের দিন সহ সিয়াম রাখতে পারবে”। (সহীহ বুখারী, মুসলিম)

৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত ; রাসূল (সাঃ) বলেন : শা’বান মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হয়ে গেলে কোন নফল সিয়াম রাখবে না”। (ইবনে মাজাহ)

৬. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত ; রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন : সে ব্যক্তি সিয়াম রাখেনি যে বিরতিহীন সিয়াম রেখেছে “। (সহীহ বুখারী, মুসলিম)